class="archive paged category category-stories category-11 wp-custom-logo paged-12 category-paged-12 group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Stories

সত্যিকারের ভূত : ঝাড়তলার বিভীষিকা

সত্যিকারের ভূত : ঝাড়তলার বিভীষিকা

Cover Story, Stories
ত্রিশাল উপজেলার বীররামপুর গ্রাম। ঝাড়তলা নামে একটি জায়গা আছে এ গ্রামে। সেখানে চলছে ভূতুড়ে সব কাণ্ড। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঝাড়তলার সত্যিকারের ভূত এর ঘটনা জানাচ্ছেন মো. মাঈন উদ্দিন নামাপাড়া বীররামপুর গ্রামের মোটামুটি বিচ্ছিন্ন একটি পাড়া। এই পাড়ায় তিন-চার হাজার মানুষের বাস। প্রায় আধা কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পার হয়ে পাকা সড়কে আসতে হয় তাদের। কাঁচা রাস্তার এক জায়গায় আছে একটি বাড়ি। বাড়িটির নাম নয়াবাড়ি। নামে নয়া হলেও অনেক পুরনো। নয়াবাড়ির সারিবদ্ধ ঘরগুলো সব পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে বিরাট জঙ্গল। জঙ্গলের পশ্চিম পাশে—অর্থাৎ পেছন দিক দিয়ে একটা রাস্তা আছে। রাস্তার সঙ্গেই বাঁশঝাড়। বাঁশঝাড় থেকেই ওই জায়গার নাম হয়েছে ঝাড়তলা। দিনের বেলায় আবছা অন্ধকার। সন্ধ্যার পর আঁধার আরো ঘন হয়ে ওঠে এখানে। ওই সময় পারতপক্ষে কেউ এদিক দিয়ে একা আসা-যাওয়া করে না। নামাপাড়ার পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাসিন্দা জাফর। তিনি জানান, ‘একদ...
জোকস : জেলখানায় সদ্য আসা কয়েদীকে

জোকস : জেলখানায় সদ্য আসা কয়েদীকে

Cover Story, Stories
জেলখানায় সদ্য আসা কয়েদীকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘কি অপরাধে তোমাকে এক বছরের জন্য এখানে পাঠানো হল?’ কয়েদী : জ্বী, এক টুকরো মানে হাত চারেকের মত দড়ি চুরি করার অপরাধে। জেলার : এক টুকরো দড়ি চুরির জন্য এক বছর জেল! অসম্ভব! কয়েদী : দড়িটার ও মাথায় একটা গরু বাঁধা ছিল যে! বাবা : জানিস মাত্র দশ টাকা পকেটে নিয়ে এই ঢাকার শহরে এসেছিলাম। আর সেই দশ টাকা থেকে আমি এখন লাখপতি। ছেলে : বল কি বাবা! মাত্র দশ টাকা থেকে লাখপতি কিভাবে হলে? বাবা : কিভাবে মানে! দশ টাকা দিয়ে আমি আমার বাবার কাছে ফোন করে বললাম, ‘আব্বা আমি ঢাকার শহরে ব্যবসা করব। জলদি পঞ্চাশ লাখ টাকা পাঠাও।’ প্রথম বান্ধবী : জানিস, তুই যখন ধবধবে সাদা শাড়ি পরে কপালে একটা বড় লাল টিপ পড়িস, তখন তোমাকে কার মতো লাগে? দ্বিতীয় বান্ধবী : না তো, কার মতো লাগে রে? প্রথম বান্ধবী : না ইয়ে মানে এ্যাম্বুলেন্স এর মতো লাগে। এক লোক বাজারে যাওয়ার সময় দেখল, অন্য আরেক...
গল্প : ঘুরপথে – তনুশ্রী দাস

গল্প : ঘুরপথে – তনুশ্রী দাস

Health and Lifestyle, Stories
‘এই পরাগ, শুনে যা একবার। পালাচ্ছিস কোথায়?’’ পরাগ গলাটা শুনে ফিরে তাকাল না। কিন্তু দাঁড়িয়ে পড়ল। খেপিটা আবার পাকড়েছে। তোয়া ডাকলে পালানো মুশকিল। স্বচ্ছতোয়া লাফাতে-লাফাতে এসে হাজির, ‘‘কী রে, দু’দিন ধরে হুটপাট কেটে পড়ছিস? আমার ভাইরাল ফিভার হল, একবার খোঁজও নিলি না। কেমন বন্ধু তুই?’’   পরাগের খুব অপরাধবোধ হল। তোয়া মেয়েটা খুব ভাল। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে পরাগের প্রথম যে বন্ধু হয়েছে, সে হল তোয়া। তোয়া খুব মেধাবী। ও সবসময় পরাগকে হেল্প করেছে। শুরুতেই পরাগের জন্ডিস হয়েছিল। তখন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক থিওরির ক্লাসনোট্স ওকে হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠিয়েছিল তোয়া। পরাগ খুব অবাক  হয়েছিল, ওর ফোন নম্বর ও তো তোয়াকে দেয়নি। পরে জেনেছিল, লাইব্রেরিয়ান সুধাম্যাডামের কাছ থেকে নম্বরটা ম্যানেজ করেছে তোয়া। লাইব্রেরির ফর্ম ফিল আপের সময় পরাগ ফোন নম্বর দিয়েছিল। আসলে পরাগ ছোটবেলা থেকেই একটু লাজুক আর মুখচো...
হরর-রোমাঞ্চ গল্প : লাশের গায়ে জোৎস্না পড়ে না

হরর-রোমাঞ্চ গল্প : লাশের গায়ে জোৎস্না পড়ে না

Cover Story, Stories
[একটি সবিনয় নিবেদন: আমাদের আয় নেই বলে লেখকদের আমরা খুব একটা সম্মানি দিতে পারি না। তবে লেখকরা লেখা থামান না। তারা লিখছেন। তাই পাঠকদের কাছে অনুরোধ, গল্প বা লেখা ভালো লেগে থাকলে লেখকের জন্য একটা নামমাত্র সম্মানি দিতে পারেন। সম্মানি আমাদের “নগদ” একাউন্টে পাঠাতে পারেন: নম্বর 01407-885500]   সাইদুর রহমান ইদানীং বেশ ভুলে যাচ্ছেন। চায়ে যে চিনি নেই, সেটা টের পেলেন কাপ অর্ধেক খালি হওয়ার পর। কলেজের কাজে ছোটাছুটি করতে হয় বেশি। তবু মনে হয় সারাক্ষণ মাথাটা ঝিম মেরে আছে। কোনো কাজই করছেন না। ‘...এই ধরেন স্যার চল্লিশ পাঁচচল্লিশ বছর হইবো।’ ‘হ্যাঁ? কী..?’ ‘আপনে স্যার কথাই শোনেন নাই।’ ‘না না.. তুমি একটা লোকের কথা বলছিলে। গ্রামের। কী যেন নাম.. আবদুল মতিন। হ্যাঁ.. লোকটা মারা গিয়েছিল।’ ‘স্যার আপনি শোনেন নাই। লোকটার নাম নুরুল বেপারি।’ ‘ইদানীং কিছু মনে টনে থাকে না। এক কাজ করো। গোড়া থেকে ধরিয়ে দাও।’...

একটি প্রেমের গল্প – অভিজিৎ দাস

Cover Story, Stories
তিনদিন হল শোভন বাড়ি থেকে বেরয়নি। নতুন যে কাজটা পেয়েছে, সেখান থেকে ছুটি নিয়েছে। বাড়ির লোক ভাবছে, হয়তো শরীরটা খারাপ। খোঁজখবর নেবে ভেবে অনিমেষ একদিন শোভনের বাড়িতে হাজির হল। সে শোভনের একেবারে বাচ্চাবেলার বন্ধু। একই সঙ্গে ওঠাবসা। ঘরে ঢুকে অনিমেষ শোভনকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘কেমন আছিস? শুনলাম ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছিস?’’ শোভন উত্তর দেয়, ‘‘কী করব বল, অক্ষম পুরুষ। ভিতরে-ভিতরে জ্বলে-পুড়ে মরছি। এদিকে বন্ধুবান্ধব যার সঙ্গেই দেখা হয় সেই বলছে যে কুহেলির ব্যাপারটা আমি যেন সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করি। ওর নাকি আর কিছু করার ছিল না। অর্থাৎ, ‘তুমি যে চাকরি পেয়েছ তাতে বউকে সমস্ত সুখ-সুবিধে দিতে পারবে না। কুহেলি তোমায় বিয়ে করবে কেন?’ কথাটা অস্বীকারও তো করতে পারি না।’’ অনিমেষ বলল, ‘‘তোর মাইনের টাকায় সংসার চালানো একেবারে অসম্ভব নয়, তবে কষ্ট আছে। তা, কুহেলির শেষ কথাটা কী?’’ শোভন বলল, ‘‘কুহেলি বলেছে এই চাকরিতে...
মঞ্চনাটক নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী : ড. ইনামুল হক

মঞ্চনাটক নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী : ড. ইনামুল হক

Cover Story, Entertainment, Stories
একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষক। স্বাধীন বাংলাদেশের টিভিতে প্রচারিত প্রথম নাটকটি তাঁর লেখা। ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম নাটকও তাঁর। প্রতিষ্ঠা করেছেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, নাগরিক নাট্যাঙ্গনের মতো নামকরা সব প্রতিষ্ঠান। আজকের কথায় কথায় বৈচিত্র্যে ভরা জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরেছেন ড. ইনামুল হক । তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন গাজী খায়রুল আলম শৈশবের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক ড. ইনামুল হক : ৭ মার্চ ১৯৪৩ সালে ফেনী জেলার মোটবী গ্রামে আমার জন্ম। শুনেছি আমার তখন দেড় বছর বয়স। মা তাঁর পিত্রালয়ে বেড়াতে গিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। মায়ের মারা যাওয়ার খবরটা আমাকে কেউ বলেনি। আমি যাঁদের কাছে বড় হয়েছি, আমার ফুফা-ফুফু তাঁদেরই বাবা-মা বলে জানতাম। মায়ের কোনো স্মৃতি আমার নেই। তাঁর কোনো ছবিও দেখিনি। আমার ফুফা ছিলেন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) কর্মকর্তা। মায়ের মৃত্যুর পরই ফুফা তাঁর কর্মস্থলে (এ...
একটি প্রেমের গল্প – অভিজিৎ দাস

একটি প্রেমের গল্প – অভিজিৎ দাস

Cover Story, Stories
তিনদিন হল শোভন বাড়ি থেকে বেরয়নি। নতুন যে কাজটা পেয়েছে, সেখান থেকে ছুটি নিয়েছে। বাড়ির লোক ভাবছে, হয়তো শরীরটা খারাপ। খোঁজখবর নেবে ভেবে অনিমেষ একদিন শোভনের বাড়িতে হাজির হল। সে শোভনের একেবারে বাচ্চাবেলার বন্ধু। একই সঙ্গে ওঠাবসা। ঘরে ঢুকে অনিমেষ শোভনকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘কেমন আছিস? শুনলাম ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছিস?’’ শোভন উত্তর দেয়, ‘‘কী করব বল, অক্ষম পুরুষ। ভিতরে-ভিতরে জ্বলে-পুড়ে মরছি। এদিকে বন্ধুবান্ধব যার সঙ্গেই দেখা হয় সেই বলছে যে কুহেলির ব্যাপারটা আমি যেন সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করি। ওর নাকি আর কিছু করার ছিল না। অর্থাৎ, ‘তুমি যে চাকরি পেয়েছ তাতে বউকে সমস্ত সুখ-সুবিধে দিতে পারবে না। কুহেলি তোমায় বিয়ে করবে কেন?’ কথাটা অস্বীকারও তো করতে পারি না।’’ অনিমেষ বলল, ‘‘তোর মাইনের টাকায় সংসার চালানো একেবারে অসম্ভব নয়, তবে কষ্ট আছে। তা, কুহেলির শেষ কথাটা কী?’’ শোভন বলল, ‘‘কুহেলি বলেছে এই চাকরিতে...
সহবাস : আন্দালিব রাশদী

সহবাস : আন্দালিব রাশদী

Cover Story, Stories
সহবাস : আন্দালিব রাশদী সহবাস শুনেই রতিক্রিয়ার দৃশ্য কল্পনা করে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে জিবে কামড় বসাবেন না। সহবাসের আরো মানে আছে : পতি-পত্নীরূপে বাস। একসঙ্গে বসবাস। আপনি বলবেন, মানলাম পতি-পত্নীরূপে বাস। কিন্তু পতি-পত্নী কি পরস্পরের বুড়ো আঙুল চোষে? সম্ভবত নবদম্পতির হ্যাংওভার থেকে এখনো বেরোতে পারেননি। কিছুটা সময় যেতে দিন। দেখবেন সহবাসকালে পরস্পরের বুড়ো আঙুল কেন, নিজের বুড়ো আঙুলও কেউ চোষে না। তাদের বিছানাটা ভালো করে দেখবেন ঠিক মাঝখান বরাবর চীনের প্রাচীর দাঁড়িয়ে গেছে। সহবাস : আন্দালিব রাশদী একই ছাদের নিচে একই কক্ষে স্ত্রী ও স্বামী চীনের প্রাচীরে এপারে ও ওপারে বসবাস করছেন, একে কি সহবাস বলবেন না? আপনি বলবেন, দূর, কিসের চীনের দেয়াল, মাঝবরাবর একটা সুতাও নেই। তাহলে শুনুন, এটাই হচ্ছে দাম্পত্যজাদু। এ জাদুর জন্য হুডিনি হতে হয় না, পিসি সরকার কী জুয়েল আইচ হতে হয় না। দেয়ালকে অদৃশ্য করে র...
হাসান মাহামুদের গল্প : একই ছাদের তলে বিভক্তির মঞ্চায়ন

হাসান মাহামুদের গল্প : একই ছাদের তলে বিভক্তির মঞ্চায়ন

Stories
হাসান মাহমুদের গল্প :  একই ছাদের তলে বিভক্তির মঞ্চায়ন হাসান মাহামুদ বিদ্যুৎ নেই অনেক ক্ষণ হয়েছে। আসার যেন নামও নেই। আইপিএসের লাইনে টিউবলাইট জ্বলছে, তাই বিদ্যুতের অভাব খুব একটা বুঝছে না আদ্রিতা। মায়ের পাশে খাটে উপুড় হয়ে শুয়ে শুয়ে হোমওয়ার্ক করছে সে। কিন্তু সময় কাটছে না এলিনের। টেলিভিশন বা সিডি প্লেয়ার চলছে না। তার উপর বিকেল থেকে বিচ্ছিরি রকম এক বিরক্তি ছেয়ে আছে তাকে। সবকিছুতেই কেমন যেন এক সহ্যহীন অস্থিরতা। এই সময়টা প্রতিদিন একা একাই কাটে এলিন আর আদ্রিতার। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে রাত ১২টার পর বাসায় ফেরা মাহতাবের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুপুরে খাওয়ার পর দুতিন ঘন্টা ঘুমায়। এরপর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অফিসেই থাকে। ঠিকাদারির কাজ চালিয়ে নেয়ার সুবিধার্থে নেয়া হলেও এখন সব কাজের ঠিকানা পুলপারের অফিসটি। সন্ধ্যা নাগাদ ব্যবসায়িক কাজ শেষ হয় তার। পরের সময়টা নেহাত অপচয়। অবশ্য বাসায় ফেরার টানও নেই তার।...
ঘুরে আসি চা-এর দেশে

ঘুরে আসি চা-এর দেশে

Stories, Travel Destinations
  চায়ের দেশে চা না খেলে তো চলে না। সেই চায়ের বাগান ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে মন্দ হয় না। এই শীতে বেড়াতে যেতে পারেন দেশের চা বাগানগুলোতে। উঁচু-নিচু টিলার গায়ে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের রাস্তার এক পাশজুড়ে উঁচু-নিচু টিলার গায়ে দেশের প্রথম চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান। আড়াই হাজার একরের বাগানটি ১৮৫৪ সালে তৈরি। ১২০০ একরে বাগান, ৭০০ একরে রাবার, বাকিটুকুতে শ্রমিকদের বাসস্থান, গাছপালা ও জঙ্গল। বাগান এলাকায় আছে হজরত শাহজালাল (রা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত হারুং হুড়–ং গুহা, শিবমন্দির, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ। মালনীছড়া থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিমানবন্দর রোডের বাঁ পাশ ঘেঁষে আছে লাক্কাতুরা, আলী বাহার, কেয়াছড়া চা বাগান। আছে ইকো পার্ক, অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডও। যেতে চাইলে ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, রাজারবাগ ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রিনলাইন, শ্যামলী, সৌদিয়া, ...
গল্প : বড় হওয়া – রিমা বিশ্বাস

গল্প : বড় হওয়া – রিমা বিশ্বাস

Cover Story, Stories
কুহেলির কথা জানার পর থেকে সুপ্রিয়ার মনটা চঞ্চল হয়ে রয়েছে। ছেলেটা বুঝতে দেয়নি কিচ্ছু! কবে থেকে এসব চলছে কে জানে! যখন রোহন ছোট ছিল তখন তো জল খাওয়ার আগেও মাকে জিজ্ঞেস করত। সুপ্রিয়ার শান্তিতে কোথাও যাওয়ার জো ছিল! মা খেতে না-দিলে খাবে না। কত বলত, ঠাম্মা খেতে দিক খেয়ে নে। ছেলে শুনবে? তারপর যখন পুজোর জামাকাপড় কেনা হত? সব দায়িত্ব মায়ের! মা যেমন কিনবে! সেদিনই তো খটকা লাগল সুপ্রিয়ার। যেবার ছেলে বলে কিনা ওর পিচ ‌রংয়ের শার্ট চাই! যে ছেলের কখনও জামাকাপড় নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই তার আবার এমন শখ! তাও ভেবেছে, কী জানি! বড় হচ্ছে। শখ বদলাচ্ছে। একদিন বলে, ‘‘কই মাছ খাব!’’ শুনে অবাক সুপ্রিয়া, ‘‘তুই খাবি মাছ? আবার কই!’’ ‘‘হ্যাঁ! বাঙালি হয়ে সব মাছ না চেনাটা লজ্জার। বাবাকে বোলো তো রবিবার-রবিবার ভ্যারাইটিজ় মাছ আনতে।’’ সেদিন থেকেই সন্দেহ দানা পাকতে শুরু করে। যে ছেলে মাংস, ডিমের অতিরিক্ত কিচ্ছুটি...
বিকাল পাঁচটার জোকস

বিকাল পাঁচটার জোকস

Stories
জোকস ১ থানার সামনের খোলা জায়গায় লোকজন ইচ্ছামতো গাড়ি পার্ক করে যায়। শান্তিপ্রিয় পুলিশদের চলাচলে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিল এটা। কিন্তু এলাকাবাসীর সঙ্গে থানার পুলিশদের খুব ভাল সম্পর্ক তাই মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না তারা। তো নতুন আসা স্মার্ট ওসি সমস্যা শুনে মুচকি হাসলেন। এরপর থানার সামনে একটি বোর্ড টানিয়ে দিলেন যাতে লেখা: নো পার্কিং জোন। পার্ক করলে ৫০০/- জরিমানা। কিন্তু এমন সতর্কতা কেউ মানে না। যে যার মতো গাড়ি পার্ক করেই যাচ্ছে। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় পুলিশ কিছু বলে না। একদিন আইজি সাহেব এলেন ওই থানা পরিদর্শনে। ওসি থেকে নিয়ে চাপরাশি সবাই আইজিকে চোখের পানিতে বুক ভিজিয়ে নিজেদের হতাশার কথা জানালেন। তারা লজ্জিতভাবে জানালেন যে তাদের মাত্রাতিরিক্ত ভালোমানুষির কি মূল্য তারা দিচ্ছেন। আইজি গম্ভীর মুখে সব শুনে এক কনস্টেবলকে বললেন বোর্ডটা নিয়ে আসতে। বোর্ড আনা হলো। তিনি নিজ হাতে বোর্ড ...

সুসপ্ত পাঠকের ফেসবুক স্ট্যাটাস : বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী

Op-ed, Stories
সুসপ্ত পাঠক '' ক্লিনটন যখন ক্ষমতায় তখন একজন সাধারণ মার্কিন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাঁকে মনিকা লিউনস্কির লেখা একটি বই উপহার দিয়েছিলেন, যে বইটি ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির যৌন কেলেংকারি নিয়ে লেখা। একজন রানিং প্রেসিডেন্ট, তার ওপর বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টকে বিব্রত করে নিরাপদ ও স্বাভাবিক থাকাটা মার্কিন গণতন্ত্রেই সম্ভব…। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী। এখানে চরম মাত্রায় গণতন্ত্র বিরাজ করে। যেমন ধরুন খালেদা জিয়া মাত্র কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় করেই এখন জেল খাটছেন। তিনি কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির মত একটি দলের প্রধান, তবু আইন তাঁকে সমান চোখেই দেখেছে। এটিই গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতিফলন। আবার তারেক জিয়ার কথাই ধরুন, তাঁর মত একক ক্ষমতা বাংলাদেশে কেউ আগে কোনদিন ভোগ করেনি। তাঁর আঙ্গুলের নির্দেশে দেশের সকল সিদ্ধান্ত বদলে যেত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ক...
আহারে মা …আমাদের মা ..

আহারে মা …আমাদের মা ..

Op-ed, Stories
মায়েদের মুখে মুরগির রান কিংবা ব্রেস্ট পিস কখনোই মজার না, তাঁদের মুখে মজা লাগে মুরগির গলা, পা, পাখনা। মাছের মাঝামাঝি পিস কিংবা মাথা খাইলে নাকি তাঁদের মাতাল মাতাল লাগে, কাঁটাওয়ালা লেজ পিসটাই মায়ের জন্য পারফেক্ট। গরুর মাংসের তরকারির ঝোল আর এক টুকরা আলু দিয়েই পেট ভরে খেতে পারে আমাদের মায়েরা, কিন্তু এক টুকরো মাংস পাতে নিলেই তাঁদের খাবার বেশি হয়ে যায়। আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজু এসব ভাজতে গিয়ে যেই দু'এক পিস একটু বেশি ভাজা হয়ে যায় সেই পিসগুলো খাওয়ার জন্য মায়েরা বদ্ধ পরিকর, পারফেক্ট ভাজা পিসগুলো তাদের রুচিতে ঠিক যায় না। বাটি ভর্তি তরকারি তুলে রাখে নিজ হাতেই, কিন্তু সেখান থেকে এক চামচ ঝোল নিতে তাঁদের মন চায়না। তাঁরা, পাতিলের পোড়া অংশটুকুতে ভাত নিয়ে খেয়ে ফেলে। খাবারে এমন সব অদ্ভুত রুচি নিয়েই আমাদের মায়েরা পার করে দিচ্ছে বছরের পর বছর। আমি আগে বুঝতাম না, মায়েরা এমন করে কেন? আমি বুঝতাম না, মায়েরা দিব্য...
মুচিপাড়ায় কুকুরদের জীবনে কেয়ামত নেমে আসা সেই সকালের গল্প : লুৎফর রহমান রিটন

মুচিপাড়ায় কুকুরদের জীবনে কেয়ামত নেমে আসা সেই সকালের গল্প : লুৎফর রহমান রিটন

Cover Story, Op-ed, Stories
ওয়ারিতে আমাদের বাড়িটা ছিলো হেয়ার স্ট্রিটে। হেয়ার স্ট্রিটের ওটাই ছিলো শেষ বাড়ি। আমাদের বাড়ির সীমানা থেকেই উত্তর মৈশুন্ডি-বনগ্রামের শুরু। আমাদের বাড়িটার ডান ও বাঁ পাশে রবিদাস সম্প্রদায়ের লম্বা ঘন বসতি। এটাকে সবাই চিনতো মুচিপাড়া নামে। রবিদাস সম্প্রদায়ের পুরুষেরা অধিকাংশই জুতো সেলাই ও জুতো সারাইয়ের কাজ করতেন। মুচিপাড়ার বেশিরভাগ ঘরেরই ছিলো মাটির দেয়াল আর টিনের চাল। অল্প ক’টা বাড়ির দেয়াল ছিলো ইটের। অর্থাৎ খুবই গরিব ছিলো ওরা। আমাদের বাড়িটা যখন একতলা ছিলো তখন ছাদে দাঁড়ালে দুপাশে মুচিদের বস্তির টিনের টানা লম্বা ছাদ দেখতে পেতাম। ওদের ঘরগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়া ছিলো। আলাদা কোনো ছাদ এবং প্রাইভেসি ওদের একেবারেই ছিলো না। দিনরাত হইচই চিৎকার চ্যাঁচামেচি আর ভয়াবহ সব গালাগালের ডিপো ছিলো মুচিপাড়া। আমাদের বাড়ির একেবারে কাছেই ছিলো মুচিদের জন্যে নির্মিত কলপাড়। এখান থেকেই ওরা নিত্যদিনের...

Please disable your adblocker or whitelist this site!