Sunday, December 22
Shadow

Tag: stories

ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

Stories
ধ্রুব নীল এক দেশে ছিল এক সাপ। তার ছিল ভয়ংকর বিষদাঁত। কিন্তু আফসোসসসস্। ফ্ল্যাট-এপার্টমেন্টের যুগে কামড় দেয়া দায়। দাঁতজোড়া সারাদিন কুটকুট করে। ছোবল আর দেওয়া হয় না। কামড় দিয়েই বা লাভ কী। বিদেশি ইনজেকশন চলে এসেছে। মরার জো নেই। ভয়ানক বিষাক্ত হয়েও এমন অস্তিত্ব সংকট আগে কখনও টের পায় নাই বেচারা সাপ। সারাদিন মুখের মধ্যে একটা মাইনরিটি ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে কাউকে কামড়াতে না পারায় তার বিষগুলো সব জমা হলো মস্তিষ্কে। সেখানে তৈরি হলো এক বিষবুদ্ধি। আধুনিক ওষুধের কারণে ওঝাদের ব্যবসা মন্দা। ওঝারা খেয়ে না খেয়ে আছে। সাপ গেল সেই ওঝার বাড়িতে। ‘ওঝা ভাই। আমি গোবেচারা গোখরা। তোমার সঙ্গে একটা ডিপলোমেটিক আলাপ আছে। দরজা খোলো।’ চিপায় পড়া ওঝা সাত পাঁচ না ভেবে দরজা খুলে দিল। পিঁড়ি পেতে সাপকে বসতে দিল। এরপর দরজা লাগিয়ে শুরু করলো রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ‘বল, তোমার অফারটা কী শুনি।’ ‘অফারটা সোজা। এখন তো আর সাপ...
তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

Stories
অতিপ্রাকৃত বাংলা গল্প : তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান লিখেছেন ধ্রুব নীল   পাহাড়ি টিলার ওপর একচালা ঘর। ঘড়ির দোকান। চা-বিস্কুট বা মুদি দোকান হলে কথা ছিল। কিন্তু তৈয়ব আখন্দ ঘড়ির দোকানটা ছাড়েন না। বাপদাদার আমলের দোকান। পরিবারে বড় অশান্তি। আয়-রোজগার নেই। লোকে এখন ঘড়ি তেমন কেনে না। তৈয়ব আখন্দের স্ত্রী রাস্তার মোড়ে সবজি বিক্রি করে কিছু রোজগার করেন। ‘আব্বা, ঘড়িতে ফুঁ দাও ক্যান?’ ‘এমনি এমনি দিই। অভ্যাস। ঘড়ি ঠিক করার টাইমে একটু ফুঁ ফাঁ দিতে হয়।’ ‘আব্বা, সিন্দুকের ঘড়িটা কবে ধরতে দিবা?’ মিজানের তর সয় না। সে যা-ই বলুক, শেষে সেটা সিন্দুকের ঘড়িতে গিয়ে আটকে যায়। তৈয়ব জবাব দেন না। সিন্দুকের ঘড়ির ব্যাপারে তিনি বিশেষ কথা বলেন না। ছেলের অতি আগ্রহে তার কিছু যায়-আসে না। পোলাপানের আগ্রহ সবখানেই। তৈয়ব আবারও ফুঁ দেন। মিজান জানে, এটা হলো ফাইনাল ফুঁ। মানে ঘড়ি ঠিক হয়ে গেছে। ‘আইজকা তো স্কুলে যাস ন...
রোমান্স গল্প : উপভোগ

