গল্প Archives - Page 5 of 9 - Mati News
Friday, December 5

Tag: গল্প

রোমান্টিক গল্প: হা কপাল

রোমান্টিক গল্প: হা কপাল

Stories
রোমান্টিক গল্প: হা কপাল। লেখক: বকুল রায় রাস্তায় কোন সুন্দরী মেয়েকে হাঁটিয়া যাইতে দেখিলে সবাই তাহার দিকে তাকাইয়া থাকে। আর আমার কাজ হইলো তাহাদের দিকে তাকাইয়া থাকা, যাহারা কাজ বিহীন এই কাজটা করিয়া থাকেন। বখাটেরা অতি আগ্রহের সহিত তাকাইলেও তাহাদের আগ্রহ ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটা তাহাদের দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকে, আর ভদ্রঘরের যুবকদের দেখা যায় খানিক্ষণ হা হুতাশ করিতে, পাইতে গিয়াও কি যেন পাইলনা; এমনি একটা ভাব। আর মধ্যবয়স্কদের আচরন ইহার মোটামুটি বিপরীত বলা চলে। কেহ বা পানের পিক ফেলিবার ছলে, কেহ বা জুতা ঠিক করিবার জন্য খানিকটা বাঁকা হইয়া আড়চোখে কিঞ্চিত পরিমান মুখদর্শন সারিয়া লয়, যেন ইহা তাহাদের একখানি অতি জরুরী কাজ। আবার অনেক প্রবীনদের বলিতে শুনি,“নাহ্, এইবার দেশটা গেল, আর কিছুদিন যাক্, তখন বাবারা বুঝবে, মেয়েছেলেদের আর তখন বেঁধেও রাখা যাবেনা” “নাহ্ ভাই মেয়েছেলে বের হয়েছে বলেই তো আজ এ পর...
রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা

রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা

Stories
টার্গেট মিস হলেই প্রবাল সেন ক্ষ্যাপা যুবক। চোখের মণিতে যেন ফণা ওঠে। টার্গেট থেকে চোখ না সরিয়েই আলগোছে সরিয়ে দেয় হোগলার জঙ্গল। তারপর ফের মনযোগ। নিশানা করার কাঁটা, বন্দুকের ট্রিগারের উপর সূক্ষ্ম গিরিখাত, আর প্রবাল সেনের চোখ; সব মিলে মিশে একাকার। প্রায় অসীম সময় নিয়ে দম ছাড়তে ছাড়তে এক পর্যায়ে ট্রিগারে চাপ। সাদা বকটা মুহূর্তে লাল। প্রবাল সেনের বয়স ধপ করে বেড়ে চল্লিশ। কল্পনায় নিজের মুখে আংশিক বলিরেখাও দেখেন। তবে বন্দুক হাতে জোবারপাড় গ্রামে ফেরার সময় একটা পর্যায়ে নিজেকে খানিকটা বুড়িয়ে ফেলেন প্রবাল সেন। সুপারি বাগানের যে দিকটায় বড় বড় দুটো তালগাছ আছে, সেখানে ঠিক ঐ বকটার মতো অপেক্ষায় থাকে ইমা। ইমার কাছে নিজের বয়সটা কোনো এক কারণে কখনই মূখ্য ছিল না। যুগ যুগ ধরেই যেন কিশোরি। তবে তার সামনে দাঁড়ানো মাত্রই প্রবাল সেন চল্লিশোর্ধ্ব।   - কি গো শিকারি, আজ খালি হাতে ফিরলে যে! বলেছি না ঘুঘু...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

Stories
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড আজকের দিনটা অবশ্যই অন্যরকম। এবং তা কেবল মার্টিনের জন্য। অস্ট্রিক এখনো ব্যাপারটা টের পায়নি। পেলে একগাদা বিশেষণ দিয়ে দিনটাই মাটি করে দিতো। অবশ্য তা অস্ট্রিক চাইলেও হবে না। দিনটা এতোটাই বিশেষ যে তা মাটি হওয়া সম্ভব নয়। মার্টিন নিজেকে স্বাভাবিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও হাতে আঁকড়ে রাখা সেন্ট্রিনোটা বারবার কেঁপে উঠছে। ওই যন্ত্রটাই তাকে সুখবরটা দিয়েছিল। আসলে মার্টিনের হাতটাই কাঁপছে। সে আজ একটি বিশেষ পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। ‘শুভ সকাল মার্টিন। সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজ এক সেগেটা, তিনশ জুলন বর্ষ। আজ তুমি তিন হাজার পাঁচ-এ পা দিয়েছ। হ্যাপি বার্থ ডে।’ [the_ad id="45355"] অস্ট্রিকের কোলে চেপে বসতেই মৃদু ঝাঁকি খেলো মার্টিন। অন্যদিনের চেয়ে বেশি। তবে গাড়িটার ফোটোনিক ক্যাবল মেরামতের প্রয়োজন আজ অনুভব করলো না। কেননা, আজকের পর থেকে অস্ট্রিককে তার প্রয়ো...
কষ্টের গল্প : লাইটার

কষ্টের গল্প : লাইটার

Stories
কথিত আছে, এই লাইটার দিয়ে নাকি কোন এক ইংরেজ লর্ড তাঁর চুরুট ধরিয়েছিলেন। আজ গুলিস্তানের মোড়ে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত উক্ত লাইটারখানা দিয়ে রফিক মিয়া তার দিনের দ্বিতীয় বিড়িতে আগুন ধরায়। সরু চেইনের সাথে বাঁধা এই লাইটার সবসময় তার গলায় ঝুলতে দেখা যায়। অদ্ভুত এক লকেটের মত লাগে। দোকানী হা করে তাকিয়ে থাকে। ‘ ভাই, এই মাল কই পাইলেন? রফিক মিয়া ভ্রু কুঁচকে দোকানীর দিকে তাকায়। চোখে স্পষ্ট বিরক্তি। ‘ এইডারে মাল কইবানা! এইডা হইল তাবিজ! জন্মের সময় দাদাজান গলায় পরায়া দিছিলেন। ‘ তাবিজ থেইকা আগুন বাইর হয়! বড়ই তাইজ্জব! রফিক মিয়া আরো উৎসাহ পায়। ‘ তাইজ্জবের দেখছডা কি মিয়া! মাইঝরাতে নিশা উডলে এই তাবিজ ছারা উপায় থাহেনা। ‘ নিশার লগে তাবিজের কি সম্মক্ক?’ দোকানী কিছুটা বিনীত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে। রফিক মিয়া জবাব না দিয়ে মৃদু মৃদু হাসে। এই লাইটার দিয়ে বিড়ি ধরালে বিড়িও চুরুটের মত মনে হয় তার কাছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে জো...
আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব

আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব

Stories
শ্রাবন্তী আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়। অতিপ্রাকৃত ভয়। নিজেকে কুৎসিত দেখবে এ ভয় তার নেই। তার রূপ বাহুল্যবর্জিত। অবশ্য দেখতে কেমন তা নিয়ে সে বিশেষভাবে কখনো ভাবেনি। তবু সে আয়না দেখে না। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই এক অপার্থিব ভয় গ্রাস করে। শ্রাবন্তীর হাইপারটেনশনের সমস্যাও নেই। তবু নিজের প্রতিবিম্ব দেখলেই তার নিঃশ্বাস দ্রুততর হয়। কপাল ঘামে। বুক ধড়ফড় করে। গলার কাছটায় কী যেন আটকে থাকে। বুকের এক কোণে তীব্র ব্যাথাও টের পায়। মনে হয়, যেন একটু পরই মঞ্চে তার ডাক পড়বে তাৎক্ষণিক অভিনয়ের জন্য। আয়না দেখে শ্রাবন্তী প্রথম ভয় পেয়েছিল ক্লাশ ফাইভে পড়ার সময়। আয়নায় নিজের চেহারা না দেখে মৃত দাদীকে দেখেছিল সেদিন। এখন অবশ্য নিজেকেই দেখে। পারতপক্ষে আয়নার মুখোমুখি না দাঁড়ালেও মাঝে মাঝে বেসিনে মুখ ধোয়ার সময় নিজেকে দেখতে হয়। দেখা মাত্রই চমকে উঠে। মনের ভেতর কে যেন বলে, ‘আরে! এতো আমি! আমি..আমি..আমি..’। অনাকাঙ্ক্ষিত এক ...
গল্প : ড্রাইভার

