১৭ বছর পর আবার ভারত থেকে ভেসে এলো বসন্ত বাতাস। এবার মিস ওয়াল্র্ড হলেন ভারতের মানুসি চিল্লার। ছিনিয়ে নিলেন তার সমস্ত সুবাস। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ছড়িয়ে দেওয়া আমেজ না ফুরাতেই এক পশলা রূপের ডালি ছড়িয়ে গেলেন মানুসি। ষষ্ঠ ভারতীয় নারী হিসেবে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট মাথায় পরা এ গুণী মেয়ের না জানা কিছু তথ্য জানা যাক এবার।
মিস ওয়াল্র্ড মানুসি ও তার গুণী মা-বাবা
মিস ওয়াল্র্ড মানুসি এর মা-বাবা দুজনেই ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। বাবা বড় বিজ্ঞানী। কাজ করেন ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা বিভাগে। মা একইসঙ্গে সামলাচ্ছেন হিউম্যান বিহেভিয়র ও প্রায়োগিক পদার্থবিজ্ঞানের জটিল জগত।
ডাক্তার ও মিস ওয়াল্র্ড মানুসি
মিস ওয়াল্র্ড মানুসি যে অমানুসিক পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন সেটা তার পড়ার বিষয় দেখলেই বোঝা যায়। এক দিকে সুন্দরী প্রতিযোগিতার কত কী আয়োজন, অন্যদিকে ডাক্তারি পড়াশোনা। মানুসি পড়ছেন ভগৎফুল সিং গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে।
গুণের তার নেইকো শেষ
যে ডাক্তারি পড়ে, সে নাচে, আবার ফাঁক পেলে অভিনয়ও করে। মানুসি রীতিমতো ভারতের ন্যাশনাল স্কুল থেকে অভিনয় শিখেছেন। আবার নাচ শিখেছেন ভারতের নামকরা নৃত্যশিল্পী রাজা, রাধা ও কৌশল্য রেড্ডিদের কাছে। তো এমন গুণধরকে তো মুকুট পরানোই যায়। আর অভিনয় নাচ শেখা থাকায় বলিউড পাড়া থেকে যে যেকোনো সময় ডাক আসবে তার সে তো জানা কথা। তবে ছবি টবিতে হাত দেবেন কিনা সে নিয়ে এখনো কিছু জানাননি মানুসি।
ধাপে ধাপে মানুসি
ধুম করে মিস ওয়াল্র্ড হয়ে যাননি তিনি। প্রথমে হরিয়ানা রাজ্য থেকে এসে অংশ নিয়েছিলেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০১৭ তে। সেখানে হয়েছেন মিস ফটোজেনিক ও পরে গোটা দেশে হয়েছে সেরা, অর্থাৎ মিস ইন্ডিয়া। সবশেষে হলেন মিস ওয়াল্র্ড মানুসি চিল্লার।
সমাজসেবক মানুসি
প্রত্যেক বিশ্বসুন্দরীই কোনো না কোনো সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত। এতকিছুর মধ্যে সেটার কথা ভোলেননি মানুসি। প্রজেক্ট শক্তি নিয়ে কাজ করছেন। নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে তার ওই প্রকল্প। ইতোমধ্যে তার সংস্থাটি ২০টি গ্রামের ৫ হাজার নারীর চিকিৎসা করেছে।