‘আসিফ ভাই আমার পছন্দের শিল্পীদের একজন। স্বপ্ন ছিল কখনো সুযোগ পেলে তাঁর সঙ্গে গাইব। স্বপ্নটি পূরণ হওয়ায় ভালো লাগছে। হঠাৎ করেই গানটি করার সুযোগ পাই। রেকর্ডিংয়ের কয়েক দিন আগে আমাকে গানটি সম্পর্কে বলা হয়। আসিফ ভাই ইদানীং নতুনদের সঙ্গে অনেক গান করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই গান। ঈদে শ্রোতাদের শোনার সুযোগ দিতেই তড়িঘড়ি করে লিরিকাল ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। কিছুদিন পরই অফিশিয়াল ভিডিওর কাজ শুরু হবে’—‘হালকা হালকা বৃষ্টি’ প্রসঙ্গে বলছিলেন ঝিলিক । গানটির কথা লিখেছেন আবুল হোসেন, সুর করেছেন মোহাম্মদ মিলন। সংগীতায়োজন এমএমপি রনি।
ঈদে প্রকাশিত ঝিলিকের আরেকটি গান ‘কিছুটা কুয়াশা’। এটিও এসেছে লিরিকাল ভিডিওতে। প্রকাশ করেছে সংগীতা। জামাল হোসেনের কথায় সুর-সংগীত করেছেন মুহিন। দুটি গানের জন্যই শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন গায়িকা, ‘ঈদে গান প্রকাশিত হলে অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি ভালো লাগা কাজ করে। একেকজন একেকটি গান পছন্দ করছেন। এতেই আমি ঈদের আনন্দ পাচ্ছি।’ ঈদে ঝিলিকের আরো দুটি গান আসার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গেলেও চলতি সপ্তাহে গান দুটি আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একটি সুবীর নন্দীর সুরে ‘চান্দের সঙ্গে মান করেছি’। কথা মাহমুদ মুরাদের। সংগীতায়োজনে উজ্জ্বল সিনহা। ঝিলিক বলেন, “সুবীর নন্দী স্যারের সুরের ভক্ত আমি। আমার সৌভাগ্য যে ২০০৮ সালে প্রকাশিত আমার প্রথম একক ‘আমার কী দোষ’-এ তাঁর সুরে দুটি গান করতে পেরেছিলাম। ‘ঝরনার পানি’ এবং ‘আকাশের বাইরে’ গান দুটির জন্য অনেকেই প্রশংসা করেছিলেন। নতুন গানটি রেকর্ডিংয়ের পর সুবীর স্যার অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন। অথচ প্রকাশের আগেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন! সুবীর স্যার সাধারণত যে ধরনের সুর করেন এটা তেমনই। ক্লাসিক্যাল।” প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা ঝিলিকের অন্য গানটি হলো ‘তুমি আমায় যতই অবহেলা করো’। জামাল হোসেনের কথায় গানটির সুর-সংগীত করেছেন মুহিন।
টিভি লাইভের নিয়মিত মুখ ঝিলিক। ঈদেও ছিলেন সরব। আরটিভি, বাংলাভিশন, যমুনা টিভি, বৈশাখী টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ঈদের আগেই সব কটির শুটিং শেষ করতে হয়েছে। এরপরই উড়াল দিয়েছেন রংপুরে নানার বাড়িতে। ‘নানার বাড়িতে ঈদ করার যে আনন্দ তার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। চেষ্টা করি ঈদের আগেই আব্বু-আম্মুর সঙ্গে নানার বাড়ি যেতে।’
ক্যারিয়ারের এক যুগে ১৮টি দেশে শো করেছেন ঝিলিক। সামনে আরো দুই-তিনটি দেশে শোর কথা হচ্ছে। সব চূড়ান্ত হলেই উড়াল দেবেন। বলেন, ‘শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনানোর মজাটাই আলাদা। তখন কাছ থেকে তাঁদের মতামত পাওয়া যায়। একটি গান শেষ হওয়ার পর যখন আরেকটির অনুরোধ করেন তখনকার অনুভূতি একজন শিল্পীর পক্ষে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এ জন্যই কনসার্টে বেশি গাইতে চেষ্টা করি।’