রোমান্স গল্প : উপভোগ

Cover Story, Stories
রোমান্স গল্প : উপভোগ লিখেছেন মৌমতিা শকিদার লাবনী ১ সুপ্রভার মনে হলো তার উপমাগুলো বাক্সে পুরে তালা লাগিয়ে দেয়ার দিন এসে গেছে। এ যুগে নাকি এসব অচল। রুজুর ভাষায় এ নাকি সেকেলে গন্ধ ছড়ায়। রঞ্জিতকে রুজু ডাকে সুপ্রভা। এই রুজুই তার কবিতার সমঝদার। মাপ মতো প্রশংসা সমালোচনা দুটোই করে। তবে ইদানীং রুজু সবকিছুতে কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কবিতা-গদ্য সবই এড়িয়ে চলছে। সুপ্রভা বিজ্ঞানের ছাত্রী। তার সবকিছুতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তি আসবেই। রঞ্জিতকে সে মাঝে মাঝে বোঝানোর চেষ্টা করে, কবিতায় কাল ব্যাপারটা অন্যরকম। সুপ্রভার কাছে কবিতার সংজ্ঞা হলো, কালকে আলগোছে একপাশে সরিয়ে পরিচ্ছন্ন কিছু অনুভূতি। রঞ্জিত আবার এসব শুনতে পছন্দ করে না। ভ্রূ কুঁচকে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। আজও যেমনটি আছে। সুপ্রভা বলল, এই যে তুমি এখনকার ভিজুয়াল প্রডাকশানগুলোকে অতিমাত্রায় মেলোড্রামাটিক বলছ, এটা ভুল। রঞ্জিত রিকশাওয়ালার পি...
বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা

বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা

Cover Story, Stories
বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা লিখেছেন - নাবিলা সিদ্দিকা   বেদনার নীল রং..। আব্বে রাহো তোমার কবিতা। কী কইলা? বেদনার কালারডা জানি কী? নীল? নীলতো অইবোই! ঠ্যাঙ্গের নলিতে পটাশ পটাশ দুইখান বাড়ি দিলে নীল রঙা ছোপতো পড়বোই। নতুন কিছু কও। কবি রানা মজুমদার তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কিছু বলতে পারে না। সে উঠতি কবি। এখনো আঙ্গুল টিপে মাত্রা গোনে। অক্ষরবৃত্তে যুগ্মধ্বণিতে সে প্রায়ই তালগোল পাকায়। মাত্রাবৃত্তকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চললেও চর্চায় তার ত্রুটি নেই। কবিতার জন্য চাই আইডিয়া। আইডিয়ার জন্য ভেরিয়েশন। সেই জন্যই দিন দশেক হলো পুরান ঢাকার একদল উঠতি বখাটের সঙ্গে রানার ওঠাবসা শুরু। আড়াই টাকার সিগারেটে টান দিতে কবির বেজায় কষ্ট। বখাটেরা এজন্য তাকে চার টাকার সিগারেট খাওয়ায়। কবিতার জন্য না, নিতান্ত ভদ্র ছেলে বলেই তারা পছন্দ করে। চা-সিগারেটের বিলটা তাই তারাই দেয়। বিল দেয়ার সময় রানা তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। পেঁজা ...
ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত

ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত

Cover Story, Kidz, Stories, Stories for Kids
এ নিয়ে কয়েকশবার হাতে চিমটি কাটা হয়ে গেল। তবু একবারও ব্যথা লাগেনি! তারমানে এ নিশ্চয়ই স্বপ্ন। খুব খারাপ স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন মানুষ এতোক্ষণ দেখে কী করে! দু’চার মিনিট হলে না হয় কথা ছিল, তাই বলে টানা তিনদিন! তবে কি ঐ তিনচোখা দানবটার কথাই সত্যি! সে কি তাহলে..! না এ কিছুতেই সম্ভব নয়। এ হতে পারে না! সে একটা পুরনো পোড়াবাড়িতে না খেয়ে না ঘুমিয়ে তিনদিন একটা চেয়ারে টানা বসে থাকবে, এটা বিশ্বাস করা যায় না কিছুতেই। ঐ তিনচোখা দানব বললেই হলো! ব্যাটা নিজে তো একটা ভূত, বলে কিনা সেও ভূত হয়ে গেছে! অসম্ভব। - এ সম্ভব ম্যাডাম। পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। দরজা নেই। তাই নক করার দরকার হলো না। বাইরে ফকফকা চাঁদের আলো। যিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন তাকে বেশ ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। তার হাতে একটা ব্রিফকেসের মতো ব্যাগ। দুবার কাশি দেয়ার মতো শব্দ করলেন। তবে তাতেও ঘরের ভেতরে যে বসে আছে তার কোনো সাড়া মিলল না। - ...
হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা

হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা

Cover Story, Stories
ধ্রুব নীল ভূতের প্রসঙ্গ উঠলেই নাঈমের দাদি খ্যাটখ্যাট করে ওঠেন। খ্যাটখ্যাটের একপর্যায়ে তিনি অশালীন গালিগালাজ শুরু করেন। গ্রামে এসব গালিগালাজ কমন ব্যাপার। নাঈমের সঙ্গে তার ভার্সিটির বান্ধবী উপমাও বেড়াতে এসেছে। উপমার সামনে দাদির অশ্লীল গালিগুলো হজম করতে হচ্ছে নাঈমকে। ‘যা যা। ভূত আমার ইয়ে করবে।’ তারপর ভূত আর কী কী করতে পারবে না সেটার একটা ফিরিস্তি দিলেন দাদি। ‘দাদি, উপমা এসেছে ঢাকা থেকে। ওর কথাই বলেছিলাম। ও এসেছে আমাদের বাড়ির ভূত দেখতে।’ দাদি একটা কিছু বলতে গিয়ে আটকে গেলেন। উপমা চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন গোটা গোটা চাহনির সামনে গালিটালি মুখ দিয়ে আসে না। হামানদিস্তায় পান ছেঁচতে লাগলেন দাদি। চোখে ছানি পড়ায় কোন দিকে তাকিয়ে আছেন বোঝা গেলো না। রাত এগারোটা। এখনকার গ্রামে এগারোটা অতো গভীর নয়। অবশ্য আজ সম্ভবত অমাবস্যা। ঘুটঘুটে অন্ধকার বলে যে একটা বিষয় আছে সেটা মনে হয় এই প্র...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

Stories, Stories for Kids
ধ্রুব নীল ১ ঘটনার কিছুটা কানে আসার পর জারা গোঁ ধরে, দাদির বাড়ি যেতেই হবে। কনকনে পৌষের শীতে জমজমাট রহস্য পেয়েছে। পরীবিবির বাড়িতে কদিন ধরে ভূতের উপদ্রব। পরীবিবি হলেন জারার দাদি। বয়স সত্তরের মতো। নামের মতো বাড়িটাও রাজকীয়। জমিদারবাড়ির মতো খিলান, কুয়ো সবই আছে। পেছনে জঙ্গলের মতো। বাঁশঝাড়ের ফাঁকে একে অন্যের লেজ কামড়ে হেঁটে বেড়ায় শিয়ালের দল। বাড়িতে যারা থাকে তারা সরাসরি ভূত না দেখলেও ভৌতিক কাণ্ড ঘটতে দেখেছে। আর সেটাকে স্বাভাবিক বলে মেনেও নিয়েছে। ‘ভূত থাকবে না কেন? আমরা তো আছি, ভূত থাকলে দোষ কোথায়!’ জারার বাবার ভূত বাবদ আগ্রহ নেই। তিনি আমুদে লোক। জারা ইনিয়ে বিনিয়ে দাদির কাছ থেকে ভূতের গল্পের আদিঅন্ত আদায় করে নিচ্ছে। ‘দোলনাটা আনছিল আমার আব্বা। আব্বার নাম জমিরুদ্দিন বাদশা। ১৩৫০ সনের কথা মনে হয়। ঠিক মনে নাই।’ ‘কী বলো! এত আগে...।’ ‘ওটা বাংলা সাল জারা।’ শুধরে দিয়ে গেলেন জারার বাবা। তিনি নি...
রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি

রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি

Cover Story, Stories
\   ধ্রুব নীল ‘আমার মনে হয় তোর ভাবী মানুষ না।’ ‘অ্যাঁ!’ ঝেড়েকেশে সরাসরি কথাটা না বললেও হতো। কিন্তু সজল ভ‚মিকা করতে পারে না। কথা পেটে থাকলে চিনচিনে একটা ব্যথা করে তার। ‘তা হলে ভাবী কি অমানুষ? মানে তোর ওপর নিদারুণ...।’ ‘আরে না! রেনুর মতো মানুষ হয় নাকি! ইয়ে মানে, ও অনেক ভালো। কদিন আগে আমার সামান্য জ্বর হয়েছিল, তাতেই পানিটানি ঢেলে একাকার অবস্থা। হে হে হে।’ ‘অ্যাঁ!’ বার বার অ্যাঁ অ্যাঁ করা লোকটা হলো সজল সরকারের ভার্সিটি লাইফের বন্ধু ইন্দ্রজিত। ওর কাছেই মাঝে মাঝে পেটের কথা উগড়ে আসে সজল। আজও সন্ধ্যায় দুজনের আড্ডা চলছে শ্যামলী পার্কে। ‘তা হলে?’ ‘বলছিলাম ও মানুষ না। অন্য কিছু। মানে.. ওই যে অশরীরী...।’ ধন্ধে পড়ে গেল সজল। তার স্ত্রী রেনু বাতাসে উড়ে বেড়ায় না। শরীরটা একটু রোগাপাতলা। তবে শক্তি আছে বেশ। পাড়ায় মারকুটে হিসেবে ভালো খ্যাতিও আছে। একবার তো দুই ছিনতাইকারীকে জুডোর প্যাঁচে খ...
হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