গল্প : ড্রাইভার

Stories
গল্প : ড্রাইভার : লিখেছেন ধ্রুব নীল কারওয়ান বাজারের মুন্সি টি স্টলে চিনি কম চায়ে চুমুক দিতে দিতে হঠাৎ সলিম ড্রাইভারের মাথায় এলো ‘সে সলিম ড্রাইভার হইলো কেন?’ মানে সলিম ড্রাইভারই কেন গাবতলী রুটের সলিম ড্রাইভার হলো। রাস্তা দিয়ে একটু আগে যে বড়লোকের মেয়েটা দমাদম চলে গেল, সলিম মিয়া তো তার ভেতরেও থাকতে পারতো। যার শরীরের দিকে চোখ ড্যাবড্যাব করে চায়ের কাপ হাতে তাকিয়ে থাকত অন্য আরেক সলিম ড্রাইভার। কিন্তু তা হয় নাই। এ নিয়ে অবশ্য সলিম ড্রাইভারের আফসোস নাই। সে ভাবছে, ‘সে হইল সলিমের ড্রাইভার। ওই মাইয়াটা তো আর সলিম ড্রাইভার হওনের মজা বুঝতাসে না।’ ‘বাড়ি গেসিলা?’ মুন্সির প্রশ্নের উত্তরে কোণাকুনি মাথা ঝাঁকালো সলিম। যেন সে গেছে আবার যায়নি। এটা নিয়েও সলিমের চিন্তার শেষ নাই। একসঙ্গে দুটো জিনিস বিশ্বাস করারও মজা আছে। সে যে দুটো জিনিস বিশ্বাস করে তা হচ্ছে, ‘সলিম ড্রাইভার দুই কিসিমের আদমি। এক সলিম ড্রাই...
সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০

সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০

Stories
সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস মায়াদ্বীপের গল্প ভবিষ্যতের। একটি দ্বীপ। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে। তবে এর বাসিন্দারা বাঙালি ও গ্রামীণ জীবন যাপন করছে। দ্বীপের শাসনভার এক কোম্পানির হাতে। গ্রামবাসীর কাছে ওই কোম্পানিই হলো সরকার। তারাই সর্বেসর্বা। গ্রামবাসীর কাছে তাদের দ্বীপটাই আস্ত একটা দেশ। বাংলাদেশের অস্তিত্ব সম্পর্কেই তারা জানে না। অন্তু নামে এক সাহসী কিশোরের মনে প্রশ্ন জাগে। সে বেরিয়ে পড়ে দ্বীপ ছেড়ে। আবিষ্কার করে তাদের মতোই আরেকটা দ্বীপ।     পর্ব-১   উত্তর-পূবের সৈকতে বিধ্বস্ত অবস্থায় হারু মাঝিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী একটার পর একটা প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। ‘তুমি কোথায় ছিলা?’ ‘তুমি কী খাইসো? তোমার হাতে পুটলিতে কী আছে?’ ‘তুমি এত শুকাইয়া গেলা কেন?’ ‘আহারে বেচারা না খাইয়া পেটে পিঠে এক হইয়া গ্যাছে।’ কেউ কেউ এসে একটা কলা কিংবা ডাব এগিয়ে ধরছে। হারু মাঝি কিছুই মুখে ...
গল্প : তৈয়ব আখন্দের মা

