পাবনার সুজানগরে ধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে বিষপানে মুর্শিদা নামের এক কলেজছাত্রী (২০) আত্মহত্যা করেছেন। তিনি সুজানগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন খানের মেয়ে ও সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা দুই সন্তানের জনক ছোবদুল খান ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রী মুর্শিদাকে সাঁথিয়া উপজেলার কাশীনাথপুর মহিলা কলেজ এলাকায় তার বন্ধু আবদুস সবুরের বাসায় নিয়ে যান। এ সময় ছোবদুলের বন্ধু ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তিনি মুর্শিদাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ছোবদুলকে আটক করে। খবর পেয়ে ছোবদুলের মামাতো ভাই একই এলাকার প্রভাবশালী রিপন হোসেন এসে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় তাদেরকে ছাড়িয়ে নেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলতে মুর্শিদাকে নিষেধ করেন। কিন্তু মুর্শিদা বাড়িতে ফিরে এসে বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনের কাছে বলে দেন। এতে রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীর সহযোগিতায় গত শুক্রবার মুর্শিদাকে প্রচণ্ড মারপিট করেন। এরপর মুর্শিদা ধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে এবং মারপিট করায় ওইদিন দুপুরে বাড়ির সবার অজান্তে বিষপান করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল আলম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা একটি মামলা করেছেন। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
‘অন্ধকার ঘরে নিয়ে সাজিদ আমাকে আপত্তিকর যৌন প্রস্তাব দিয়েছিলেন’