Monday, January 13
Shadow

Health and Lifestyle

দ্য লিভার সেন্টার ঢাকার পরিচালক ডা. মবিন খানের পরামর্শ : দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়ের সমস্যা বা আইবিএস এ করণীয়

দ্য লিভার সেন্টার ঢাকার পরিচালক ডা. মবিন খানের পরামর্শ : দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়ের সমস্যা বা আইবিএস এ করণীয়

Cover Story, Health and Lifestyle
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে একটি হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস। এটি অন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের একটি সমস্যা, যাতে অনেক মানুষ ভোগে। লিখেছেন দ্য লিভার সেন্টার ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মবিন খান ২০ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের এবং মানসিক অস্থির প্রকৃতির পুরুষের মধ্যে আইবিএসের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে পুরুষের চেয়ে নারীদের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ এ সমস্যায় ভোগে। কারণ পরিপাকতন্ত্রের এই বিশেষ রোগ নিয়ে গবেষণার কোনো অন্ত নেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই রোগের কোনো স্বীকৃত কারণ পাওয়া যায়নি বলে একে ফাংশনাল ডিসঅর্ডারও বলে। তবে আইবিএসের কারণ ও প্রভাবক হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অনেক বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো দুটি ভাগে ভাগ করা যায় : মনঃসামাজিক ও শারীরবৃত্তীয়। মনঃসামাজিক : মনঃসামাজিক কারণের মধ্যে আছে দুশ্চিন্তা ও হতাশা। এ ছাড়া হঠাৎ অতিরিক্ত মানস...
পিজি হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম মোস্তফা জামানের পরামর্শ : খাবারের অতিরিক্ত লবণ নয়

পিজি হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম মোস্তফা জামানের পরামর্শ : খাবারের অতিরিক্ত লবণ নয়

Cover Story, Health and Lifestyle
পিজি হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম মোস্তফা জামানের পরামর্শ : খাবারের অতিরিক্ত লবণ নয় লবণ শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি হলেও অতিরিক্ত লবণ কিন্তু স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। লবণকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। দেখা গেছে, যারা লবণ কম খায়, তাদের ৮০ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ নেই। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লবণ গ্রহণ ঠিক নয়। পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান   ❏ প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনিরোগ, পক্ষাঘাত, অন্ধত্বসহ নানাবিধ জটিল অসুখ হতে পারে। ❏ হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয়ে হাড় পাতলা বা অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পাতলা হাড়গুলোর ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়, যা জোড়া লাগতে অনেক সময় লাগে। ❏ পাকস্থলীর ক্যান্সার, শারীরিক স্থূলতা হতে পারে। ❏ অ...
যকৃৎবান্ধব খাবারগুলো কী জেনে নিন

যকৃৎবান্ধব খাবারগুলো কী জেনে নিন

Cover Story, Health and Lifestyle
যকৃৎবান্ধব খাবারগুলো কী জেনে নিন দেহের দূষিত পদার্থ পরিশোধনের ফিল্টার হিসেবে কাজ করে যকৃৎ বা লিভার। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, প্রসেসড ও চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে লিভারে যথেষ্ট চাপ পড়ে এবং এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে যকৃতের কার্যকারিতা ঠিক থাকে— যকৃৎবান্ধব খাবার বিট/গাজর বিট/গাজরের মধ্যে উচ্চমাত্রার ফ্লেভিনয়েড ও বিটাক্যারোটিন রয়েছে। বিট ও গাজরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যকৃৎকে কার্যকর রাখতে সহযোগিতা করে। এগুলো রান্না করে, কাঁচা অথবা জুস করে লেবু মিশিয়ে পান করা যায়।   সবুজ শাকসবজি সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে রক্তের দূষিত জীবাণু ধ্বংস করার উপাদান ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অত্যাবশ্যকীয় খনিজ লবণ।   গ্রিন টি/কফি সবুজ চায়ে ‘ফ্লেবিনয়েড’ নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যকৃতের কার্যপরিচালনায় সহায়তা করে। এই চা নিয়মিত পান করলে যকৃতের অন্যা...
হেল্থ টিপস : জ্বর হলে যা করবেন যা করবেন না

