মেহের আফরোজ শাওন । কদিন আগেই গিয়েছিলেন সমুদ্রের মাঝখানে একখণ্ড দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে। এই দ্বীপেই রয়েছে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের বাস্তবতা ‘সমুদ্র বিলাস।’ এই দ্বীপকে তিনি দারুচিনি নাম দিয়েছেন। শুধু এই দ্বীপকে মাথায় রেখেই হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন দু দুটো উপন্যাস। একটি রূপালি দ্বীপ, অন্যটি দ্বারুচিনি দ্বীপ।
যারা সেন্ট মার্টিন যান অন্তত এক নজর উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেন হুমায়ূন আহমেদের এই স্বপ্ন কুটিরে। শাওন নিজের দুই পুত্র নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে সম্প্রতি ঘুরে এলেন সেই দারুচিনি দ্বীপে। বেশকিছু ছবি নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন শাওন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিষাদ হুমায়ূনের জন্মদিন ছিল। ফেসবুকে মা মেহের আফরোজ শাওন শুভাশীষ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কয়েকটি। নবেশ জমাকালো, মা ও ছেলের হৃদ্যতা ও আবেগ মিশ্রিত ছবিগুলো তোলা হয়েছিল দারুচিনি দ্বীপে।
শাওন নিষাদের জন্মদিনে সেই ছবিগুলোর সুন্দর একটা ক্যাপশন দিয়েছেন। আসলে আপাত দৃষ্টিতে সেটাকে ক্যাপশন বলা হলেও আদতে ছেলের প্রতি মায়ের সবচেয়ে বড় অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে। শাওন লিখেছেন, ‘পরম করুনাময় তোর স—ব সৎ ইচ্ছাগুলো পূরণ করুক। যেমন আছিস তেমনই কোমল হৃদয়ের থাকিস বাপ আর এভাবেই আগলে রাখিস আমাকে, আমাদেরকে। শুভ জন্মদিন ট্যানটা বাবাটা আমার…’
শাওন অবশ্য ছেলে নিষাদকে ট্যানটা বলেই ডাকেন। আর ট্যানটাও কিন্তু কম মায়ের ন্যাওটা নয়। সুযোগ পেলেই মা মা, মাই যেন পুরো জগত তার। অবশ্য লোকে তো তাই বলে আসছে। বাবা-মাই সন্তানের সমস্ত জগত।
শাওন ১৯৯৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের নক্ষত্রের রাত ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জীবন শুরু করেন। অভিনয় জীবনে তিনি অনেক জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত নাটক দর্শক মহলেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। । ২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।