class="post-template-default single single-post postid-52265 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে লাখোপতি

টমেটোর বাগানগুলো বেশিরভাগই করা হয়েছে বাড়ির আঙিনা ও উঁচু জায়গায়। চাষিরা তাদের জমিতে বারি-৮ ও মঙ্গলরাজা জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। বাগান থেকেই আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 8 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। এতে চাষিদের মুখেও ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।

এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার গ্রীষ্মকালীন টমেটো বিক্রি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে।

টমেটো

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ১ হেক্টর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১ হেক্টর, আখাউড়া উপজেলায় ৩ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৮ হেক্টর ও নাসিরনগর উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টমেটোর বাগানগুলো বেশিরভাগই করা হয়েছে বাড়ির আঙিনা ও উঁচু জায়গায়। চাষিরা তাদের জমিতে বারি-৮ ও মঙ্গলরাজা জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। প্রতিটি বাগানেই থোকায় থোকায় টমেটোর ফলন এসেছে। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

বাগান থেকেই আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। কৃষক হাসিম মিয়া জানান, সারা বছরই তার জমি পতিত থাকত।

প্রায় তিন মাস আগে কৃষি অফিসের লোকজন তার বাড়িতে এসে বলেন, তিনি যদি তার পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেন, তাহলে তিনি লাভবান হবেন। তাদের পরামর্শে তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চারা রোপণ করেছেন। তাতে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।

এরই মধ্যে তিনি টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ২ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জায়গা বর্গা নিয়ে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি ৩ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি।

বিভিন্ন চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। তাই তারা টমেটোর চাষ করেছেন। আগামীতে টমেটোর চাষ আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, আমরা জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের উদ্যোক্তা তৈরি করছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি বছর ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি, এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে। আমরা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!