পোলাও এবং বিরিয়ানি দুটোই জিভে আনে জল। রেসিপিতে তো পার্থক্য থাকবেই, তবে রন্ধনপ্রণালীতেও আছে বিস্তর ফারাক।
বিরিয়ানি রান্নায় আছে কয়েক ধাপ। কিন্তু পোলাও মাত্র একটি ধাপে অল্প সময়ে তৈরি হয়ে যায়। এর জন্য অবশ্যই বিশেষ এবং উচ্চ মানের মশলা ব্যাবহার করতে হয়। আর এই সকল মশলা বিরিয়ানিতে বিশেষ ধরনের স্বাদ ও গন্ধ এনে দেয়। পোলাও সাধারণভাবে রান্না করা হয় এতে তেমন বিশেষ মশলা দিতে হয় না।
এ ছাড়াও আর যা যা পার্থক্য আছে বিরিয়ানি এবং পোলাওতে চলুন দেখা যাক-
বিরিয়ানি ও এর উৎপত্তি
বিরিয়ানির উৎপত্তি মূলত ভারতবর্ষে। ভারতবর্ষের বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মুসলিমদের থেকে এই বিরিয়ানির উৎপত্তি। অন্য দিকে পোলাওয়ের উৎপত্তি হয়েছে মধ্য এশিয়ায়
প্রস্তুত প্রণালী
বিরিয়ানি রাঁধতে চালকে আধা সেদ্ধ করে তার পানি ফেলে দিয়ে আবার সেই ভাতকে রান্না করা মাংসের সাথে মিশিয়ে রান্না করতে হয়। কিন্তু পোলাওয়ের বেলায় তার উল্টোটা করতে হয়। এতে প্রথমে পানি পরিমাণ মত দিয়ে একবারে রান্না করে নিতে হয়।
স্তর সাজানো
বিরিয়ানি সাধারণত স্তরে স্তরে সাজিয়ে রান্না করা হয়। বিরিয়ানির একদম শেষের স্তরকে সাজানোর জন্য বিভিন্ন সবজি সালাদ ভাজা পেঁয়াজ বাদাম কিশমিশ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানিতে ভাত এবং মাংস একসাথে মিশানো হয়। বিরিয়ানির স্তর সাজানোর পোর আবার অল্প আঁচে রান্না করতে হয়। পোলাওয়ের ক্ষেত্রে কোনও স্তর ব্যাবহার করা হয় না। এটি একবারে কোন স্তর ছাড়া তৈরি করা হয় এবং এতে মাংস রান্নার সময় মেশানো হয় না।
মশলার ব্যবহার
বিরিয়ানির মশলা অবশ্যই বিশেষ এবং উচ্চ মানের হয়ে থাকে পোলাওয়ের তুলনায়। এই সকল মশলা বিরিয়ানিতে বিশেষ স্বাদ ও গন্ধ এনে দেয়।
রান্নার সময়
বিরিয়ানি রান্না লম্বা সময় নিয়ে করতে হয়। কারণ এটি তৈরি করতে যে জিনিস লাগে তা কয়েক ধাপে তৈরি করতে হয়। কিন্তু পোলাওতে তা করতে হয় না। পোলাও খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়।