class="post-template-default single single-post postid-10102 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

‘আমরা শুধুই গ্ল্যাম ফ্যাক্টর নই’

কৌশানীএক নায়িকা লাইম গ্রিন রঙের কুর্তি-শরারায় লাইমলাইটের মধ্যমণি। আর এক নায়িকা লাল-পাড় সাদা কাতান সিল্কে লাবণ্যময়ী।

দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ‘হইচই আনলিমিটেড’-এর প্রচারে কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডাপর্বে প্রথমেই উঠল গ্ল্যামারের প্রসঙ্গ। ‘হইচই…’-এর গ্ল্যাম ফ্যাক্টর কি আপনারা? কৌশানীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আপনার কি তাতে কোনও সন্দেহ আছে?’’ পূজা বললেন, ‘‘নায়িকারা সাধারণত ছবিতে গ্ল্যাম ফ্যাক্টর হয়। কিন্তু এই ছবিতে সব চরিত্রের সমান গুরুত্ব।’’ তাতে কৌশানীর সংযোজন, ‘‘এখানে কিন্তু নায়িকা চার জন। আমি-পূজা ছাড়াও মানসীদি (সিংহ) কনীনিকাদিও (বন্দ্যোপাধ্যায়) গ্ল্যাম ফ্যাক্টর। তবে আমরা দু’জন একটু স্পাইস আপ করে দিয়েছি।’’ সেটেও কি তবে স্পটলাইট আপনাদের উপরেই ছিল? কৌশানীর জবাব, ‘‘খরাজদা (মুখোপাধ্যায়) অপুদার(শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) মতো সিনিয়র শিল্পীরা থাকতে আমরা কি স্পটলাইট পেতে পারি? দেব নিজেই স্পটলাইট পাইনি। আর পরিচালক আমাদের নায়ক-নায়িকাই মনে করেন না,’’একসঙ্গে জোরে হেসে উঠলেন দুই নায়িকা।

কৌশানী আগে বলেছিলেন, ‘নায়িকারা বন্ধু হন না।’ দুই নায়িকার হাসাহাসি কিন্তু বলছিল অন্য গল্প। কৌশানী স্পষ্ট করলেন, ‘‘আমার বেশির ভাগ বন্ধু ইন্ডাস্ট্রির বাইরের। তবে ব্যতিক্রম তো থাকেই।’’ সেই সূত্র ধরে পূজা বললেন, ‘‘অঁসম্বল কাস্টে আগে কাজ করিনি। তবে এই ছবির ইউনিটের সঙ্গে ছবির পরেও যোগাযোগ রয়েছে। আউটডোরে আমি আর কৌশানী সময় কাটিয়েছি। শপিং করেছি। শেষ দিন পর্যন্ত একসঙ্গে ছিলাম। ওকে বলেওছি, এখন আমার কলকাতায় বন্ধু হল।’’

দুই নায়িকাকে ছবিতে দেখা যাবে মনোকিনি সুটে। ডায়ে‌টের কড়াকড়ি কতটা ছিল? পূজার কথায়, ‘‘সেটা বলতে গেলে আর একটা গোটা দিন লেগে যাবে। তবে উজ়বেকিস্তানে খাওয়াদাওয়ার সুযোগ সুবিধে বিশেষ ছিল না। তাই আমরা যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে বেশি ডায়েট ন্যাচারালি হয়ে গিয়েছে। সহমত কৌশানীও, ‘‘ওখানে বিভিন্ন রকমের কাবাব আর ডেসার্ট ছিল। ডায়েট থেকে ডেসার্ট বাদ। একটা চিকেন ব্রেস্ট খেয়েই দিনের অনেকটা সময় কাটিয়ে দিতাম।’’ প্রযোজক দেবের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ করেননি? দুই নায়িকাই বলছেন, ‘‘ও তো সব খায়। আমাদের অনেক বাছ-বিচার ছিল। আর যেখানে মনোকিনি শুট হয়েছিল, ওখানে কোনও রেস্তরাঁই নেই।’’

দেবের সঙ্গে পূজার জুটি আগেই হিট। কৌশানীকে কোনও টিপস দিয়েছিলেন? ‘‘আমি যখন প্রথম বার দেবের সঙ্গে কাজ করেছি, আমাকেও কেউ টিপস দেয়নি। আমি আর কী বলব,’’ জবাব পূজার। কৌশানী খোলসা করলেন, ‘‘দেব সেটে থাকলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। রাত দুটোর সময়ে ‘গুড মর্নিং’ বলে লোককে জাগিয়ে দেয়। ওর সঙ্গে আমার টম অ্যান্ড জেরির সম্পর্ক।’’ আর পূজা? ‘‘আমি দেবকে আগে থেকে চিনি। তাই ওই ফেজ়টা কাটিয়ে এসেছি। এখন ওর কথা ইগনোর করি। জানি, যা বলবে তার মধ্যে অন্য কোনও মানে লুকিয়ে আছে।’’

ছবিতে দেবের স্ত্রীর চরিত্রে কৌশানী আর প্রেমিকা পূজা। বাস্তবে বর্তমান প্রেমিকের প্রাক্তনের সঙ্গে কখনও মুখোমুখি হতে হয়েছে? ‘‘আমার বয়ফ্রেন্ডের প্রাক্তনদের সঙ্গে আমি খুব ফ্রেন্ডলি,’’ বললেন পূজা। পাশ থেকে কৌশানীর টিপ্পনী, ‘‘এ সব ব্যাপারে তুমি তো দেখি দৃষ্টান্ত! আমি বনির এক্সের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছি। তবে সচেতন ভাবেই দূরত্ব বজায় রেখেছি।’’

কৌশানীর এটা প্রথম পুজো রিলিজ়। পূজার ‘চ্যালেঞ্জ টু’ও পুজোর ছবি ছিল। ‘‘আমার খুব নস্ট্যালজিক লাগছে। দেবের সঙ্গেই ফের ছবি। সে বার গোটা পুজো প্রচারেই কেটে গিয়েছিল। হাওড়ায় স্টেজে উঠে হাতটা বাড়িয়েছিলাম। টেনে ভিড়ের মাঝে নিয়ে গিয়েছিলেন দর্শক,’’ বলছিলেন তিনি। নায়িকা কৌশানী বাছাই করা কয়েকটা প্যান্ডেল ঘুরে দেখেন। ‘‘কোনও প্যান্ডেলে গিয়ে আমাকে ফুচকা স্টলে বা ফ্যানের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখতেই পারেন। আফ্টার অল, মনে-প্রাণে বাঙালি তো,’’ বললেন তিনি।

পরের বছর বিয়ে করতে পারেন পূজা। কুণাল বর্মার সঙ্গে এনগেজমেন্ট সারা। ‘‘কিছুই ঠিক নেই। তবে হলে বাঙালি মতেই বিয়ে হবে,’’ বললেন পূজা। কৌশানীর কী প্ল্যান? ‘‘মাকে বলেছি, পাত্র দেখতে।’’ তা হলে বনির কী হবে? প্রশ্নটা শুনে একটু অপ্রস্তুত হতে দেখা গেল কৌশানীকে। সময় নিয়ে বললেন, ‘‘বনিও তখন পাত্রী খুঁজবে। সবে ইন্ডাস্ট্রিতে তিন বছর। এখনই বিয়ে করে এত মন ভাঙতে পারব না।’’

এই কথাতেও কি লুকিয়ে তবে অন্য কোনও হইচই?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!