class="post-template-default single single-post postid-1041 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে অজানা ৩ কথা

শিশুর
শিশুর

আপনি জানেন কি শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি। অনেক বাবা-মা হয় তো জানেন না শিশুর মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো তিনটি জিনিস জানা জরুরি।

আপনি হয় তো জানেন শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য ঠিক কতটা পুষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু আপনি কি এটি জানেন যে, কোন শিশুর প্রাথমিক বছরগুলোতে, তার মস্তিষ্কের সব থেকে দ্রুত বিকাশ ঘটে এবং সেই বিকাশের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পুষ্টির। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রাথমিক বছরগুলোতে মস্তিষ্কের বিকাশ

২-৬ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের মস্তিষ্কের বহুল মাত্রায় বিকাশ ঘটে। পুষ্টিবিজ্ঞান বলেছে, মাত্র ৬ বছরের মধ্যেই বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে যায় ৯০ শতাংশ।

এই সময়ের মধ্যে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ লাখ নিউরাল সংযোগ হয়। দক্ষ কার্যকারিতার জন্য, একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সংযোগকারিতা হ্রাস পায়, যার নাম প্রাণিং।

এটিই হল সেই সময়, যখন মস্তিষ্ক তার ভেতরের জটিল নেটওয়ার্ক সংযোগগুলোকে পুনর্বিন্যাস করে, যা পরবর্তী জীবনে কোনো মানুষের উপলব্ধি, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সামাজিক দক্ষতা ইত্যাদি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

এই প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট আকর্ষণীয়ও বটে। প্রথমে দেখা ও শোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর জন্য সংযোগ এবং সংবেদনশীল উপায়গুলো বিকশিত হয়। এর পরবর্তী ধাপে শিশুদের ভাষা ও অন্যান্য জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।

এই সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা এবং তাদের শিশুদের যত্ন নেওয়াটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি শিশুদের মস্তিষ্কের সামগ্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সুনিশ্চিত করা

শারীরিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য শিশুর ঠিক কতটা পুষ্টি প্রয়োজন, তার দিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে চান বাবা-মায়েরা। কিন্তু কীভাবে তারা বাচ্চাদের মস্তিষ্কের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রদান করতে পারেন?

নিচে এমন কিছু অপরিহার্য পুষ্টির কথা বলা হল, যা বাচ্চাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- ডেকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড (ডিএইচএ)

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

মূল নার্ভাস সিস্টেমের অন্তর্বর্তী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা কুঠুরিগুলোর বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এ ধরনের পুষ্টিগ্রহণ যে কোনো শিশুর বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

ডিএইচএ

ডিএইচএর অভাবের ফলে শিশুদের বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন মানসিক চাপ, আবেগপ্রবণতা ইত্যাদি। কিন্তু শিশুদের রোজকার ডায়েটে খুব কম পরিমাণেই ডিএইচএ পাওয়া যায়।

ক্লোরিন

স্মৃতিশক্তি তৈরি এবং তা ধারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তার মাধ্যমে ক্লোরিন বিশেষভাবে শিশুদের মস্তিষ্কের সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে।

আয়রন

রক্তে অক্সিজেনের বাহক হিসেবে আয়রন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সবারই জানা। শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় আয়রনের অভাব নার্ভাস সিস্টেমের মধ্যে প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। শিশুদের শেখার বা শিখতে চাওয়ার অভ্যাসকে ধরে রাখার জন্য আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন-বি

ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের মধ্যে ৮টি ভিটামিন রয়েছে। এ ভিটামিনগুলো মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটার এবং শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আয়োডিন ও জিংক নার্ভাস সিস্টেম ও সাধারণ মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে স্বাদ-গন্ধের মতো সংবেদনশীল প্রক্রিয়াগুলোর বিকাশের নেপথ্যে রয়েছে জিংক।

প্রাথমিক বছরগুলোতে কোনো শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য এ পুষ্টিগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেক বাবা-মায়েই জানেন না যে বাচ্চাদের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ঠিক কতটা পরিমাণে পুষ্টিগ্রহণ প্রয়োজন।

পাশাপাশি খিদে কম পাওয়ার দরুন বাচ্চারা খায়ও কম। বলাবাহুল্য, কোনো প্রাপ্তবয়স্কোর তুলনায় বাচ্চাদের তিন ভাগের এক ভাগ খিদে পায়। ফলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুলো গ্রহণ করা হয়ে পড়ে আরও কঠিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!