class="post-template-default single single-post postid-49279 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

সামাজিক গল্প : সেরা উপহার

লেখক: জাহানারা পারভীন
শাশুড়ী মা শুভ্রার ঘরে উঁকি দিয়েই বলল, তা তোমাকে না কতবার বলেছি, ছেলেটা প্রেস থেকে আসার আগেই একগ্লাস লেবু শরবত টেবিলে রাখবে। এদিকে গরমটা বাড়ছে। তোমার আর জ্ঞান হবে না বাপু? পুরুষ মানুষকে একটু যত্নের উপর রাখতে হয়। বাবারে ভালবাসাকে মজবুত করা কি অত সহজ?
শুভ্রা তাড়াতাড়ি ফ্রিজে খুলে লেবুটা চটকে চিনি গুলতে লাগলো। গ্লাসটা আঁচল দিয়ে মুছে পিরিচ দিয়ে ঢেকে টেবিলের উপর রাখলো। ওর চোখটা টেবিলের কোনে রাখা নতুন একটা বইয়ের দিকে চলে গেল। নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে শুভ্রার বরাবরই ভালো লাগে। দু একটা পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে শাশুড়ী মায়ের হাঁক শুনে বেড়িয়ে গেল।
শুভ্রা এবাড়িতে এসেছে তিন বছর হলো। স্বামী সাজেক রহমান পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া বইঘর প্রকাশনীর দেখভাল করে। অতি ভদ্র মানুষ। মায়ের প্রতি অপার মমতা। শুভ্রা যদি শাশুড়ীকে নিয়ে কিছু অভিযোগ আনে তখনই সাজেক ওর হাত ধরে বলে, একটু মেনে না-ও গো। মারতো আর কেউ নেই। আছেই আর কতদিন বলো? এরপর থেকেই শুভ্রা একটু চেপে গেছে। তাছাড়া ওদের এখনো কোন সন্তান আসেনি। এটাও ওকে আজকাল বেশ চাপিয়ে রাখে।ওদিকে বাচ্চা না হওয়া নিয়ে শাশুড়ীর খোঁটাতো আছেই। সংসারের যাতাকলে সেই পড়ুয়া মেয়েটা, কোথায় যেন নিঃশব্দে চাপা পড়ে গেল, শুভ্রা তাকে আর খুঁজেই পায় না। থাকগে, বুকটা এখন শুধু বাচ্চার কান্নার শব্দ খুঁজে ফেরে।
সাজেকের কাছ থেকেই শুনেছে মার নাকি কবিতার দিকে নেশা ছিল। কিন্তু ওর বাবা ভীষণ মেজাজি ছিলেন। উনি এসব পছন্দ করতো না। তাহলে শুভ্রার হাতে বই দেখলেই শাশুড়ীর মেজাজ কেন খারাপ হয়? এটাই, শুভ্রা, ভেবে পাই না। শাশুড়ী, একদিন ওর বই পড়া নিয়ে যাচ্ছেতাই বলেছিল, তার পর থেকেইতো,,,
এদিকে বড়ছেলের বাচ্চার দেখা না পেয়ে শাশুড়ী ছোট ছেলেকে তোড়জোড় করে বিয়ে দিয়ে নিয়ে আসলো। ছোট দেবর আশিক পেশায় ব্যাবসায়ী। একটু আলাভোলা টাইপের। নিলা মেয়েটাও ভারি মিষ্টি। শাশুড়ীর কেন জানি নিলাকে বেশ চোখে পায়৷ এটাও আজকাল শুভ্রার মনঃকষ্টের আরেকটা কারণ। এত যে সংসার করে করে নিজেকে ভাসালো কিন্তু শাশুড়ীর মন পেল না।
নিলার সাথে ওর বেশ জমে। যখনই নিলা রান্নায় যায়, তখনই শাশুড়ী বলবে, না না, বৌমা তোমার গায়ে এখনো নতুন বৌয়ের গন্ধ, তুমি বসো, শুভ্রাই সারবে। ও বৌমা, হাড়িটা চাপাও। বেলা যে বয়ে গেল। শুভ্রার চোখ দেয়াল ঘড়ির দিকে গেল। বেলা এগারোটা!
নিলা তখন মাকে বলে মা, আর কতদিন গন্ধ বয়ে বেড়াবো? শাশুড়ী সঙ্গে সঙ্গেই, না, না তুমি ঘরের ভেতরটা সারবে। তাছাড়া, রান্নাটা বৌমা আমার বেশ করে। তবে মাঝে সাঝে মশলাটা বেশি দিয়ে ফেলে। বৌমা, আড় মাছে আজ মালমশলা একটু কমই রেখ। আবার সেদিনের মতো করো না।
নিলা, শুভ্রাকে বলল, ভাবি ভাইয়ের বইঘরের বুকসেল্ফে বেশ ময়লা দেখলাম। অনুমতি দিলে পরিস্কার করি।
তা যাও, কিন্তু যেখানের বই সেখানেই রেখ, তোমার ভাইয়ের হাতের নাগালে যেন সব থাকে।
নিলা, সাদা ন্যাকড়া নিয়ে কাঁচের উপর হাত বুলালো। কত শত যে বই তার ইয়ত্তা নেই। ওমা, মেমসাহেব. ….কিন্তু এটা কি? শুভ্রা ঘরে আসতেই চট করে, আঁচলের তলায় লুকিয়ে ফেললো। ভাঁজে ভাঁজে বইগুলো মুছে ভালবাসার গন্ধ পেতে লাগলো।
হটাৎ শুভ্রা এসে বললো, নিলা, ঐ পুরনো বইগুলো নীচের তাকে রাখো। আর এই শরবতটা খাও দেখি। নাই আবার শাশুড়ী বলবেন, ভালবাসার যত্ন হচ্ছে না। এই বলে দু জা হেসেই কুটি কুঁটি। জানিস নিলা, আমার না প্রথম ভালবাসা শ্রীকান্তর সাথে। শাশুড়ী মার জালায় ঐ ভালবাসাকে ছুঁড়ে মারলাম।
শাশুড়ীর দুজনের হা হা হাসি দেখে গা জ্বলে গেল। ফাঁক পেলেই খালি হাসাহাসি?বৌমা, রান্নাটাতো আগে সারো।একসাথে দুজন থাকলে, কাজ গতি হারায়, জানো তো? তুমিও বাপু নতুন হলে নাকি? এই বলে শাশুড়ী মা গজগজ করতে করতে পানের বাটা নিয়ে বসলো।
অগত্যা শুভ্রা, রান্নাঘরে ঢুকলো।
রাত দশটার পর নিলার ভাসুর বাড়ি ফিরে যখন খাওয়া দাওয়ার পর্ব সেরে যখন ঊনার লাইব্রেরিতে বসল, কিছুক্ষণ পরে নিলা গুটিগুটি পায়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে আস্তে করে দরজাটা ভেজিয়ে বড় ভাসুরের সামনে বসলো।
ওদের আলোচনা এগারোটা পর্যন্ত চললো।
পরেরদিন শুভ্রা খেয়াল করলো আজকের দিনও একই সময়ে নিলা লাইব্রেরিতে ঢুকে বেশ অনেকটা সময় কাটালো। শুভ্রর সাথে সাথে শাশুড়ী মাও বেশ বিরক্ত হলো। ও ঘরে ঢুকে কিছু দেখারও সাহস হলো না। কারণ ওটা বড় ছেলের লাইব্রেরি রুম।
