Tuesday, February 18
Shadow

বন্ধুত্বের মেলবন্ধনে ‘দুরন্ত- ১৩’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষা, এসাইনমেন্ট ও ল্যাবের ব্যস্ততায় শিক্ষার্থীরা ভুলে যায় আনন্দের কথাগুলো। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হলেও এটেন্ডেসের কথা মনে পড়লেই হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। এভাবেই প্রতিদিন সকালে হালকা ঘুম নিয়ে কুয়াশা ভেদ করে দৌঁড়াতে হয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে।

ঘড়ির কাঁটায় যখন বাজে ঠিক ৯ টা ঠিক তখন ই সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে উপস্থিত ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। টক্সিকোলজি ক্লাসের পর ই শুরু হয় ইমিউনোলজি এবং সেরোলজি পরীক্ষা। পরীক্ষার পর সবাই সবার দায়িত্ব বুঝে নেই। অনেকে নিজ দায়িত্বে রান্নার সরঞ্জাম আনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় চলে যায়। পরবর্তীতে সবাই জমায়েত হয় ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে। এরপর ই শুরু হয় মুরগির পোস্টমর্টেম। ড. শাহনাজ পারভীন ম্যামের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যবহারিক কাজের অংশ শেষ হয় দুপুর ৩ টায়। 

মেহেগনির বাগানের ভেতরে খোলা আকাশের নিচে শুরু হয় চুলা জ্বালানোর কাজ। আবার অনেকে পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর এবং শসা কাটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে আবার কাজ না করার অজুহাতে নিজেকে ব্যস্ত দেখাচ্ছে !

রান্নার ফাঁকে ফাঁকে সবাই খোশগল্প, ফটোসেশন, প্রেম ও ভালোবাসার গল্পে মেতে উঠেছিলো। রান্নার গন্ধ যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন সবার ক্ষুধার যন্ত্রণাও সমানুপাতিক হারে বেড়ে গেছিলো। তবুও পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে সবাই ফটোসেশনেই ব্যস্ত ছিলো। রান্না যখন প্রায় শেষের দিকে তখন সবাই প্লেট নিয়ে বসে গেলো। সবার প্লেটে খাবার আসা মাত্র সবাই খেতে লাগলো তৃপ্তি সহকারে। দুপুরে সবাই অভুক্ত ছিলো তাই সবাই পেটভরে খাবার খেয়েছিলো। খাবার গ্ৰহণ শেষে সবাই নিজ নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। আজকের দিনটি যেমন ছিলো শিক্ষণীয় ঠিক তেমনি আনন্দের।

মোঃ আনসারুজ্জামান সিয়াম 

শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!