হেল্থ টিপস : জ্বর হলে যা করবেন যা করবেন না

Cover Story, Health and Lifestyle
জ্বর হলে যা করবেন যা করবেন না জ্বর হলে যা করবেন   ►     পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। শরীরের তাপমাত্রার রেকর্ড রাখতে হবে।   ►     লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই চলে। প্রথম তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো বা অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন নয়। ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামল দিনে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ড্রপ বা সিরাপ। ►     জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে হালকাভাবে মাঝে মাঝে গা মুছে দেওয়া ও পায়ুপথে সাপোজিটরি দিতে হবে। ►     সর্দি-কাশি থাকলে সকালে ও রাতে যেকোনো অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। ►     ওষুধ সেবনের তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর নিরাময় না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ইউরিন রুটিন, রক্তের সিবিসি, রক্তের বিডাল টেস্ট অথবা রক্তের কালচার করে ইউর...
এ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ : জ্বর হলে খাবারদাবার

এ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ : জ্বর হলে খাবারদাবার

Cover Story, Health and Lifestyle
এ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ : জ্বর হলে খাবারদাবার জ্বরের সময় খাবারে যথেষ্ট অরুচি থাকে। কিন্তু জ্বর কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে  কিছু খাবার দারুণ কার্যকর। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এ্যাপোলো হসপিটালস্, ঢাকার প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী   তরল খাবার জ্বরের সময় শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে বলে তরল খাবার হজমে সহায়তা করতে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে, পানিশূন্যতা রোধ ইত্যাদিতে ভালো কাজ করে। তাই এ সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পানি পান করা উচিত। পানি ছাড়া তরল খাবার হিসেবে যা যা খেতে পারেন তা হলো— ফলের রস :  বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত লেবু, আনারস, কমলা, মালটার মতো টকজাতীয় ফলের রস বেশ উপকারী। দিনে দুই থেকে তিনবার এসব ফলের রস পান করা সম্ভব হলে তা তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগানোসহ জ্বরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে সাহায্য করে। চিকেন স্যুপ : জ্বর হলে শরীরের বিপ...
পিজি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহার পরামর্শ : কোন জ্বরে কী দাওয়াই

পিজি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহার পরামর্শ : কোন জ্বরে কী দাওয়াই

Cover Story, Health and Lifestyle
কোন জ্বরে কী দাওয়াই এখন প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি হচ্ছে। অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন নিউমোনিয়ায়। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু-কিশোরদের সংখ্যাই বেশি। তবে জ্বর নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বিশ্রাম, সাধারণ পরিচর্যা ও কিছু ওষুধ সেবন করলে বেশির ভাগ জ্বর এমনিতেই সেরে যায়। লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ কোন জ্বরে কী দাওয়াই জ্বরের অনেক ধরন থাকে। তবে জ্বরকে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ভাইরাল জ্বর এবং প্যারাসাইটিক জ্বর—সাধারণত এসব ভাগে ভাগ করা হয়। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ব্যাকটেরিয়াগুলো শরীরের কোষের ভেতর লুকিয়ে থেকে ইমিউন সিস্টেমে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। এগুলোর সংক্রমণে কান ও গলার ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, ট্রাভেলার্স ডাইরিয়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, নেফ্রাইটিস ইত্যাদির ফলে জ্বর হয়। রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন থেকে...
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রাজিবুল ইসলামের পরামর্শ : এসিডিটি হলে করণীয়

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রাজিবুল ইসলামের পরামর্শ : এসিডিটি হলে করণীয়

Cover Story, Health and Lifestyle
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রাজিবুল ইসলামের পরামর্শ : এসিডিটি হলে করণীয় খাদ্যনালি দিয়ে পাকস্থলীতে খাবার যায়। এখানে বিশেষ ভূমিকা রাখে হাইড্রোক্লোরিক এসিড, যার তারতম্যের কারণেই নানা ধরনের সমস্যা হয়। এসিডিটি এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা। অনেকেরই খাবার খেলে বুকে চাপ চাপ লাগে বা জ্বালাপোড়া হয়। পাকস্থলী থেকে এই হাইড্রোক্লোরিক এসিড বুকের দিকে চলে আসে বলে এমন হয়। জীবনযাত্রার অনেক কারণে যেমন কারো ওজন বেড়ে গেলে, পেটের আয়তন বেড়ে গেলে, গর্ভাবস্থায় এটা হতে পারে। এ ছাড়া সঠিক খাবার না খেয়ে অতিরিক্ত মসলাদার বা তৈলাক্ত খাবার, কোমল পানীয়, সিগারেট, অ্যালকোহল, কফি বা চা পান করলেও এসিডিটি হতে পারে। এসব বদ-অভ্যাস বাদ দিলে বা স্বাস্থ্যকর নিয়ম মেনে চললে এসিডিটির সমস্যা সমাধান হতে পারে।   করণীয় ♦ খাবার গ্রহণের আধাঘণ্টা পর পানি পান করলে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ওপরের দিকে ওঠে না। আবার খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়...
পিজি হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. ফরিদ উদ্দিনের পরামর্শ :  ডায়াবেটিস রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপন

পিজি হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. ফরিদ উদ্দিনের পরামর্শ : ডায়াবেটিস রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপন

Cover Story, Health and Lifestyle
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সচেতন হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখেও প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন সুস্থ মানুষের চেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সব কিছুতেই ঝুঁকি একটু বেশি থাকে। তাই সুস্থতার জন্য তাদের নিজেদের সম্পর্কে একটু বাড়তি যত্নবান হওয়া আবশ্যক। তাই কিছু করণীয় হলো— ♦ খাবারদাবারে নিয়ম মেনে পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ করুন। চিনি, মিষ্টিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। শাকসবজি ও আঁশজাতীয় খাবার খান। ♦ ক্যালরিবহুল খাবার, যেমন তেল-চর্বিযুক্ত খাবার (তেল, ঘি, মাখন, ডালডা, চর্বি, ডিমের কুসুম, মগজ ইত্যাদি) কম খান। ♦ শর্করাবহুল খাবারগুলো (চাল, আটা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি খাবার) কিছুটা হিসাব করে খান। শাকসবজি, ফলমূল বেশি খান। ♦ ফাস্ট ফুড ও কোল্ড ড...
ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডা. এম আমজাদ হোসেনের পরামর্শ : কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন করার নিয়ম

ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডা. এম আমজাদ হোসেনের পরামর্শ : কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন করার নিয়ম

Cover Story, Health and Lifestyle
কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন , যা বাংলাদেশে হচ্ছে কম খরচে। কোমর ও হাঁটুতে অল্প সময়ের অপারেশন শেষে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস বসিয়ে দেওয়ার এই চিকিৎসা নিয়ে লিখেছেন ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও অর্থোপ্লাস্টি সেন্টারের হেড ও চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন   হাঁটু ও কোমরের সমস্যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে একটু বেশি বয়সে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। হাঁটু ও কোমরের মধ্যে হাঁটুতে একটু বেশি দেখা যায়।   কোমর প্রতিস্থাপন ঊরুর হাঁড়ের অগ্রভাগ ও নিতম্বের কোটরের সংযোগস্থলকে সমন্বিতভাবে হিপ বা কোমর বলে। হাঁটাচলা বা পুরো পা মাটিতে ফেলে স্বাধীনভাবে নড়াচড়া করা যায় এই কোমরের মাধ্যমেই। কোনো কারণে এই হিপ অকার্যকর হলে তখন ওই হিপ ফেলে দিয়ে কৃত্রিম হিপ প্রতিস্থাপন করা হয়। একেই বলে হিপ রিপ্লে...
পিজি হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম কাজলের পরামর্শ : আল্ট্রাসনোগ্রাফি  মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমায়

পিজি হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম কাজলের পরামর্শ : আল্ট্রাসনোগ্রাফি মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমায়

Cover Story, Health and Lifestyle
গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি গর্ভবতী মায়ের সেবা প্রদানের শক্তিশালী হাতিয়ার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, যা মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও অপরিহার্য। দেহের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা সম্ভব। পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল   শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরের ছবি পর্দায় দৃশ্যমান করার পদ্ধতির নাম আল্ট্রাসনোগ্রাফি। ১৯৫০ সালে ডা. আয়ান ডোনাল্ড এ পদ্ধতি চালু করেন। এর শব্দতরঙ্গ আমাদের শ্রবণসীমার বাইরে। এতে কোনো তেজস্ক্রিয় রশ্মি বা এক্স-রে ব্যবহার করা হয় না বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তা এক যুগান্তকারী ও নিরাপদ রোগ নির্ণায়ক পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। দেহের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা সম্ভব।   গুরুত্ব গর্ভাবস্থার শুরুতেই অর্থাৎ মাসিক বন্ধের দুই মাস বা ছয়...
ভুড়ি কমান ঘাড়ে ও কোমড়ব্যথা কমবে

ভুড়ি কমান ঘাড়ে ও কোমড়ব্যথা কমবে

Cover Story, Health and Lifestyle
ভুড়ি কমান ঘাড়ে ও কোমড়ব্যথা কমবে   অতিরিক্ত ভুড়ি ও শরীরের ওজন দেহের কিছু পরিবর্তন আনে। ভুড়ির ভারে দেহের কোমর ভেতরের দিকে এবয় বুক পেছনের দিকে যাইতে তাকে। এতে ঘাড়েও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যখন ঘাড়ের ও কোমরের পেছনের মাংসপেশীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে তখন মাংসপেশীগুলো দিনদিন ক্লান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে ঘাড়েও ব্যথা শুরু হয়। এমতাবস্থায় চলতে থাকলে একসময় মেরুদণ্ডের দুই পাশে যে সরু চিকন রাস্তা থাকে স্পাইনাল ক্যানেল মোটা দিন দিন চিকন হয়। ফলে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে ফলে ব্যথা হাতে চলে যায়। একসময় হাত দূর্বল হয়ে পড়ে এক বলা হয় মায়োলোপোথন। আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন, সামান্য ভুড়ি বা স্বাস্থ্য বেশি হওয়ার জন্য এতো সমস্যা হতে পারে? এছাড়াও আপনি কোমর হাঁটু বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথায় ভুগতে পারেন, সমস্যা হতে পারে হৃৎপিণ্ড ও কিডনিতে। ফুসফুসের সমস্যার জন্য হতে পারে অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা। শুধু জানলেই হবে না। সে অনুযায়ী পরিশ্রম...
শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয়

শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয়

Cover Story, Health and Lifestyle, Kids Health
শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয় ডায়রিয়া শুরু হলেই শিশুর সব খাবারদাবার বন্ধ করে দিয়ে নির্জলা উপোসের যে সনাতন প্রথা, চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই চরম উন্নতির দিনেও সেই প্রথার প্রতি আনুগত্য একেবারে বিরল নয়। শরীর থেকে জল বা খাবার প্রচুর পরিমাণে বেরিয়ে গেলে সেই অভাব পূরণ করাটাই হল চিকিৎসাবিজ্ঞানের বহুকালের বিধান। তবু বড়দের মতো শিশুদেরও পেট খারাপ হলেই জল বা খাবার নিয়ন্ত্রণে এমনকী বহু শিক্ষিত মানুষ আজও আগ্রহী। বাচ্চাদের যে কোনও ডায়রিয়াতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার, হাতের কাছে ডাক্তার পাওয়া না গেলে সময় নষ্ট না করে চলে যেতে হবে সবচাইতে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে।মৃদু জলশূন্যতা থেকে ছোট শিশুর খুব তাড়াতাড়ি তীব্র জলশূন্যতার পরযায়ে চলে যেতে পারে। এরকম তীব্র জলশূন্যতায় বাচ্চার শিরায় নানা ধরনের ‘ফ্লুইড’ না দিতে পারলে বাচ্চাকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয় ১। বাচ্চা স...
শিশুর বৃদ্ধি-বিকাশ আর খাদ্য-পুষ্টি