গল্প : তৈয়ব আখন্দের মা

Stories
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বীমা কোম্পানির জন্য দিন রাত গ্রাহকের সন্ধান করলেও তৈয়ব আখন্দকে সহসা বীমার দালাল বলে মনে হয় না। পরিপাটি ফতুয়ার ওপর মাফলার জড়িয়ে আয়নায় নিজের গোলাকার মুখখানি দেখে তৈয়ব আখন্দের মনে নতুন ভাবনার উদয় হয়। তৈয়ব আখন্দ আসলে আয়নায় কোনোদিন নিজের চেহারা দেখেনি। হয় চুল দেখেছে না হয় শেভ করা গাল। আজ সেসবের কিছুই দেখলো না। কেবলই অভ্যাসবশত আয়না দেখা। ফোনটা বেজে উঠতেই সেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে চল্লিশে পা দেওয়া তৈয়ব আখন্দ। মায়ের ফোন। যথারীতি ফোন রিসিভ করে তৈয়ব আখন্দ বলে ‘আম্মা।’ তৈয়ব আখন্দের চেহারার পরিবর্তন ও হুঁ হাঁ বলার ধরন দেখে আমরা জানতে পারি যে ওপাশ থেকে বৃদ্ধা বলছেন, ‘ও তৈয়ব, রওনা দিসস? বেলা থাকিতে আইয়া পড়। দেরি হইয়া গেলে মুসিবত।’ তৈয়ব আখন্দ ‘আইতাসি, সবুর কর।’ বলে ফোনটা রেখে আবার আয়নায় নিজের দিকে তাকাল। ভাবছে অতীতের কথা। অতীত যে কোনদিন অতীত হয়ে গেল, সেটাই ভাবার বিষয়। সময় জিনিস...
গল্প : বোয়াল মাছ এবং গাছ বন্ধুর গল্প

গল্প : বোয়াল মাছ এবং গাছ বন্ধুর গল্প

Kidz, Stories for Kids
চন্দনকৃষ্ণ পাল ১. বিলাস নদী পাহাড় থেকে নেমে একে বেঁকে প্রথমে যে গ্রামটিকে ছুঁয়েছে তার নাম হরিণাকান্দি।খুব সুন্দর এ গ্রাম।সামনে তাকালে দূরে কালচে পাহাড় । বামে তাকালে হাইল হাওরের নীল জল।আকাশ ছোঁয়া নীল জলের হাওরে কত মাছ আর জলজ প্রাণী যে আছে, তার কোন হিসেব নেই বোয়াল পরিবারের ছোট ছেলে টুনুর কাছে। টুনুদের বাস বাইক্কা বিলে।বাইক্কা বিলে মাছ ধরা নিষেধ। তাও মাঝে মাঝে মাছ চোররা হামলা করে। টুনুরা বিলের গভীরে থাকায় বেঁেচে যায়। জন্মের পর গত একবছরে বিলের সব গলি ঘুপচি বেড়ানো শেষ টুনুর । ওর ইচ্ছা একবার বিলের বাইরে কোন নদী ধরে অনেক দূর যাবে। কিন্তু সবাই ভয় দেখায়। বলে বিলের বাইরে অনেক বিপদ।সবচেয়ে বড় বিপদ মানুষ। সব ধরনের মাছই মানুষের প্রিয় খাদ্য। তাই মানুষের চোখে পড়লে আর রক্ষা নাই। দাদুর কাছে টুনু নদীর গল্প শুনেছে।দাদুই একমাত্র বোয়াল যে নদী বেড়িয়ে আবার বিলে ফিরে এসেছেন।টুনু ভাবে ও ঠিকই নদী দেখতে যাবে।এতো ভয়...
রম্য গল্প: হাবুডাস্টিং

রম্য গল্প: হাবুডাস্টিং

Stories
রম্য গল্প: হাবুডাস্টিং লেখক: ধ্রুব নীল   ‘তৈয়ব, একটা সমস্যায় পড়েছি।’ দুলাভাইয়ের কথায় অবাক হলো তৈয়ব। লোকে টাকা ধার চাওয়ার সময় এভাবে মাথা নিচু করে হালকা গলায় কথাটা বলে। তৈয়ব বেকার। সে নিজে খায়-পরে বড় বোনের সংসারে। তার কাছে টাকাটুকা ধার চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে?   ‘ইদানিং ভুলে যাচ্ছি। আবার হালকা হালকা মনেও পড়ছে। কিন্তু...।’   মাথাভর্তি টাক হওয়ার কারণে কথাটা বলার সময় মাথা চুলকোতে পারলেন না ইফতেখার সাহেব। তিনি ভাবছেন, একান্ন-বায়ান্ন এমন কোনো বয়স না। এ বয়সে এমন বিকট সমস্যায় পড়ার মানে হয় না।   ‘খুবই কমন সমস্যা দুলাভাই। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখেন। আমিও ভুলে যাচ্ছি। গতকাল একটা চাকরির এপ্লাই করার লাস্ট ডেট ছিল।’   ‘ওই ভোলা না। মানে, একেবারে ঠুস করে ভুলে যাওয়া। গত কয়েক দিন ধরে এ সমস্যা। মাথাটাও কেমন কেমন করে। পরে আবার মনে পড়ে, কিন্তু আমার মনে...
লোকজ ধাঁধা, সমাধান জানা থাকলে কমেন্টে জানান