ওদিকে ছোট ছেলেটাও হয়েছে বৌয়ের ন্যাওটা। বৌ যে ওকে ফেলে দিনের পর দিন বড় ছেলের সাথে সময় কাটাচ্ছে, সেটা ছেলে নির্বিকারভাবে সয়ে যাচ্ছে। বলিহারী আজকাল ছেলেমেয়েরা। উনি মনে মনে বিরক্ত হলেও নিলাকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। তবে, শেষ পর্যন্ত বিরক্ত চেপে না রাখতে পেরে বলেই বসলো, তা বৌমা, তোমরা দুটিতে বসে বইঘরে অত রাত অবধি কি করোগো? ওদিকে যে ছোট ছেলেটা আর বড় বৌমা যে একাকি সময় পার করছে? নিজের স্বামীর দিকে আগে খেয়াল রাখতে হয়। তুমি বাপু, আশিককে একটু সময় দাও, সেটাই ভালো হ্য়। নিলা, হেসে বললো, মা, কটা দিন আপনার ছেলে আর ভাবি একটু নিজেদের সময় দিকতো। আমি ভাইয়ের সাথে একটু লেখাপড়া শিখে নেই, এখনইতো সময়। বলেই গটগট করে বই নিয়ে বইঘরে ঢুকলো। পিছনে সাজেক..।
শুভ্রা সকালের নাস্তাট সেরে যেই একটু বিছানায় আলিসে ধরেছে সেই শাশুড়ী মা বৌমা বলে ঘরে ঢুকলো। তা বৌমা, বলিহারি তূমি! কাল দুটিতে যে রাত বারোটা পর্যন্ত একসাথে বইঘরে, তাও তোমার চোখ বন্ধ! আমারতো আর সহ্য হচ্ছে না।
মা আপনি রাত বারোটা পর্যন্ত জেগে ছিলেন? শাশুড়ী তখন বললো, তুমি যাই বলো মা, আমি চাই না তোমার ঘর ভাঙ্গুক! তোমাকে আমি অনেক সময়ে পেরেসান করি, এ কথা সত্য। কিন্তু তুমি যে আমার ঘরের লক্ষী!
এ কথা শুনে শুভ্রার চোখে পানি এসে গেলো। ও মায়ের হাত ধরে বলল, মা, আমিও যে আপনার মতোই বুকে আগুন চেপে আছি।
তুই কি সারাজীবনই সব কিছু মেনে নিবি? তুই যদি আজ প্রতিবাদ না করিস তাহলে জেনে রাখ তোর হয়ে আমি আজ লড়বো। তুই আমাকে ঠেকাতে পারবি না। জেনে রাখ, আমিও একজন নারী।
শুভ্রা মায়ের হাত ধরে বলল, না মা, আপনার ছেলে যে লাইব্রেরিতে বিরক্ত করা একদমই পছন্দ করে না। আর কটা দিন যাক। নিলা জানলেয়ালা মেয়ে, হবে হয়তো ওরা কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত, যেটা আমি বুঝি না।
তাই বলে রাত বারোটা একটা,। না না, এ অনাচার! অনাচার! শাশুড়ী বিড়বিড় করতে করতে ঘরে গেল।
শাশুড়ী তক্কে তক্কেই আছে৷ যা হয় হোক, সে আর আজ সহ্য করবে না। রাত দুটো। শাশুড়ী হাতের লাঠিটা নিয়ে বারান্দায় গেল। দেখলো আশিকের ঘরে অন্ধকার, আর লাইব্রেরিতে দরজা ভেজানো। ফাঁক গলে আলোর চিকন ধারা। সাজেক শেষ পর্যন্ত তুই ছোট ভাইয়ের বৌয়ের সাথে! নাহ! সেওতো বড় বৌমার মন অনেক বার ভেঙে দিয়েছে! তাই বলে?
শাশুড়ী লাঠিটা দিয়ে ঠকাস করে দরজায় আঘাত দিতেই দেখলো , দুটিতে গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে। ও দিকে সাজেক ইশারা দিতেই, মা থেমে গেলো। মা, গুমরে নিজের ঘরে গেল।
শুভ্রা আস্তে করে বালিশে চোখ ভিজিয়ে নির্ঘুম রাত কাটালো। ওর যে এ বাড়িতে আর মন টিকিয়ে রাখতে পারছে না। শুভ্রা ঠিক করলো সামনের সপ্তাহে ও বাপের বাড়িতে একেবারে চলে যাবে। ওখানেই বাকি জীবনের হিসেবের ঝুলি মেলে ধরবে। এভাবে আর নয়!
নিলা খেয়াল করলো শুভ্রা ওর দিকে তাকালো না। ভাবির মনের ঝড়ের সাথে মন মেলাতে পারলেই ওর ভালো লাগতো কিন্তু?
সাজেক প্রেসে যাবার আগে শুধু বললো, শুভ্রা তুমি আর মা দুজনেই বিকেলে তিনটার সময়ে রেডি থেক। বইমেলাতে আমার প্রকাশনার নতুন বই মোড়ক উন্মোচন হবে। গণ্যমান্য অনেকেই উপস্থিত হবে তুমি রেডি থেক।
একবার শুভ্রার মনে হলো যে বলে, নিলাইতো আছে তার মতো কম শিক্ষিত ব্যক্তির কি প্রয়োজন? থাক, কি হবে বাক বিতন্ডায়? এইতো আর কটা দিন? তারপরইতো সব শেষ!
মাকে বলতেই মা খেঁকিয়ে বলল, আমি বাপু যেতে পারবো না।
সাজেক শুধু বললো, মা তোমাকে যেতে হবে। তা না হলে? বলেই গটগট করে চলে গেলো।
শাশুড়ী মার ভারি রাগ হলো। অনাচার করে বেড়াস আবার জোর গলায় কথা? থাক, তুই তোর প্রকাশনা নিয়ে। বৌমা, আমি কাল দেশে যাব। আমার পোটলাটা একটু গুছিয়ে দাও দেখি।
নিলা মিটিমিটি হাসছে এ কথা শুনে। দেখে শাশুড়ী মা মনে মনে বলল, তুই কোনদিনই সুখি হবি না, কোনদিনই না।
বিকেল তিনটায় নীলা শুভ্রা আর শাশুড়ী মা দুজনকেই বলল, আপনার বড় ছেলের অর্ডার রেডি হতে, যেতে হবে। শাশুমা গো ধরলেন যাবে না। বেগতিক দেখে নিলা বলল, তাহলে ভাইকে ফোন দেয়। শুভ্রা শুধু বললো, মা রেডি হন। শুধু শুধু বিতন্ডায় যেয়ে লাভ নেই। এইবারেইতো শেষ, চলুন। দেখে আসি রামলীলা!
মা বলল, তুমিও শেষ পর্যন্ত বলছো বৌমা! তাহলে চলোই।
চারিদিকে লোকজনের বিপুল সমাহার। সাজেকের প্রকাশনির সামনে লাল ফিতা হাতে নিয়ে নিলা দাঁড়িয়ে। ফিতার অপর পাশে আশিক দাঁড়িয়ে। শুভ্রা ও শাশুড়ী মা গাড়ির থেকে নামতেই দুজন মানুষ এসে ওদের ধরে লাল ফিতার সামনে দাড় করিয়ে শুভ্রার হাতে কাঁচি ধরিয়ে দিল। বললো, কাটুন। ফিতা কাটতেই স্বামী সাজেক ওর হাতে একটা নতুন মোড়কে বাঁধা বই তুলে দিল। চারিদিকে ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক। শুভ্রা বোবা হয়ে গেল। হাঁ করে তাকিয়ে থাকল। নিলা তাড়াতাড়ি ছুটে এসে বললো ভাবি দেখবে না, ওটা কার বই। খুলে দেখই না।
শুভ্র৷, কম্পিত হাতে মোড়ক উন্মোচন করলো। দেখতে পেল, মোটা মোটা অক্ষরে লেখা “জীবন গাঁথা ” নাম মিসেস শুভত্রা রহমান। বইয়ের পাতায় নিজের নাম দেখে শুভ্রার চোখের কোনায় পানি জমে গেল। ও ঝাপসা চোখে একবার সামনের দিকে তাকালো। দেখলো সাজেক মিটিমিটি হাসছে।
নিলা রজনীগন্ধার স্টিক নিয়ে শুভ্রার হাতে তুলে দিতেই শুভ্রা ওকে জড়িয়ে ধরলো। বললো, আমাকে ক্ষমা কর নিলা, আমি তোমাকে নিয়ে উল্টো পালটা ভেবেছিলাম। তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে বললো , তোমরা যে আমাকে এত ভালবাস, আমার জন্য এতটা কষ্ট করবে, আমি তা বুঝতে পারিনি। আমরা মানুষেরা আসলেই না বুঝে অনেক উল্টোপালটা ভেবি বসি। আসলে এটা করা একেবারেই উচিত নয়। আমায় তোমরা ক্ষমা করো।
এই বলে বইটা বুকের সাথে চেপে ধরলো। ওর চোখ দিয়ে খুশিতে আনন্দের জল বইতে লাগলো।
নিলা তখন শুভ্রাকে বলল, ভাবি তোমার ঘরে বুকসেল্ফে বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা পান্ডুলিপি আমি সেদিন খুঁজে পেয়ে ঘরে যেয়ে পুরো পান্ডুলিপিটা পড়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ভাবলাম এই প্রতিভা কিছুতেই লুকিয়ে রাখা যাবে না, বড় ভাইকে বললাম, এটা প্রকাশ করতেই হবে কিন্তু চুপিচুপি। আশিকের কাছে কয়েকটি দিন সময় চেয়েছিলাম। তারপরতো সবই তোমাদের জানা।
ওদিকে শাশুড়ী মাও শুভ্রাকে জড়িয়ে ধরলো। বললো, পোড়ামুখী তুই আমাকেও ক্ষমা কর। তোর প্রতিভাটা এতদিন আমার জন্যই চাপা পড়ে আছে ছিল। আর তুই পোড়ামুখী… তোর পেটে পেটে এত চোরা বুদ্ধি! এই বলে এক হাতে শুভ্রা আর আরেকহাতে নিলাকে জাপটে ধরলো। খুশির খোস গল্পে পুরো বইঘর আনন্দের জোয়ারে মেতে উঠলো।
রাত্রে সাজেক ঘরে এসে দেখলো, শুভ্রা টেবিলের পাশে দাড়িয়ে নতুন বইয়ের গন্ধ নিচ্ছে। ওকে দেখে লজ্জা পেয়ে একপাশে সরে গেল। সাজেক কাছে এসে শুভ্রাকে কাছে টেনে নিতেই শুভ্রা ওর বড় বড় চোখ মেলে বললো, আমায় ক্ষমা করো।
সাজেক বললো, কি বলো শুভ্রা? আমিইতো তোমার কাছে লজ্জিত যে, এতদিন আমি জানতেই পারিনি তোমার এত প্রতিভা। তোমাকে শুধু গৃ্হস্থলির কাজে আবদ্ধ রেখেছি, ভাবিনি তোমারও যে নিজস্ব সুখ, সখ, আনন্দ আছে। আমায় তুমি ক্ষমা করো শুভা। এটা শুধুই আমার পক্ষ থেকে তোমায় সামান্য উপহার। শুভ্রা সঙ্গে সঙ্গেই বললো, এটা আমার কাছে সামান্য উপহার নয়, এটা যে আমার জীবনের সেরা উপহার।
একটু থেমে বলল, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পুরনো গোপন খুশিগুলি আবার আমার বুকে ফিরিয়ে দেবার জন্য। শুভ্রা চুপিচুপি বইটা হাতে নিয়ে সাজেকের বুকে খুশিতে মাখামাখি মুখটা লুকিয়ে ফেললো।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!