জেঁকে বসেছে শীত। এই শীতের মোকাবেলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ত্বককে। তাই রূপচর্চার উপকরণেও আনতে হবে কিছুটা পরিবর্তন। বাজারে এখন অনেক ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেসব প্রসাধনী সবই যে ত্বকের জন্য ভালো তা কিন্তু নয়। তারপরও সবার ঝোঁক থাকে বাজারে ভালো ভালো প্রোডাক্টের ওপর। শীতের প্রসাধনীর অন্যতম একটি উপাদান হল গ্লিসারিন। সেই গ্লিসারিন ব্যবহার করার পদ্ধতি নিম্নরুপ-
টোনার: এক কাপ গ্লিসারিন ও সমপরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়ে টোনার তৈরি করে নিতে পারেন। এটা স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিতে পারেন। যখনই মুখ পরিষ্কার করবেন তখনই নরম টাওয়াল দিয়ে মুছে নিয়ে টোনার স্প্রে করে নেবেন। টোনিংয়ের পাশাপাশি এটি ময়েশ্চারাইজারেরও কাজ করবে।
পা ফাটা রোধে: পা ফাটলে খসখসে হয়ে যায়, দেখতেও অসুন্দর লাগে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে ৫ মি. পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর শুকনো করে মুছে হাতের তালুতে গ্লিসারিন নিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর কটনের মোজা পরে নিন। এভাবে প্রতিদিন রাতে যদি গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয় তাহলে পা ফাটা সমস্যা থাকবে না।
ঠোঁটের যত্নে: শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। তাই ১ চা-চামচ গ্লিসারিন, ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন। দিনে ২-৩ বার এ মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ম্যাসাজ করুন ১ বার। তবে যখনই ম্যাসাজ করবেন ২-৩ মি. রাখার পর ভেজা রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন। যদি সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন নেয়া হয় তাহলে সারা শীতে ঠোঁটের শুষ্কতা ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকবে না।
চুলের আগা ফাটা রোধে: রাতে চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়িয়ে নিন। এরপর চুলের গোড়া বাদ দিয়ে আগা পর্যন্ত গ্লিসারিন দিয়ে তেলের মতো ম্যাসাজ করে নিতে হবে। যার যার চুলের পরিমাণ অনুযায়ী গ্লিসারিন নিতে হবে। এভাবে সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিন। এতে করে চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং চুলের রুক্ষতাও থাকবে না।