ডায়াবেটিস হলে শরীর স্বাভাবিক উপায়ে ইনসুলিন বানাতে পারে না। তখন চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বিকল্প উপায়ে। চাইলে প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সুগার।
২০-৩০ মিনিট টানা হাঁটলেই সুগার হাতের মুঠোয় থাকবে।
নাচ, হাইকিং, সাঁতার কাটলেও সুগার কমবে।
ভাতের পরিবর্তে রুটি-সবজি বেশি খান।
প্রতিদিন ভুট্টা, বার্লি, ওট খেতে পারেন।
নারীদের ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের প্রতিদিন ৩৮ গ্রাম আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে। সাদা চালের গ্লাইসেমিক সূচক ৭০-৭৭। বাদামি চালের ৬৪-৭২। তাই সুগার কমাতে বাদামি চাল খান।
কম জিআই খাবারের তালিকায় আছে শিম, ডাল, মটরশুঁটি, গমের রুটি, নাশপতি, আপেল, কমলা, মাশরুম, টকদই এমনকি ডার্ক চকলেটও খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীর হাইড্রেটেড রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলেও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দুশ্চিন্তা করলে কিছু হরমোন বেড়ে যায়। এতে সুগারও বাড়ে। ফুরফুরে মেজাজে থাকার চেষ্টা করুন। ঠিকমতো ঘুমান।
খাওয়ার সময় ছোট প্লেট ব্যবহার করুন। রেস্টুরেন্টের খাবার বাদ দিন। সময় নিয়ে খান।
ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়াম রক্তের চর্বির বিপাক বাড়ায়। এটি ইনসুলিনকে কোষের সঙ্গে বন্ধন তৈরিতে সাহায্য করে। শাক-সবজি, লেটুস, পেঁয়াজ, টমেটো, মটরশুঁটি,
ইত্যাদিতে ক্রোমিয়াম পাবেন। ম্যাগনেসিয়াম পাবেন পালং শাক, অ্যাভোকাডো, কলা, বাদাম ও বীজ, এবং সামুদ্রিক মাছেও।
খালি পেটে বা খাওয়ার পরও গ্লুকোজ কমাতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার। এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরলও দূর করে। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। এ ছাড়াও আপেল সিডার ভিনেগার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে যত যাই করুন, আপনাকে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা জোরকদমে হাঁটতেই হবে। না হেঁটে বা শারীরিক পরিশ্রম করলে সুগার কখনই নিয়ন্ত্রণে আসবে না।