ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প | একটি লম্বা সকাল
বড় কোনো ডিগ্রির ভার নেই। তবে সাংবাদিক হিসেবে এলাকায় আমার খ্যাতি অনেক। সম্পাদক মশাই তো বলেন আমার রান্নার হাত বেশ। কথাটা প্রশংসা হিসেবেই নিই। আজকাল খবরে এক আধটু মশলা ভালো করে কষিয়ে না দিলে চলে না।
প্রায়ই নানান অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পাই। সব রক্ষা করা হয় না। তবে গতকাল চিঠিটা পাওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত নিই নিমন্ত্রণটা আমাকে রক্ষা করতেই হবে।
কারণ চিঠিটা পাঠিয়েছেন স্বয়ং বিজ্ঞানী সিদ্ধার্থ। নামজাদা বিজ্ঞানী। নিভৃতে পড়ে থাকেন অলকেশ্বর রোডের বিদঘুটে বাড়িটায়। দেখে মনে হয় জেলখানা। কীসের বিজ্ঞানী তা কেউ জানে না। তবে বিদেশি পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে নিয়মিত ছাপা হয়।
‘যাচ্ছি মালতী! বিকেলের আগে ফিরতে পারব কিনা জানি না।’ বউকে বলতে বলতে জুতো পায়ে গলাচ্ছিলাম।
‘নাস্তা করবে না?’
‘সকালের নাস্তাটা তো তিনি অবশ্যই করাবেন। এত বড় বিজ্ঞানী। এত টাকার মালিক।’ জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে হুলোকে বললাম ‘যা! আমার জন্য রাখা দুধটা ...