দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেননি এমন ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। দেশে আসা হয়নি, তাই বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও পরিচয়পত্র নেই। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজ করতে গেলে, সুবিধা পেতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক। প্রবাসে বসবাসকারীর অনেকেই হয়তো জানেন না, নতুন পরিচয়পত্র করতে হলে কী করতে হবে। মানে কীভাবে করব, কোথায় করব, কী কী লাগবে ইত্যাদি। তো, চলুন জেনে নিই প্রবাসীরা কীভাবে পরিচয়পত্র করবেন।
অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন
বিদেশে বসে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য অবশ্যই দেশে আসতে হবে। পাসপোর্ট বা বিদেশে বসবাসের প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে নিজের থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজ নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজ ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলার পর নেওয়া হবে হাতের ছাপ এবং স্ক্যান করা হবে চোখের মণি। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের নিচতলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রবাসীদের পরিচয়পত্র পেতে দেশে যেহেতু আসতেই হবে, তাই পরিকল্পনার মধ্যে ভ্রমণটা রাখলে মন্দ হয় না। রথ দেখা আর কলা বেচা—দুটোই হলে মন্দ কী?