প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মনোদৈহিক গল্প : গন্ধবয়ান
‘আস্তা পাগল না হইলে কেউ এমুন করেনি! হালায় নেংটা হইয়া মাটিতে গড়ান দিতাসে। গ্যাদগ্যাদা প্যাঁকের মইদ্দে সে কি হাসন। আমি তো ডরে ডরে চাইয়া দেখি, ভুতে ধরলো নিহি! না তো! কাছে গিয়া দেখি আমারে দেইখা পুরাই শরমিন্দা। কইলাম, কিরে দলু তোর লুঙ্গি কোনহানে তুই কোনহানে। দলু কতা কয় না। কয় না তো কয়ই না। শ্যাষে আমি চইলা যাওনের ভান নিলাম। করই গাছের চিপাত্থন দেহি দলু প্যাঁকের মইদ্দে লুঙ্গি বিচরাইতেসে। মনে হইল যাইন, হবায় ক্ষেতের মইদ্যে কোনো মাইয়া লোকের লগে আকাম কইরা অহন পলাইবার লাগসে।’
ফুলতলা গ্রামের মানুষজন মাঝে সাঝে একটু বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলেও এমনিতে তাদের সাধারণ দিনলিপিতে বিস্ময়ের স্থান বেশ সংকীর্ণ। জীবনের প্রতি চাওয়া ও চাওয়া পূরণের সঙ্গে তারা তাদের বিস্ময়বোধটাকে ব্যস্তানুপাতে মানিয়ে নিয়েছিল কয়েক পুরুষ আগে থেকেই। এর মধ্যে নতুন করে আবার অনিশ্চিত সময়কালের জন্য একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিল দলু। দবিরউদ্দিন বা মফিজ ...