কাজী হায়াতের ৫১তম ছবি ‘জয় বাংলা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে নায়িকা জাহারা মিতুর। সারা দেশের ২০টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
জাহারা মিতু তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
আমার প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে পর্দায় আসতে যাচ্ছে কিংবদন্তী পরিচালক “কাজী হায়াৎ” এর “জয় বাংলা”। তবে আমাকে যিনি বড়পর্দায় প্রথম পরিচালনা করেছেন তিনি আমার অন্যতম অভিভাবক “বদিউল আলম খোকন”।
আমার বড়পর্দায় অভিষেক, অথচ তার আশীর্বাদ-দোয়া আমার মাথায় থাকবে না, এমন কল্পনা করাও আমার জন্য পাপ।
কথা দিচ্ছি আগুন জ্বলবে আগুনের মতই……. খোকন ভাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি।
“জয়-বাংলা” পুরোটাই আমাদের কিংবদন্তী নির্মাতা কাজী হায়াৎের সিনেমা। মুনতাসীর মামুন রচিত “জয় বাংলা” উপন্যাসের চিত্রনাট্য নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মিত। একটি উপন্যাস যখন সিনেমায় রূপান্তরিত হয় তখন স্বভাবতই একজন পরিচালককে সেই ঐপন্যাসিকের চিন্তা-ভাবনা কে ধারণ করে সেই প্রেক্ষাপটেই সিনেমা নির্মাণ করতে হয়।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত চলচ্চিত্র আসলে তথাকথিত কমার্শিয়াল ছবির সাথে মেলালে হবে না। কাজী হায়াৎের নির্মিত অন্য চলচ্চিত্রগুলো থেকে “জয় বাংলা” অবশ্যই সেক্ষেত্রে ভিন্ন। তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তার উপর অর্পিত গল্প নিয়ে শত সীমাবদ্ধতায় নিজের সর্বোচ্চটুকুই করার।
আমি আসলে দোলাকে আমার দৃষ্টি থেকে দেখার সাহসই পাইনি। আমি ভরসা করেছি আমার পরিচালকের উপর। উনি যেমন বলেছেন কোনো মেক-আপ নেয়া যাবেনা: আমি নিইনি (একটি দৃশ্য ছাড়া সব দৃশ্যেই শুধুমাত্র পাউডার এবং লিপজেল ব্যবহার করা হয়েছে। ন্যূনতম কাজল, মাশকারা কিংবা কোনো ফেসপাউডার ও নয়)। উনি যে পোশাক দিয়েছেন, সেটিই পড়েছি। উনি ঠিক যেভাবে ডায়ালগ ডেলিভারী চেয়েছেন, সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি। জানি আর্টিস্ট হিসেবে আমার নিজস্বতা মেলানো দায়িত্ব; কিন্তু যখন পরিচালক স্বয়ং কাজী হায়াৎ, কোন নতুন আর্টিস্টের সেই দু:সাহস হবে তার উপর কিছু ভাবার? তাই, দোলা যদি একজন দর্শকেরও মন ছুঁয়ে যায় তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার পরিচালকের।
ট্রেলার দেখে পুরো ছবি মাপা ঠিক হবে না। ছবিটি নিজেদের শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও খুব যত্ন নিয়ে বানানো। একজন নতুন শিল্পী হিসেবে পরিচালক মিটু শিকদার, নির্মাতা কাজী হায়াৎ, আমার কো-আর্টিষ্টবৃন্দের ভালোবাসা, সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ। চলচ্চিত্রটি আমি ডাবিং করার সময় যতোটুকু দেখেছি তাতে আমার মনে হয় না দর্শক নিরাশ হবেন।
“জয় বাংলা”র নায়ক বাপ্পী চৌধুরীর সাথে এ পর্যন্ত তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। তিনটি ছবি পুরোপুরি তিন রকমের। তবে সে কয়েকবার বলেছিলো, “তোমার প্রথম চলচ্চিত্র হওয়া উচিৎ জয়-বাংলা”। যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেনো? তার উত্তর ছিলো সারাজীবন সবাই বলবে কিংবদন্তি নির্মাতা কাজী হায়াৎের হাত ধরে তোমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে। হতেও যাচ্ছে তাই।
আমার সাইনকৃত চতুর্থ সিনেমাই হতে যাচ্ছে বড়পর্দায় আমার প্রথম সিনেমা। দোলাকে আমি ধারণ করেছি, অপেক্ষায় আছি যারা ১৬ই ডিসেম্বর দোলাকে দেখবেন তাদের মতামত জানতে…….