লোকজ ধাঁধা, সমাধান জানা থাকলে কমেন্টে জানান

Stories
১. জংলাত থন আইছে ভুইত্যা পাত দিছে মুইত্যা...লেবু ২. কইরা উপুর ধইরা চিৎ ভিতরে গেলে মন পিরীত...ভাত ৩. এতগড় টান দিলে বেতগড় নড়ে কুক্কার ডিম ভাইস্যা ভাইস্যা ফিরে...বৃষ্টি ১.বড় গাঙ্গে বড় কই মাগুড়ে ভাঙ্গে কাডা এই শিলুক ভাঙ্গাইতে পারলে পাহাড়পুরের বেডা পাহাড়পুরের বেডা না তে কুতুব খাঁর নাতি এই শিলুক ভাঙ্গাইতে লাগে আশ্বিন আর কাতি।   ৪.এতো ছোট্ট দীঘিটা কইয়ে উড় উড় করে রাজা আহে বাদশা আহে তুইল্লা সেলাম করে।      ...
রহস্য ধাঁধা : পরিচয়

রহস্য ধাঁধা : পরিচয়

Stories
থ্রিলার রহস্যজট : পরিচয় লিখেছেন ধ্রুব নীল দেয়ালে স্ট্যাচুর মতো ঝুলতে থাকা পেটমোটা টিকটিকিটা দেখে যুবকের মনে হলো তার নাম আরশাদ নয়, অন্য কিছু। কিন্তু আরশাদ নামটা মাথায় আসলো কেন বুঝতে পারছে না। ভোঁতা একটা ব্যথা মাথায় ছড়িয়ে আছে। সাদা বিছানায় সে একা। বিছানাটা এত সরু যে আর কারোর থাকাও সম্ভব না। বিছানা ছেড়ে উঠে বসতে গিয়ে বুঝতে পারলো এটা হাসপাতাল। তা না হলে শরীর এত দুর্বল লাগবে কেন? মুখভর্তি দাঁড়ি। এত বড় দাঁড়ি তার কখনই থাকে না। তার মানে সে এখানে অনেকদিন ধরে, শুয়ে ছিল? নাকি ঘুমিয়ে ছিল? আজ কত তারিখ। হড়বড় করে অনেকগুলো প্রশ্ন ভিড় করলো। হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো নার্স। দুলতে থাকা জানালার কপাট লাগিয়ে দিল। যুবকের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই হাসলো। ‘আজ কত তারিখ সিস্টার?' ‘জুলাইয়ের সাত।' তারপর যেভাবে এক ঝলক বাতাসের মতো ছুটে এসেছিল, সেভাবেই আবার হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গেল মেয়েটা। ঘণ্টাখানেক শুয়ে কাটালো।...
কিভাবে গল্প লিখতে হয়  | গল্প লেখার নিয়ম

কিভাবে গল্প লিখতে হয়  | গল্প লেখার নিয়ম

প্রশ্ন ও উত্তর
আমরা অনেকেই লেখালেখি করতে চাই। হয়তো জীবনের ঘটে যাওয়া মজার কোনো অভিজ্ঞতা, নিজের প্রেমের গল্প কিংবা ভয়ানক কোনো অভিজ্ঞতা, মূলত গল্প লিখতে চাই কমবেশি সবাই। বিশেষ করে ফেসবুকের ফলোয়ার বাড়াতেও কিন্তু থাকা চাই গল্প লেখার দক্ষতা। গল্প কিভাবে লিখতে হয় বা গল্প লেখার নিয়ম কী এটা জানা থাকলে আমাদের মধ্যে যাদের লেখালেখির কোনো অভিজ্ঞতা নেই তারাও সহজে এটাওটা সাজিয়ে লিখে ফেলতে পারবেন। তবে যারা বড় গল্পকার বা সাহিত্যিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের ব্যাপারটা একটু আলাদা। তাদের মূলত আইডিয়া বা প্লটের ওপরই আগে জোর দিতে হয় বেশি। তাদের ঠিক করতে হয় গল্পটার ক্লাইম্যাক্স কোথায় হবে? জটিলতা কতটুকু থাকবে, থ্রিল কোথায় থাকবে এবং পরিশেষে গল্পের এন্ডিং কেমন হবে। তো গল্প কিভাবে লিখতে হয় এ আলোচনায় আমরা খুব গভীরে আপাতত যাব না। টুকটাক কিছু টিপস শেয়ার করা যাক।   গল্পের শুরু গল্পের শুরু হুট করে হয় না। বড় বড় লেখকরাও কি...
প্রেমের গল্প : তোমার অসীমে

