ফ্রেন্ডস (Friends Matthew Perry)-এর হাসিখুশি দলটা বুঝি ভেঙেই গেল। বিদায় নিল একজন। রইল বাকি পাঁচ। ৫৪ বছর বয়সে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে মারা গেছেন ম্যাথু পেরি ওরফে সবার প্রিয় চ্যান্ডলার বিং।
অবশ্য এই সবাই বলতে যারা ফ্রেন্ডস Friends দেখেছে তাদের কথাই বলা হচ্ছে। ১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত তুমুল জনপ্রিয় সিটকমটি দেখেনি, এমন মানুষ অবশ্য কমই বলতে হবে। এমনও বলা হয়, পৃথিবীতে আছে দুই রকম মানুষ, যারা ফ্রেন্ডস দেখেছে ও যারা দেখেনি। অবশ্য ফ্রেন্ডস সিরিজটা কয়েকবার দেখেছে এমনও একটা শ্রেণি আছে।
7 Lesser-Known Facts about Chandler Bing
কিভাবে মারা গেলেন ম্যাথু পেরি How Matthew Perry died ?
আমেরিকান গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেল নিজের ভবনে ‘ডুবে’ মারা গেছেন ম্যাথু পেরি। কিছু খবরে জানা গেছে মারা যাওয়ার সময় হট টাবে ছিলেন। তাই আপাতত ধারণা করা হচ্ছে হট টাবে অসুস্থতাজনিত কারণে ডুবে গিয়ে থাকতে পারেন ম্যাথু পেরি, কারণ তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ম্যাথু পেরির স্বাস্থ্য সমস্যা
দীর্ঘদিন অপিয়ডে আসক্ত ছিলেন ম্যাথু পেরি। এই আসক্তির মাত্রা এতই বেশি ছিল যে এর ফলে তিনি স্মৃতিশক্তিও হারাতে বসেছিলেন। এমনকি ফ্রেন্ডস Friends সিরিজে কাজ করার স্মৃতিও নাকি তার ভাসা ভাসা ছিল।
ফ্রেন্ডসের ছয় সদস্যের চ্যান্ডলার বিং চরিত্রটি ছিল একেবারেই আলাদা। হিউমার তথা হাস্যরসকে তিনি বেছে নিতেন ‘ডিফেন্স ম্যাকানিজম’ হিসেবে। ফ্রেন্ডস টিভি সিরিজ জুড়ে ছিল তার ওয়ান লাইনার জোকস ও নানা ধরনের সারকাজম। সারকাজমের আরেক নাম যেন চ্যান্ডলার মুরিয়েল বিং।
সোশাল মিডিয়াতে বেশ কয়েকদিন ধরেই সক্রিয় ম্যাথু পেরি। মারা যাওয়ার কদিন আগেও জাকুজিতে আরামে বসে থাকার একটি ছবি তিনি পোস্ট করেন।
ম্যাথু পেরির মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া Reactions on Matthew Perry death
ম্যাথু পেরির মৃত্যুতে সবাই খুঁজছে তার ‘দোস্ত’ জোয়ি ট্রিবিয়ানি (Matt LeBlanc) ওরফে ম্যাট লাব্লাংক কী প্রতিক্রিয়া জানাল? ফ্রেন্ডসের বাকি সদস্যরাই বা কী লিখলো। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের কারও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা না গেলে ধরে নেওয়া যায় তারা বেশ বিষণ্ন ও কাতর হয়ে আছেন।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স জানিয়েছে তারা এ খবরে বিপর্যস্ত।
Matthew Perry ম্যাথু পেরি ওরফে চ্যান্ডলার বিংয়ের মৃত্যুতে ফ্রেন্ডস-এর ‘ও মাই গড’ খ্যাত তারকা ম্যাগি হুইলার লিখেছেন, “What a loss. The world will miss you Matthew Perry,” she said. “The joy you brought to so many in your too short lifetime will live on. I feel so very blessed by every creative moment we shared.”
Matthew Perry’s Movies
ম্যাথু পেরি ফ্রেন্ডস ছাড়াও করেছেন আরও কিছু দারুণ সিনেমা। এর মধ্যে রয়েছে
17 again, Fools Rush In, The Ron Clark Story, The whole Nine Yards, The Whole Ten Yards, Serving Sara, Almost heroes প্রমুখ।
১৯৬৪ সালে ম্যাসাচুসেটসে জন্ম হলেও ম্যাথু পেরির শৈশব কাটে কানাডায়। সেখানে তিনি কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে এলিমেন্টারি স্কুলে পড়েন। ম্যাথুর মৃত্যুতে ট্রুডো তার প্রতিক্রিয়ায় এক্স-এ লিখেন
Matthew Perry’s passing is shocking and saddening. I’ll never forget the schoolyard games we used to play, and I know people around the world are never going to forget the joy he brought them. Thanks for all the laughs, Matthew. You were loved – and you will be missed.
পরে টিনএজার বয়সে ফিরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৪ সালে ফ্রেন্ডস সিরিজে অভিনয় শুরুর পরপরই তিনি হয়ে যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সেলিব্রেটি।