class="post-template-default single single-post postid-21104 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?

একক টার্ম হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) জনপ্রিয় হলেও এর বাস্তবিক পরিসর অনেক বড়। এ ফিল্ডে ভালো করার জন্য তাই বহু মার্কেটার নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষ করে তোলেন। ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার হতে পারে ও এগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে জেনে নিন এ লেখায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কী?

সহজ ভাষায়, ডিজিটাল ডিভাইসে (যেমন, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন) কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। যেমন, আপনি ফেসবুক ব্রাউজ করার সময় কিছু স্পন্সরড পোস্ট দেখতে পান। এগুলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অংশ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?

মার্কেটিংয়ের চ্যানেল ও কন্টেন্টের ধরনের ভিত্তিতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধরন আলাদা হয়। প্রায় সময় এগুলো পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত হবার কারণে সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যায় ডিজিটাল মার্কেটিংকে ভাগ করা যায় না। তবে এবারের লেখায় সাধারণ কয়েকটি ভাগ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে বহু সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো সম্ভব।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

গুগল, বিং, ইয়াহুসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন পণ্য, সার্ভিস ও ওয়েবসাইটকে যে কেউ যেন সহজে খুঁজে পায়, তার জন্য যে বিশেষ কার্যক্রম চালানো হয়, তা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) হিসাবে পরিচিত। এটি দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে কোন না কোন বিষয়ের উপর তথ্য খোঁজেন। সে তথ্য যদি আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে আপনি নিশ্চয় চান যে ব্যবহারকারী আপনার পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপারে জানুক। কিন্তু আপনার মতো আরো অনেকে হয়তো একই পণ্য বা সার্ভিস দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হবে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে সবচেয়ে উপরের দিকে থাকা। এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দরকার হবে আপনার।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

গুগল, বিং, ইয়াহুসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন পণ্য, সার্ভিস ও ওয়েবসাইটকে যে কেউ যেন সহজে খুঁজে পায়, তার জন্য সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হলে তাকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing) বা এসইএম (SEM) বলে। প্রয়োজনীয়তা ও বাজেটভেদে এটি স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হতে পারে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হবার কারণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সতর্কতার সাথে এটি বাস্তবায়ন করতে হয়। কিন্তু আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য হয়তো ততটা সময় আপনার নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে টাকা খরচ করে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে বিজ্ঞাপন দিলে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে আপনার প্রচারণার ফলাফল পেতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইলের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। সাধারণত অনলাইন কোন ফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করতে হয় এ কাজের জন্য। তবে আমাদের দেশে এর ব্যবহার এখনো সীমিত।

ইমেইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

অধিকাংশ ক্রেতা অনলাইন প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাকেন। তাই আপনার পণ্য বা সার্ভিসের উপর তাদের আস্থা অর্জনে নিয়মিত ইমেইল ভূমিকা রাখতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

কোন পণ্য বা সার্ভিসের সরাসরি বিক্রয়ে সাহায্য করে অর্থ উপার্জনের জন্য যে প্রচারণা চালানো হয়, তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বলে। সাধারণত আমাজন বা দারাজের মতো ইকমার্স সাইটগুলোর পণ্য ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ মার্কেটিংয়ের বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে সরাসরি বিক্রি হওয়া অন্য যেকোন পণ্য বা সার্ভিসের বেলায় এটি প্রযোজ্য হতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

কোন পণ্য বা সার্ভিস কেনার আগে ক্রেতারা এর মান সম্পর্কে জানতে চান। এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে তাদেরকে জানানো সম্ভব রিভিউর মাধ্যমে। কেউ আপনার রিভিউ পড়ার পর যদি অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে ঐ পণ্য বা সার্ভিস কিনে থাকেন, তাহলে লাভের একটা অংশ পাবেন আপনি। কম সময়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভূমিকা রাখতে পারে।

মোবাইল মার্কেটিং

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে মোবাইল মার্কেটিং বলে। উল্লেখ্য যে, উপরের সব ধরনের মার্কেটিং মোবাইলের বেলাতেও প্রযোজ্য। এছাড়া, এসএমএস পাঠিয়েও মোবাইল মার্কেটিং চালানো সম্ভব।

মোবাইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল ডিভাইস। দিন দিন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এর মাধ্যমে প্রচারণা চালালে তাই লাভবান হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!