অনেকেই মনে করেন, সিভি বড় ও ভারী হলে ভালো; এ ধারণা ভুল। তাই সিভি তৈরির সময় মনে রাখতে হবে কয়েকটি বিষয় যেমন—
- সিভি তৈরির সময় খেয়াল রাখুন যেন কোনো অপ্রয়োজনীয় কথা না থাকে। লেখার পর বারবার সম্পাদনা করুন। একান্ত দরকারি না হলে সেই তথ্য রাখবেন না।
- সিভির আকার দুই পৃষ্ঠা হলেই ভালো। ঢাউস আকারের সিভি পড়ার ধৈর্য সবার থাকে না।
- আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শুদ্ধ বানান ও ব্যাকরণ। প্রয়োজনে গ্র্যামারলি দিয়ে চেক করুন। ক্রোমে এই এক্সটেনশন যোগ করা থাকলে গুগলের ট্রান্সলেট অপশনে সিভিটি পেস্ট করেও গ্রামার চেক করে নিতে পারেন।
- সিভিতে এমন কিছু লিখবেন না যার স্বপক্ষে তথ্য-প্রমাণ বা রেফারেন্স দিতে পারবেন না।
- সিভিতে একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না। বিশেষ করে নিজের উচ্চতা, বাবা-মায়ের নাম, রক্তের গ্রুপ, স্থায়ী ঠিকানা এসব দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- অক্ষরের ফরম্যাট সুন্দর হলে সিভি পড়তেও সুবিধা হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো হাইলাইট করে দিন।
- সিভিতে যদি আগের চাকরি ছাড়ার কারণ উল্লেখ করতেই হয় তবে নেতিবাচক কিছু না বলাই শ্রেয়। আগের অফিসের কারও ব্যক্তিগত তথ্যও শেয়ার করবেন না। এতে আপনি নিজেই বিপদে পড়ে যেতে পারেন।
- একটা সময় সিভিতে বয়স লেখার প্রচলন ছিল। কিন্তু এখন এটি না দিলেও হয়। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে সিভি জমা দেবেন যদি সেখানে বয়সসীমা দেওয়া থাকে তবেই আপনি সিভিতে জন্মতারিখ যুক্ত করুন।
- সিভিতে আপনার গাছ লাগানো, গান শোনা— এ ধরনের শখ লেখার দরকার নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের কাজ বা এর নীতির সঙ্গে যায় এমন শখ থাকলে তা উল্লেখ করুন। যেমন বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরির জন্য সিভি জমা দিলে শখ হিসেবে লেখালেখি, ছবি আঁকা বা ছবি তোলার কথা উল্লেখ করতে পারেন।