টিন লাইফস্টাইল
ক্যালেন্ডারে আষাঢ় পড়লেও বৃষ্টির দেখা নেই একটুও। বরং, খানিক বৃষ্টি হলেও বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার শতাংশ উত্তরোত্তর বাড়ছে। অস্বস্তির পারদ ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় রোজই কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিমে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছেন? জানেন কি, অজান্তেই আরও জড়িয়ে পড়ছেন গরমের কবলে?
কোল্ড ড্রিঙ্কের হাইপার টনিক সলিউশন (বডি ফ্লুইডের উপাদানের চেয়ে ঘন) শরীর থেকে টেনে নিচ্ছে জল। এতে উল্টে বাড়ছে শরীরে জলের চাহিদা।
একই কথা প্রযোজ্য আইসক্রিমের ক্ষেত্রেও। পছন্দের টপিং হোক বা ফ্লেভার, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব খাবার মারাত্মক ক্ষতি করছে শরীরের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর কথায়, গরমে এমনিই ডিহাইড্রেশন বাড়ে। সহজে খাবার হজম হতে চায় না। সেখানে কোল্ড ড্রিঙ্ক বা আইসক্রিমের হাইপার টনিক সলিউশন শরীরের ভিতরের ফ্লুইড থেকে জল টেনে নেয়। ফলে আরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। তাই গরমে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলো এ সব।
কী কী খাব না:
গরমে বাইরে গেলেই আমাদের প্রবণতা থাকে কাটা ফল, ঘোল খাওয়ার। বারণ সে সবেও। এমনিতেই কাটা ফল শরীরের জন্য ভাল নয়, তার উপর গরমে মাছির প্রকোপ বাড়ায় তা আরও সহজে ইনফেকশন ছড়ায়।
খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে রাস্তার ঘোল, লস্যিও। বাইরের দইতেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। এর থেকে ফুড পয়জন ও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়তে পারে।
তা হলে খাব কী?
বাইরে বেরলে একমাত্র আস্থা রাখুন ডাবের জলে। আর অবশ্যই চেষ্টা করুন বাড়ির খাবার খেতে।