Stories
ধ্রুব নীলের হরর গল্প  ‘কেউ মারা যাবে কিনা সেটা আমি আগেভাগে বলে দিতে পারি। চেহারা দেখলেই বুঝতে পারি।’ ‘আপনার নামটা কী যেন...।’ ‘সিদ্দিকুর রহমান। আমার বয়স পঞ্চাশ। ডায়াবেটিস আছে।’ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখেই বোঝা যায় তিনি অস্বস্তিতে আছেন। মাথা নিচু করে পায়ের নখ দিয়ে ফ্লোর খোঁটার চেষ্টা করছেন। টাইলস শক্ত হওয়ায় পারছেন না। অস্বস্তিতে পড়ার কারণ হলো তিনি এর আগে কোনোদিন মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসেননি। তার ধারণা, মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসবে মাথা খারাপ হওয়া লোকজন। তার মতে, তার মাথা পুরোপুরি ঠিক আছে। তা না হলে টানা বিশ বছর ব্যাংকের চাকরি করতে পারতেন না। ডা. কায়সার বয়সে তরুণ। চেম্বারে রোগী কম। সিদ্দিকুর রহমানের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটা কিছু বোঝার চেষ্টা করলেন। মুখে নকল হাসি টেনে বললেন, ‘আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা সেটা দিয়ে তো আমার কাজ নেই। আমার কাজ মনের কারবার নিয়ে। তবে ডায়াবেটিস খুব খারাপ জিনিস। শরীরের ...
রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস কৃ (১৪-২১ সমাপ্ত)

রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস কৃ (১৪-২১ সমাপ্ত)

Cover Story, Stories
রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১৩) রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১২) রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১১)  রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১০) রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-৯) রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘কৃ’ পর্ব-৮  রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৭ রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৬ রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস “কৃ” পর্ব-৫ রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৪) রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১) ১৪ সপ্তাহখানেক পরের কথা। ওই প্রামাণিক মরে গেছে দিন তিনেক আগে। গ্রামের লোকজন কোনোমতে সৎকার করে বাঁচল। আ...
রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১৩)

রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১৩)

Cover Story, Stories
রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১২) ১৩ এরপর কেটে গেল আরো তিন মাস। প্রথম দুমাস হন্যে হয়ে প্রামাণিক ব্যাটাকে খুঁজেছি। বিন্তিদের কয়েক বাড়ি পরেই নাকি ওর বাড়ি। কিন্তু ব্যাটা তালা মেরে নিরুদ্দেশ। পরিবারে এক মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই নাকি। গ্রামে আমার কোনো চাকরি নেই যে দিন তারিখের হিসাব রাখতে হবে। মঞ্জু মাসে এক দুবার দেখা করতে আসে। আমার ছবি নিয়ে যায় বিক্রি করতে। আমার হয়ে প্রকাশকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, টাকা পয়সার হিসাব সামলায়। রেনুর সঙ্গে তার ভাবের শেষ নেই। ভাবি ভাবি বলে মুখে ফেনা তোলে। শেষের এক মাসে মনে হলো সে চারবার এসেছে। ঘটনা পরিষ্কার হলো শেষ দিন। ‘এখানে থেকে যাব ঠিক করেছি। একটা পুকুরের ব্যাপারে কথা হয়েছে। মারাত্মক সস্তা। এরকম দশটা লিজ নিয়ে নেব ভাবছি। মাছ চাষ করবো। এত লাভ আর কিছুতে নাই।’ ‘ভালো বুদ্ধি। তোর পুকুরে আমি বড়শি ফেলে বসে থাকব, আর হরর গল্প লিখবো। আসল ঘটনা বল এবার।’ ‘...
রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১২)

রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১২)

