class="post-template-default single single-post postid-15980 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় কাবু? জেনে নিন কী করবেন

কোমড়ের ব্যথায়

 

দীর্ঘ ক্ষণ অফিসে বসে বসে কাজ করতে হয়? নাকি সারাদিন নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়? দৈনন্দিন বাড়তে থাকা কাজের চাপের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাড়, কোমর ব্যাথায় আর পিঠের ব্যথা! সমস্যা যতই হোক না কেন, চট করে কাজের ধরন বদলে ফেলা কখনওই সম্ভব নয়। তবে কাজের চাপে বাড়তে থাকা ঘাড়, কোমর  দীর্ঘ ক্ষণ অফিসে বসে বসে কাজ করতে হয়? নাকি সারাদিন নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়? দৈনন্দিন বাড়তে থাকা কাজের চাপের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাড়,আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের জীবনযাত্রায় কতগুলি পরিবর্তন আনা জরুরি। পরিবর্তন আনা জরুরি আমাদের হাঁটা-চলা বা বসার অভ্যাসেরও। আসুন জেনে নেওয়া যাক কাজের চাপ সামলে ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়…

১) যদি দীর্ঘ ক্ষণ আপনাকে অফিসে বসে কাজ করতে হয়, সে ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে ২-৩ মিনিটের জন্য ‘ব্রেক’ নিয়ে একটু হেঁটে আসুন। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, ২ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উত্সেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠে ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও।

২) ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এই অভ্যাস দীর্ঘ মেয়াদী হলেই বিপদ! কারণ, চিকিত্সকদের মতে, তেমন কোনও চোট, আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস-এর উপর নির্ভর না করাই ভাল। এর থেকে ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কসরত করাই ভাল।

 

৩) বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বেরনোর আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘ ক্ষণ ধরে বইতে হলে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমন ভাবেই নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।

৪) অনেকেই ভাগ ক্ষত্রে ভুল ভঙ্গিমায় বসি বা দাঁড়াই। যার ফলে ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানোর বা শোওয়ার সময় তার ভঙ্গি সতর্ক ভাবে খেয়াল রাখুন।

৫) শোওয়ার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে বা বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোওয়া যায়।

 

https://www.youtube.com/watch?v=r0t64gzuqtg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!