শিশুর বৃদ্ধি-বিকাশ আর খাদ্য-পুষ্টি

Cover Story, Health and Lifestyle, Kids Health
শিশুর বৃদ্ধি-বিকাশ আর খাদ্য-পুষ্টি   শিশুর বেড়ে ওঠা বা শিশুর শক্তি স্ফূর্তি প্রাণচাঞ্চল্য এসবের জন্যই দরকার বয়সে অনুপাতে উপযুক্ত পুষ্টি। পুষ্টি আসে নানা ধরনের খাবারদাবার থেকে। শিশুর সাভাবিক খাওয়ারদাওয়ার ব্যাপারটা এত গোলমেলে যে শিশুর জন্য এই পুষ্টিটুকু জোগান দিতে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ওদের চাই আরও অতিরিক্ত খাদ্য। শিশুর জন্য নানা ধরনের হেলথ ফুড বানান যাঁরা, তাদের দাবি এরকম। এঁরা দাবি করেন, শরীরের রোজকার প্রয়োজনীয় ক্যালোরির চাহিদা মেটাতে, প্রোটিন ফ্যাট কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি অত্যাবশ্যক নানা ভিটামিন আর আয়রন ক্যালসিয়াম কপার জিংকের মতো খনিজ লবণ শরীরে জোগাতে এরকম হেলথ ড্রিংক শিশুকে সাহায্য করে অনেকটাই। এগুলো নিয়মিত খেলে শিশু অপুষ্টির শিকার হয না। বাড়ে তরতর করে, শরীরমনের বিকাশ হয় দ্রুততর। বৃদ্ধি বলতে শিশুর বহিরঙ্গ বেড়ে ওঠা। আকারে, আয়তনে শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে থাকা। আর বিকাশ বলতে কাজক...
নাক ফোঁড়ানোর পর পেকে গেলে যা করতে হবে

নাক ফোঁড়ানোর পর পেকে গেলে যা করতে হবে

Cover Story, Health and Lifestyle
নাক ফোঁড়ানোর পর পেকে গেলে যা করতে হবে নাক অল্প বয়সেই  ফোঁড়ানো ভালো, পরে চামড়া পরিপক্ক হলে সহজে সুখায় না । নাক ফোঁড়ানোর পর পেকে পুঁজ হওয়া একটি সাধারন ও স্বাভাবিক সমস্যা, না হলেই বরং অস্বাভাবিক।  নাক ফোড়ানোর পর পেকে গেলে কি করা উচিত ? কিভাবে তাড়াতাড়ি ক্ষত শুকানো যায় ? আসুন জেনে নেই । → নাক পেকে গেলে প্রথমে স্যাভলন দিয়ে নাকটি ভাল মত পরিস্কার করুন → মনে রাখবেন নাক ফোঁড়ানোর ৩ দিনের মধ্যে নাকে ঘাম বা পানি লাগান যাবে না । পড়ুন  মেনোপজ নিয়ে নারীর ভ্রান্ত ধারণা → মসুর ডালের ভেতর যে ছোট ছোট কাঠি পাওয়া যায় তা ভালমত পরিস্কার করে নাকে দিয়ে রাখুন তা না হলে নতুন মাংস হয়ে তৈরি করা ছিদ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। → অনেক সময় নাক ফোড়ঁ শিরার উপর পড়লে এমন হয়. সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই ছিদ্র টা বন্ধ করে আবার নতুন করে নাক ফোরাতে হবে → শুকনো মরিচের ভেতর সরিষার তেল ...
ডা. রাজিবুল ইসলামের পরামর্শ : পুড়ে গেলে যা করবেন

ডা. রাজিবুল ইসলামের পরামর্শ : পুড়ে গেলে যা করবেন

Cover Story, Health and Lifestyle
পুড়ে গেলে যা করবেন সাধারণ পোড়ায় করণীয় সাধারণত ত্বকের ওপরের স্তর বা এপিডার্মিস পুড়ে গেলে তাকে মাইনর বা ফার্স্ট ডিগ্রি বার্ন বলে। এপিডার্মিসের নিচের স্তর ডার্মিসের অংশবিশেষ পুড়লে একে সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন বলে। এ রকম পোড়া তিন ইঞ্চির বেশি না হলে তাকে মাইনর বার্নের শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ত্বকের ওপরের ভাগ লাল হয়, ফুলে যায় কিংবা ফোসকা পড়ে। তীব্র জ্বালা বা ব্যথাও হয়। এ সময় করণীয় হলো— ❏ প্রথমেই পোড়া স্থানে ১০-১৫ মিনিট অথবা ব্যথা থাকলে আরো বেশি সময় ধরে ঠাণ্ডা পানি ঢালুন। ❏ আংটি অথবা শরীরের সঙ্গে টাইট হয়ে লেগে রয়েছে, এমন দ্রব্য খুলে ফেলুন। ❏ শরীরে ফোসকা পড়ে গেলে গলাবেন না। ❏ আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল, ময়েশ্চারাইজার লাগানো যাবে। সরাসরি কোনো ব্যথানাশক, বরফ, তুলা, ডিম, টুথপেস্ট লাগাবেন না। এতে বরং সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ❏ ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ও টিটেন...

Please disable your adblocker or whitelist this site!