ফ্যাশনে হরহামেশাই কিছু না কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। নতুন নতুন ট্রেন্ড এর আগমন, কখনো আবার আগেরদিনের কালেকশন ও ডিজাইনের রিপিট। তবে কিছু কিছু পোশাক ও ডিজাইন যেন সবসময়ই প্রিয়। কমবেশি সবসময়ই আনারকলির চল থাকলেও ২০২২ এ যেন আবারও হঠাৎ ঝড়ের মত ট্রেন্ড এ এলো এ পোশাকটি। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠান কিংবা কর্মক্ষেত্রের যেকোনো কিছু – আনারকলি পোশাকটি যেকোনো বয়সী নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে বহু গুণ।
মোগল আমলের সময়ের এই পোশাক আজও তার যায়গা ধরে রেখেছে যা ভিড়ের মাঝে দিবে এক অনন্য লুক। কথা হয় Zara Zone এর প্রতিষ্ঠাতা জারা চৌধুরির সাথে। তিনি জানান, ২০২২ এর মাঝামাঝি সময়ে আনারকলির প্রচুর চাহিদা দেখা দেয়, সেই সাথে তারা নিয়ে আসেন বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ ধরনের আনারকলি। শুধুমাত্র তরুণীদের জন্যই নয় বরং সকল বয়সের ও গঠনের নারীদের জন্যে তারা ফ্যাশনাবল এ পোশাক এনেছে। Zara Zone এর আনারকলিই প্রধানত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় প্রডাক্ট। এছাড়াও তারা বেশ কিছু ওয়েস্টার্ন কালেকশনও করে থাকে। তিনি আরও জানান, “আমাদের দেশে আনারকলির চলই এখন বেশি। সকল বয়সের নারীকেই এর প্রতি ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে। তাই আমরাও আমাদের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছি।” বেস্ট কোয়ালিটির জরজেট হলো এই পোশাকের ম্যাটেরিয়াল। উনিশ শতকের ফ্যাশনকে যেন আবারও নিয়ে এসেছে এখনকার সময়ে।
রংধনুর সাত রং- বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা কিংবা লাল, যেকোনো রং এনে দিতে পারে চমৎকার একটা লুক। এছাড়া সাদা ও কালোতেও আনারকলি বেশ মানানসই দেখায়। ম্যাটেরিয়াল নরম ও জরজেট হলে পরিধানে মিলে আলাদা এক আরাম। ফলে ফ্যাশন ও আরাম দুটোই থাকে। রাজধানীর একটি ব্যাংকে কর্মরত আদিবা জানান যে বর্তমান সময়ে আনারকলি তার খুবই ভালো লাগার একটি পোশাক। তাই তিনি বিভিন্ন রঙের মধ্যে নিয়েছেন বেশ কিছু আরামদায়ক আনারকলি। যা অফিস আদালতে সুন্দর একটি লুক দেয়।
Zara zone এর দৈন্দিন কাস্টমার চাহিদা দিন দিন বেড়ে ওঠার পিছে রয়েছে ব্র্যান্ডটির পরিশ্রম আর সততা। সম্পুর্ণ নিজের করা ডিজাইনে তাদের সমতুল্য আর নেই। যা ক্রেতাদের আরও বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে।
কিশোরী, যুবতী হতে শুরু করে অফিস আদালতে কর্মরত নারী কিংবা পরিশ্রমী গৃহপরিচালিকা- যেকোনো বয়সের নারীকেই চমৎকার মানিয়ে নেয় এই আনারকলি পোশাকটি। ক্রেতার পছন্দের উপর প্রাধান্য দিয়ে করা হয় আরও বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। আজ থেকে বছর কয়েক আগেও ফ্যাশন যেন শুধু একটা নির্দিষ্ট গঠনের ক্রেতার মাঝে বেশি লক্ষ্য করা যেত। তবে এখন দিন দিন তা কাটিয়ে উঠছে সকল গঠনের নারীরা। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোর ও ভূমিকা দেখা যায়। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।