প্রেমের গল্প : তোমার অসীমে

Stories
ধ্রুব নীলের প্রেমের গল্প : তোমার অসীমে রান্নাঘরে খুটখাট শব্দ। শব্দটা সাংসারিক। রবিউলের ঘুম কাটেনি। রাতে নিশ্চিত দরজা খোলা রেখেছিল। সাতসকালে আধা পরিচিত কেউ এসে হাজির। কে আসবে? রবিউলের তো পরিচিত কেই। খুটখাটের ধরন শুনে বোঝা যাচ্ছে কেউ খুব গোছালোভাবে কিছু রান্না করছে। সকালের নাস্তার সঙ্গে দুপুরের জন্য অ্যাডভান্স সবজি কাটাকুটি করলে যেমন হয়। উঠে বসে ভাবল রবিউল, চোর তো আসবে না। একটা আধা-নষ্ট টিভি আর একটা ছোট ফ্রিজ ছাড়া এই ঘুপচি ফ্ল্যাটে কিছু নেই। রান্নাঘরে উঁকি দিতেই রবিউল বুঝতে পারলো ডাক্তার দেখাতেই হবে। কারণ কোমরে টকটকে লাল শাড়ি গুঁজে শকুন্তলা টাইপের এক মায়াবতী রুটি বেলছে। চুলায় ভাজির গন্ধটাও স্পষ্ট। মাথা খারাপ হলে নাকেও সেটার প্রভাব পড়ে? ভাজিতে কালোজিরার গন্ধটা একদম পরিষ্কার। ‘দাঁড়িয়ে না থেকে বাজারে যাও।’ ‘জি।’ ‘জি জি মানে? আগে সবজি কিছু নিয়ে আসো। ফ্রিজে চিংড়ি ছাড়া কিছু নাই। এসে না...
প্রেমের গল্প : মালতী

প্রেমের গল্প : মালতী

Stories
প্রেমের গল্প : মালতী : লিখেছেন : ধ্রুব নীল চেনটা দশ ভরি হবে। বিক্রি করলে ভরিতে সত্তর হাজারের মতো পাবে। সেই হিসেবে সাত লাখ। কম না। কষ্ট করে চললে নিপু আর রাকিব অনায়াসে দুই বছর কাটিয়ে দিতে পারবে। মা আবার হার্ট অ্যাটাক করবে না তো? অবশ্য নিজের মেয়ে গয়না চুরি করেছে শুনলে না-ও করতে পারে। এ গয়না তো মেহেরুন্নেসা তার মেজো মেয়ে রেনুর জন্যই রেখেছিলেন। রেনুর বান্ধবী নিপু। এখন বান্ধবী ডাকার চল উঠে গেছে। সবাই বন্ধু। অবশ্য নিপুকে বান্ধবীই ভাবে রেনু। সেই নিপুর পলান্তি বিয়ে হবে কাল। ভোরে বাকশোপ্যাঁটরা নিয়ে চলে আসবে কাজী অফিসে। রাকিবকে ধরে বেঁধে চাকরির টোপ ফেলে রাজি করানো হয়েছে। রাকিবের কাজ হবে ঘরে বসে এটা ওটা ডিজাইন করা। মাসে ত্রিশ হাজার টাকা পাবে। পুরোটাই রেনুর সাজানো চাকরি। মাসে ত্রিশ করে দুই বছরে লাগবে সাত লাখ বিশ হাজার। শর্ত হলো দুই বছরের মাঝেই আরেকটা চাকরি জোটাতে হবে রাকিবকে। ‘আমার বান্ধবীর বিয়ে...