Tuesday, March 18

বইমেলায় ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’ নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা!

সিফাত রাব্বানী: পুরনো একটা শ্যাওলা পড়া রেস্টহাউজে বেড়াতে গেছেন এক লেখক। রাত বিরাতে নুপুরের শব্দ। না হয় রিনরিনে হাসি। জানা গেল বহু আগে ওই বাড়িতে কেউ আত্মহত্যা করেছিল… যাকে মানুষ ভেবে এতক্ষণ কথা বলছিল আজমল সাহেব, তিনি আসলে মারা গেছেন বহুকাল আগে…

এক মিনিট! এ গল্প চেনা চেনা লাগছে? কমবেশি সব হরর গল্পের প্লট এরকম? এসব টাইপড গল্প পড়ে এখন আর গা ছমছমে ভয়ের ফিলিংসটা আসছে না? তাহলে আপনার জন্যই ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’। বিষণ্ন একটা আলো-আঁধারি অথচ কল্পনাতীত আতঙ্কের জগতে প্রবেশ করে যাবেন একই পাতা ওল্টাতেই!

গল্পগুলো মাথা থেকে সহজে যাবে না। অন্ধকার কোণে বসে থাকবে ঘাপটি মেরে। কালো প্রচ্ছদের বইটাকে মনে হবে অপয়া! কাছে রাখা যাবে না। দ্বিতীয়বার পড়তেও ভয়, যদি কিছু ঘটে!

প্রতিটা গল্পই লেখক মারাত্মক পরিশ্রম করে লিখেছেন বোঝা যায়। ঝরঝরে লেখা। তবে গভীরে ডুব দিলেই ভয়ের সাগরে পড়ে যাবেন। খেই হারিয়ে ফেলবেন। দুয়েকটি ছাড়া বাকিগুলো কিন্তু মোটেও দুর্বলচিত্তের পাঠকদের জন্য লেখা হয়নি। আবার একা একা রাতে পড়তে যাবেন না। তাহলেই ঘুম হারাম। পড়ার সময় অস্বস্তিকর অনুভূতি হলে সেখানেই বন্ধ করে দিন।

বোধহয় এতসব ভেবে প্রচ্ছদটা পুরো কালো করে রেখেছেন লেখক। কারণ গল্প শেষ হবে ঠিকই, তবু আতঙ্ক যাবে না!

বইমেলার ৬৪২ নং স্টলের প্রসিদ্ধ পাবলিশার্সরকমারিতে পাওয়া যাচ্ছে এটি। নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই কিনে ফেলবেন নাকি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *