Friday, April 18

ক্ষমতা বাড়ায় যে ৫টি খাদ্য উপাদান

যৌন ক্ষমতা

বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রায়, অনিয়মিত বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়েট এবং মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে মানুষের যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং যৌন ক্ষমতা  কমে যাচ্ছে। যৌনজীবনে শিথিলতা আসছে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, বয়স একটু বেড়ে গেলে বহু মানুষেরই যৌনতায় অনিচ্ছা চলে আসে। এ ক্ষেত্রে যৌনজীবনে উদ্দীপনা আনতে অনেকেই ভায়াগ্রায় সাহায্য নেন। এমন কয়েকটি খাদ্য উপাদান রয়েছে যা আমাদের যৌন ক্ষমতা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে! আসুন সেগুলি সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…

৫টি খাদ্য উপাদান যা বাড়িয়ে দেবে যৌন ক্ষমতা

১) জিরা: ‘জার্নাল অব দ্য সায়েন্স অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিরার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও জিঙ্ক যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে বাড়ে যৌন উদ্দীপনা। তাই প্রতিদিন ১ কাপ গরম চায়ে সামান্য জিরা ফেলে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেন।

২) আদা: আদায় রয়েছে এমন ঔষধিগুণ যা একাধিক রোগ-ব্যাধির মোকাবিলায় সাহায্য করে। সুস্থ যৌনজীবন ধরে রাখতেও আদা অপরিহার্য্য। আদার মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে আদার রস ও মধু খেতে পারলে ফল হাতে নাতে পাবেন।

আরো পড়ুন : তোকমার ৭ গুণ জেনে রাখুন

৩) সজনে ডাঁটা: ‘আমেরিকান জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুষের লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বা উদ্দীপনার ঘাটতি মেটাতে খুব ভাল কাজ করে সজনে ডাঁটা। প্রতিদিনের পাতে সজনে ডাঁটা রাখতে পারেন বা ১ গ্লাস দুধে সজনে ফুল, নুন ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারলেও উপকার পাবেন।

৪) রসুন: ‘আফ্রিকান হেলথ সায়েন্সস’ জানাচ্ছে যৌন ক্ষমতা বাড়াতে, জীবনে যৌন উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে আদার মতোই রসুনও খুব উপকারী। ফলে প্রতিদিনের পাতে যদি অন্তত এক কোয়া রসুন থাকে তবে জীবনে হারানো যৌন উদ্দীপনা ফিরে পাবেন সহজেই।

৫) হিং: ডঃ হরি কৃষ্ণ বখরুর মতে, যদি টানা ৪০ দিন ধরে রোজ ০.০৬ গ্রাম হিং খাওয়া যায় তাহলে ফিরে পেতে পারেন সুস্থ যৌনজীবন। রান্নায় মেশাতে পারেন হিং। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস জলে এক চিমটি হিং ফেলে খেলেও পাবেন উপকার পাবেন। ডঃ বখরু তাঁর ‘হার্বস দ্যাট হিল: ন্যাচরাল রেমেডিস ফর গুড হেলথ’ বইটিতেও হিং-এর কার্যকারীতার কথা উল্লেখ করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *