Stories Archives - Page 12 of 20 - Mati News
Saturday, December 6

Stories

আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

Stories
ধ্রুব নীলের রহস্য গল্প ১ রাত সাড়ে দশটা। বছর দশেক হবে মেয়েটার বয়স। মায়াবি চোখ। কোঁকড়া চুল। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। ঘুণে ধরা টেবিলের সামনে নড়বড়ে এক চেয়ারে বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছে কারো জন্য। ছোট্ট ঘরটায় অল্প পাওয়ারের বাতির মিটিমিটি আলো তার ঘুমটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে যেন। যে করেই হোক জেগে থাকতে হবে। অপেক্ষার পালা শেষ হলো আধঘণ্টা পর। দরজা খোলার শব্দ শুনেই বোঝা যায় চুপিসারে ঢুকেছে কেউ একজন। মেয়েটা সচকিত। ড্রয়ার খুলে পেনসিল আর খাতা নিয়ে টেবিলে রাখল ঝটপট। পেনসিলের ডগাটা পরখ করে নিল। একদম তৈরি ওটা। শার্পনার আর ইরেজারও হাতের নাগালে। মেয়েটার পেছনে এসে দাঁড়াল লুঙ্গি আর পুরনো সোয়েটার পরা মধ্যবয়সী লোকটা। যে কিনা একটু আগেই ঘরে ঢুকেছে। কোনো কথা না বলে হাতের মোবাইল ফোনটা রাখল মেয়েটার সামনে। স্ক্রিনে এক যুবকের ছবি। ঘাড় বাঁকিয়ে ছবির দিকে তাকাল মেয়েটা। তাকিয়েই রইল। চোখ আর ফেরাল না। খাতার ওপর চলতে শুরু করল প...
আধিভৌতিক গল্প : জাদুকরের প্রতিশোধ | ধ্রুব নীল

আধিভৌতিক গল্প : জাদুকরের প্রতিশোধ | ধ্রুব নীল

Stories
রাস্তায় জটলা দেখলেই বুক চিতিয়ে জায়গা করে নেন আলমগীর মিন্টু। লম্বায় ছফুট, শক্তসমর্থ, জিম করা পেটা শরীর। নিজের শারীরিক শক্তি দেখানোর জন্য ‘দেখি তো’ ‘সরে দাঁড়ান’ বলারও প্রয়োজন বোধ করেন না। লোকে তাকে দেখে এমনিতেই জায়গা করে দেয়। বয়স পঞ্চাশ পার হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানির সেলসে আছেন। মুখে আয়েশি হাসি লেপ্টে থাকে সবসময়। দশাসই শরীরের কারণে তার মনে হয় একদিন না একদিন সুযোগ আসবে। কীসের সুযোগ? সেটা মিন্টুর কাছে পরিষ্কার নয়। হয়ত কারো সঙ্গে তুমুল হাতাহাতি কিংবা রাস্তায় কোনো ছিনতাইকারীকে ধরে বেদম পেটাবেন। তা না হলে এমন শরীর বানিয়ে লাভ কী! ‘ভাইসব। এখন যে জাদুটা দেখাইব তাতে আপনেরা মজা পাইবেন একশ টাকার, খরচ হইব দশ টেকা। আগে দশ টেকা কইরা দেন, তারপর দেখাই।’ রাত দশটার মতো বাজে। রাজধানীতে বিশেষ রাত নয়। তবে ঈদের পর পর হওয়ায় পথঘাট সুনসান। এর মাঝে মিরপুরের মাজার রোডের এক গলির ভেতর থেকে কথাটা শুনে এগিয়ে গেলেন মি...
রোমান্টিক-থ্রিলার বই “ছায়া এসে পড়ে” রিভিউ

রোমান্টিক-থ্রিলার বই “ছায়া এসে পড়ে” রিভিউ

Stories
ধ্রুব নীলের রোমান্টিক-থ্রিলার বই “ছায়া এসে পড়ে”র রিভিউটি লিখেছেন সায়মা তাসনিম।   বই: ছায়া এসে পড়ে লেখক: ধ্রুব নীল প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ   প্রথমেই ভালো লেগে গেলো বইটির বিল্ড কোয়ালিটি। পরিপাটি সাইজ। পেপারব্যাক হলেও বেশ উন্নতমানের কাগজ। ঝকঝকে ছাপা। প্রথম দিকের কিছুটা পড়েই মনে হলো বইটা উপন্যাস নয়, নভেলা। অহেতুক কথাবার্তা বা বর্ণনা দিয়ে পাঠককে বিরক্ত করার মোটেও ইচ্ছে নেই এই লেখকের। ধ্রুব নীলের রক্তবন্দিও পড়েছিলাম আগে। দারুণ সব হরর-থ্রিলার গল্প ছিল। এবারের ‘ছায়া এসে পড়ে’ সরাসরি থ্রিলার নয়। তৈয়ব আখন্দ চরিত্রটি কিছুটা ধোঁয়াটে। একইভাবে লাবন্য চরিত্রটিকেও প্রথম দিকে বোঝা যায় না। মোটকথা আমাদের সবার চরিত্রের ভেতরই যে ধোঁয়াশা বিষয়টি আছে, সেটাই যেন এখানে একদম পরিষ্কার হয়েছে। গল্পটা এক বসায় পড়ে ফেলার মতো। ঝরঝরে লেখনী। হিউমার আছে মাপা মাপা। থ্রিলার নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই। আছে বাবা ও মেয়...
ধ্রুব নীলের নতুন বই | রোমান্টিক থ্রিলার- ছায়া এসে পড়ে

ধ্রুব নীলের নতুন বই | রোমান্টিক থ্রিলার- ছায়া এসে পড়ে

Stories
ছায়া এসে পড়ে (রোমান্টিক-থ্রিলার) লেখক: ধ্রুব নীল প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ প্রকাশক: প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স কুরিয়ারসহ মূল্য: ১৫০ টাকা। ঢাকার চাকরি ছেড়ে গ্রামে যায় তৈয়ব আখন্দ। মুখোমুখি হয় একটি লাশ ও লাবনীর। তারপর তার চারপাশে শুরু হয় দাবার ঘুঁটির চাল। চালে চালে আটকা পড়তে থাকে তৈয়ব। ধ্রুব নীলের নতুন বই টি অর্ডার করতে এই পেইজে ইনবক্স করুন।...
আসছে ধ্রুব নীলের রোমান্টিক থ্রিলার ‘ছায়া এসে পড়ে’

আসছে ধ্রুব নীলের রোমান্টিক থ্রিলার ‘ছায়া এসে পড়ে’

Cover Story, Stories
তৈয়ব আখন্দ এ গল্পের মূল চরিত্র। অথবা লাবনী, রেবেকা কিংবা এক পর্যায়ে লোকমান আলীর মৃত্যুটাই হয়ে ওঠে মূল চরিত্র। চরিত্রগুলো ধোঁয়াটে, তবে থ্রিলারের আমেজ পরিষ্কার। সঙ্গে মখমল চাঁদের আলোর সঙ্গে লাশের সমীকরণ এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা। সেই সঙ্গে তৈয়ব আখন্দের নিজেকে ‍গুটিয়ে রাখার ব্যর্থ সব চেষ্টা। সবই এ রোমান্টিক থ্রিলার নভেলার উপজীব্য। লেখক ধ্রুব নীল বড়দের জন্য খুব কম লিখেছেন। তবে ‘ছায়া এসে পড়ে’ বইতে তার ভাষাশৈলী ও খাটনিটা চোখে পড়ার মতো। অহেতুক বর্ণনার বালাই নেই। পড়তে পড়তে মনে হবে এ বুঝি অন্ধকার গলি ঘুপচির কোনো এক আন্ডাররেটেড ওয়েব সিরিজ। ছোটখাট উপন্যাসটি দামে সস্তা। গায়ের দাম ১৫০ টাকা। তবে বিল্ড কোয়ালিটিতে এতটুকু ছাড় দেয়নি প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। বইটির প্রশংসা করেছেন তিনিও। ধ্রুব নীলের মতে, এ অদ্ভুত ও অস্থির সময়ে আমরা যদি সত্যিই নিজেদের প্রকৃতির সঙ্গে বিলিয়ে দিতে চ...
রক্তদ্বীপ : ধ্রুব নীলের বই

রক্তদ্বীপ : ধ্রুব নীলের বই

Stories
রক্তদ্বীপ লেখক : ধ্রুব নীল প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ   রকমারি লিংক বিকাশে ক্রয় করতে যোগাযোগ করুন : ০১৮৮০৮৯৯৫৯     রক্তদ্বীপ এর কাহিনি সংক্ষেপ বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পুবের একটি দ্বীপ। সবাই ডাকে কুসুমচর। অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে সেখানে। কিছু দিন পর পর অবধারিতভাবেই যেন প্রাণ দিতে হয় একজন দ্বীপবাসীকে। অজানা আতঙ্কে ছুটতে ছুটতে মারা যায় সেই হতভাগা। ঘটনা শুনে দ্বীপে ছুটে যায় রোমাঞ্চপাগল দুই বন্ধু তুষার ও মিলন। তুষার উদ্ভিদবিজ্ঞানের তরুণ গবেষক, মিলন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ব্যবসায়ী। একজন বিজ্ঞান বোঝে ভালো, আরেকজনের আছে উপস্থিত বুদ্ধি ও দারুণ সাহস। পেতে থাকে দুজন। দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেছে বাসিন্দারা। এক পর্যায়ে একা হয়ে যায় দুই বন্ধু। বাড়তে থাকে বিপদের গন্ধ। উটকো ঝামেলা হিসেবে জুড়ে বসে জলদস্যু। এদিকে রাত হলেই যেন জেগে ওঠে দ্বীপের প্রাগৈতিহাসিক প্রকৃতি। পদে পদে বিপদ ও কৌশল খাটিয়ে বেঁচে ...
হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল ১০টি বইয়ের রিভিউ

হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল ১০টি বইয়ের রিভিউ

Stories
হুমায়ূন আহমেদ- বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় লেখক। ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত বই তিন শতাধিক। ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মারা যান তিনি। আজ রইল হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই নিয়ে বিশেষ আয়োজন।   হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল সেরা ১০   সে ও নর্তকী হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই গুলোর মধ্যে ‘সে ও নর্তকী’র নাম আসবেই। উপন্যাসটি স্বাতীকে নিয়ে শুরু হলেও আরও দুই চরিত্র রুবি, লিলিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনজনের জীবন জড়ানো হাসনাত নামের এক চিত্রকরের সঙ্গে। স্বাতী একজন চমৎকার পরিবারের মেয়ে। ওর মা বাবা ওকে অনেক ভালবাসে। কিন্তু ও এটাকে তাদের নাটক ভাবে। ছোট থেকে তাদের ঝগড়া দেখে আসছে। বাবা মায়ের ঝগড়া কেমন প্রভাব ফেলে সন্তানের উপর তা লেখক সুন্দর ভাবে লিখেছেন। মাকে শাস্তি দিতে গিয়ে একজন ডিভোরসি চিত্রকরের সঙ্গে জড়িয়েছে। লিলি স্বাতীর একজন কাছের ...
হরর গল্প : তার ভেজা চুল

হরর গল্প : তার ভেজা চুল

Stories
হরর গল্প : তার ভেজা চুল। লিখেছেন সজল সরকার। মাথার ওপর যে সিলিং ফ্যানটা ঘুরছিল তার গতি হঠাৎই কেমন জানি একটু কমে গেল। ওপরে তাকাতেই চোখ ছানাবড়া হলো আবিরের। ফ্যানের তিনটি পাখায় ঝুলে আছে মেয়েদের লম্বা ভেজা চুল। মনে হচ্ছে যেন তিন পাখার ওপরেই বসানো রয়েছে তিনটি মেয়ের কাটা মাথা, আর তাদের চুলগুলো ঝুলছে পাখার নিচে। ফ্যান তখন কিছুটা ধীর গতিতে ঘুরছে, সঙ্গে সঙ্গে চুলগুলোও দুলছে। দলা পাকানো চুল থেকে দু’একটা ফোটা করে পানি ঝরছে অবিরত। রাতের অন্ধকারে লিফ্টে ওঠার পর যে আবছা ছায়ায় কিছু একটা দেখেছিল তা-ই এখন পর্যন্ত মাথা যাচ্ছে না আবিরের। এখন আবার সিলিং ফ্যানের এই দৃশ্য। ভেতরটা দুমরে মুচরে আসছে, ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠার সমানতালেই মাথাটাও চক্কর দিচ্ছে এবার। দুই দিনের মধ্যেই এ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে, ল্যাপটপের দিকে তাকাতে পারছে না এখন। সারাদিন ক্লাস করতেও ভাল লাগেনি। গত কয়েকদিন ধরেই ঘুম হচ্ছে না। মাথাটা ঝিমঝিম করে ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত   ১ ‘ওই যে দেখতাসো। সামনের দাঁত নাইওয়ালা লোকটা। খবরদার ওর সামনে যাইবা না!’ ‘টেকো মাথা? চা খাচ্ছেন যিনি কপাল কুঁচকে?’ ‘হ। ও কিন্তুক মানুষ না, ওইটা একটা ভূত। দিশাভূত।’ ‘দিশা ভূত কী জিনিস? দিয়া ভূত টাইপের?’ ‘ওই একই কথা। দিয়া ভূতের বাপ! যারে ধরে সে দিশহারা হয়। পুরা ভ্যাবলা হইয়া ঘুরতে থাকে। আমারে অবশ্য এহনও ধরে নাই।’ এসেছিলাম মটুয়া গ্রামে বেড়াতে। বিকেলটা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এদিক ওদিক। গ্রামটা বেশ মায়াময়। যেতে ইচ্ছে করে না। আমার স্কুল বন্ধুদের অনেকের বাড়ি এখানে। চাকরিজীবনে ঢোকার পর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তবে অনেক দিন পর ইদ্রিস কাকার দেখা পেলাম। তিনিই আমাকে সতর্ক করলেন লোকটার ব্যাপারে। আগাগোড়া যাকে মানুষই মনে হচ্ছে। তবে অদ্ভুত একটা ব্যাপার তো আছেই। চোখে ঠিকমতো ধরা পড়ছে না এখনও। স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে লোকটাকে ভাল করে দেখলাম। চোখে ক...
অতিপ্রাকৃত গল্প: কে? – ধ্রুব নীল

অতিপ্রাকৃত গল্প: কে? – ধ্রুব নীল

Stories
দরজায় টোকা দিল কেউ। মানুষের মগজের প্রসেসিং ক্ষমতা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে? একটি টোকার শব্দ থেকে কতদ্রুত কত কী আমরা একসঙ্গে ভেবে বসতে পারি? আমি লেখক বলে একটু বেশি বা দ্রুত ভাববো ব্যাপারটা তা নয়। লেখালেখিটা নিছক ক্রাফট। মাথার ভেতর আমরা সবাই লেখক। আবারও টোকা। কিছুই ভাবিনি দুই টোকার বিরতিতে। বসেছিলাম কম্পিউটারের সামনে। একটা কিছু লেখা দরকার। মাথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে মধ্যবয়সী এক লোক। দাঁত কেলিয়ে হেসে যাচ্ছে অনেকদিন ধরে। তাকে নিয়ে একটা আধিভৌতিক গল্প লিখতেই হবে নাকি। লেখক হিসেবে কাউকে উপেক্ষা করার শক্তি আমার নেই। রাত আড়াইটা। ইন্টারনেট থাকায় কম্পিউটার-মোবাইলে এখন ভুল সময় দেয় না। অবশ্য সময়ের আবার ভুল সঠিক কী! কে আসতে পারে? এত রাতে সিকিউরিটিকে পাশ কাটিয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না। গেট বন্ধ থাকবে। ভদ্রোচিত কেউ এলেও গার্ড ইন্টারকমে জানাবে। আশপাশের কোনো ফ্ল্যাট থেকে কেউ আসবে? আমাকে তো কেউ চ...
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া পিন্টু তালুকদারের মতে চুরি করা পৃথিবীর সবচয়ে সহজ কাজ। ধরা পড়ার অংশটুকু নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না তিনি। মিন্টুকে সাহেব বলার কারণ তিনি সবসময় কেতাদুরস্থ চলাফেরা করেন। আংশিক টাক পড়া কাঁচাপাকা চুলে হাত বুলোতে বুলোতে কথাও বলেন বুদ্ধিদীপ্ত। তার সমস্যা একটাই। চুরি না করে থাকতে পারেন না তিনি। চুরি করাটা মিন্টু সাহেবের অভ্যাস। তিনি এটাকে বদভ্যাস বলতেও রাজি না। বদভ্যাস হলো ধূমপান, মদ্যপান এসব। চুরি করাটা শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য যেহেতু ক্ষতিকর নয়... যাক সে আলাপ। মিন্টু সাহেবের যথেষ্ট টাকাকড়ি আছে। সব কিন্তু চুরি করে পাওয়া নয়। তিনি চাকরি করেন। ঢাকায় ফ্ল্যাট না থাকলেও বেশ ভালো একটা বাসা ভাড়া করে থাকেন। তার স্ত্রী কলেজের প্রভাষক। ছেলে মোবাইলে গেমস খেলে। ছোট মেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। বাইরে থেকে দেখে কে বলবে যে মিন্টু সাহেব মানুষের বাসায় চুরি করে বেড়ান। মিন্টু সাহেব কখন...
ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

Stories
ধ্রুব নীল এক দেশে ছিল এক সাপ। তার ছিল ভয়ংকর বিষদাঁত। কিন্তু আফসোসসসস্। ফ্ল্যাট-এপার্টমেন্টের যুগে কামড় দেয়া দায়। দাঁতজোড়া সারাদিন কুটকুট করে। ছোবল আর দেওয়া হয় না। কামড় দিয়েই বা লাভ কী। বিদেশি ইনজেকশন চলে এসেছে। মরার জো নেই। ভয়ানক বিষাক্ত হয়েও এমন অস্তিত্ব সংকট আগে কখনও টের পায় নাই বেচারা সাপ। সারাদিন মুখের মধ্যে একটা মাইনরিটি ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে কাউকে কামড়াতে না পারায় তার বিষগুলো সব জমা হলো মস্তিষ্কে। সেখানে তৈরি হলো এক বিষবুদ্ধি। আধুনিক ওষুধের কারণে ওঝাদের ব্যবসা মন্দা। ওঝারা খেয়ে না খেয়ে আছে। সাপ গেল সেই ওঝার বাড়িতে। ‘ওঝা ভাই। আমি গোবেচারা গোখরা। তোমার সঙ্গে একটা ডিপলোমেটিক আলাপ আছে। দরজা খোলো।’ চিপায় পড়া ওঝা সাত পাঁচ না ভেবে দরজা খুলে দিল। পিঁড়ি পেতে সাপকে বসতে দিল। এরপর দরজা লাগিয়ে শুরু করলো রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ‘বল, তোমার অফারটা কী শুনি।’ ‘অফারটা সোজা। এখন তো আর সাপ...
রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা – অন্তর্ঘাত

রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা – অন্তর্ঘাত

Stories
  রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা - অন্তর্ঘাত লিখেছেন: ধ্রুব নীল অন্যসব দিনের মতো সূর্যের অতটা তেজ নেই। তবু কপাল বেয়ে এক ফোঁটা ঘাম গিয়ে পড়ল ডিইএম-ফিফটি রাইফেলের হাতলে। ঝটপট দুবার পলক ফেলে চোখের ঘাম ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করল এজেন্ট মেহরীন। এক মিলি সেকেন্ডের জন্যও চোখ সরাতে চায় না ব্রিটিশ স্নাইপার রাইফেলটির ভিউ ফাইন্ডার থেকে। কারণ এক সেকেন্ডই যথেষ্ট ওদের জন্য। ‘এজেন্ট নাইন। এজেন্ট নাইন। টুয়েলভ ও’ক্লক। মুভমেন্ট অন নাইনথ ফ্লোর। ওভার।’ ‘ক্লিয়ার। ইটস এয়ার।’ বাতাসকেও বিশ্বাস করতে চাইছে না মেহরীন। মনে হচ্ছে, ওরা বাতাসে মিশে আছে। যেকোনো মুহূর্তে হামলে পড়বে মন্ত্রীর ওপর। ঠিক ৩টায় ভাষণ দেবেন মন্ত্রী। সঙ্গে আছেন কয়েকজন বিদেশি অতিথি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে। সরকারও চায় গজিয়ে ওঠা বিষদাঁত গুঁড়িয়ে দিতে; কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে গত দুই র...
তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

Stories
অতিপ্রাকৃত বাংলা গল্প : তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান লিখেছেন ধ্রুব নীল   পাহাড়ি টিলার ওপর একচালা ঘর। ঘড়ির দোকান। চা-বিস্কুট বা মুদি দোকান হলে কথা ছিল। কিন্তু তৈয়ব আখন্দ ঘড়ির দোকানটা ছাড়েন না। বাপদাদার আমলের দোকান। পরিবারে বড় অশান্তি। আয়-রোজগার নেই। লোকে এখন ঘড়ি তেমন কেনে না। তৈয়ব আখন্দের স্ত্রী রাস্তার মোড়ে সবজি বিক্রি করে কিছু রোজগার করেন। ‘আব্বা, ঘড়িতে ফুঁ দাও ক্যান?’ ‘এমনি এমনি দিই। অভ্যাস। ঘড়ি ঠিক করার টাইমে একটু ফুঁ ফাঁ দিতে হয়।’ ‘আব্বা, সিন্দুকের ঘড়িটা কবে ধরতে দিবা?’ মিজানের তর সয় না। সে যা-ই বলুক, শেষে সেটা সিন্দুকের ঘড়িতে গিয়ে আটকে যায়। তৈয়ব জবাব দেন না। সিন্দুকের ঘড়ির ব্যাপারে তিনি বিশেষ কথা বলেন না। ছেলের অতি আগ্রহে তার কিছু যায়-আসে না। পোলাপানের আগ্রহ সবখানেই। তৈয়ব আবারও ফুঁ দেন। মিজান জানে, এটা হলো ফাইনাল ফুঁ। মানে ঘড়ি ঠিক হয়ে গেছে। ‘আইজকা তো স্কুলে যাস ন...
রোমান্স গল্প : উপভোগ

রোমান্স গল্প : উপভোগ

Cover Story, Stories
রোমান্স গল্প : উপভোগ লিখেছেন মৌমতিা শকিদার লাবনী ১ সুপ্রভার মনে হলো তার উপমাগুলো বাক্সে পুরে তালা লাগিয়ে দেয়ার দিন এসে গেছে। এ যুগে নাকি এসব অচল। রুজুর ভাষায় এ নাকি সেকেলে গন্ধ ছড়ায়। রঞ্জিতকে রুজু ডাকে সুপ্রভা। এই রুজুই তার কবিতার সমঝদার। মাপ মতো প্রশংসা সমালোচনা দুটোই করে। তবে ইদানীং রুজু সবকিছুতে কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কবিতা-গদ্য সবই এড়িয়ে চলছে। সুপ্রভা বিজ্ঞানের ছাত্রী। তার সবকিছুতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তি আসবেই। রঞ্জিতকে সে মাঝে মাঝে বোঝানোর চেষ্টা করে, কবিতায় কাল ব্যাপারটা অন্যরকম। সুপ্রভার কাছে কবিতার সংজ্ঞা হলো, কালকে আলগোছে একপাশে সরিয়ে পরিচ্ছন্ন কিছু অনুভূতি। রঞ্জিত আবার এসব শুনতে পছন্দ করে না। ভ্রূ কুঁচকে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। আজও যেমনটি আছে। সুপ্রভা বলল, এই যে তুমি এখনকার ভিজুয়াল প্রডাকশানগুলোকে অতিমাত্রায় মেলোড্রামাটিক বলছ, এটা ভুল। রঞ্জিত রিকশাওয়ালার পি...