Cover Story, Stories
আগের পর্বের তালিকা রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১১)  রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১০) রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-৯) রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘কৃ’ পর্ব-৮  রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৭ রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৬ রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস “কৃ” পর্ব-৫ রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৪) রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১) ১২ চোখের পলকে ছয় মাস কেটে গেল। ছিমছাম ধুলাউড়ি গ্রামটা আমার বেশ পছন্দ। মানুষগুলো জলের মতো। কেউ স্বচ্ছ, কেউ ঘোলাটে। তবে জলের মতোইএ যার সঙ্গে কথা বলবে, তার সঙ্গে মিশে যায়। আমি আর রেনু সত্যিকার অ...
ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃতিক গল্প : গোরখোদক

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃতিক গল্প : গোরখোদক

Cover Story, Stories
`শরিফুল আবার কবর খুড়বার লাগসেরে!’ চিৎকার করে পাড়ায় পাড়ায় কথাটা বলে বেড়ানোর জন্য একজনই যথেষ্ট। বরষার প্রবল বৃষ্টির ঝাপটা কাটিয়ে লোকটার চিৎকার যারা শুনতে পেল তাদের মনে তৈরি হলে দুই রকমের অনুভূতি। এমনিতে মৃত্যুর খবর সবাইকে বিষণ্ন করে দেয়। কিন্তু জীবিত কেউ একজন যেকোনো সময় মারা যাবে, এ খবর চাঞ্চল্যকর। আজ কে কখন মারা যাবে সেটা কেউ জানে না। শুধু সবাই জেনে গেছে, আজ দিনের মধ্যে কেউ একজন মরবে। কারণ শরিফুল কবর খুঁড়ছে! মৃত্যুর খবর সে আগাম টের পায়। মটুয়া গ্রামের গোরখোদক শরিফুল। তার বয়স তখন চৌদ্দ পনের। বাবা কবর খুড়ত। সে দাঁড়িয়ে দেখত। এরপর একদিন শরিফুলের শখ হলো কবর খোঁড়ার। সে যেদিন কবর খুঁড়ল সেদিনই পিছলে পড়ে যায় তার বাবা। গলা বরাবর ঢুকে যায় একটা সরু গাছের গোড়া। কারো মতে, ঘটনার শুরু নাকি এভাবেই। গোরস্তানের পাশে চালাঘরে থাকে শরিফুল। গোরখোদক হিসেবে আশপাশে নামডাক তার। তবে পারতপক্ষে কেউ তার খোঁজ...
রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১১)

রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১১)

Stories
ধ্রুব নীলের রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১১) রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১০) রোমান্টিক উপন্যাস : ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২) রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩) ১১ দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছি অনেকক্ষণ। কিন্তু কটা বাজছে বুঝতে পারছি না। ঘোর টোর লাগেনি। ঘড়ির ডিজাইন এমনভাবে করা যে সেকেন্ডের কাঁটা ঘণ্টার কাঁটা আলাদা করা মুশকিল। দুটোরই এক সাইজ। বারোটা দশ বাজে নাকি দুইটা, বুঝতে পারছি না। পিঠে ধাক্কা লাগতেই উঠে দাঁড়ালাম। ‘বাস ছাড়বে। উঠ।’ আমার বন্ধু মঞ্জু। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে বেড়ায়। সারা বছরই ছুটি কাটানোর আমেজে ঘুরে বেড়ায়। মঞ্জুর সঙ্গে আমিও একটু বোহেমিয়ান হওয়ার চেষ্টায় আছি। বিয়ে টিয়ে করিনি। আয় রোজগারও খারাপ না। এদিক ওদিক হুট করে ঘুরতে যাওয়াটা নেশা হয়ে গেছে আমাদ...
ভয় : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

ভয় : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

Cover Story, Stories
সদ্য খোঁড়া কবরের ভেতর শুয়ে আছি। স্যাঁতস্যাঁতে মাটি লেগে শার্টের পেছনটা ভিজে গেছে। ভেতরটা উষ্ণ। বাতাসের জন্য একটা পাইপের ব্যবস্থা আছে। তবু মনে হচ্ছে অক্সিজেন পাচ্ছি না। পাইপের অপরপ্রান্তে সম্ভবত পলিথিন জাতীয় কিছু আটকে গেছে। পাশ ফিরতেও সমস্যা। কারণ আমার পাশেই একটা তরতাজা কাফনে মোড়া লাশ। লাশ কি তরতাজা হয়? লাশ মানে জড়বস্তু। মনে করুন আপনি খাটে শুয়ে আছেন। খাট জড়বস্তু। মাথার নিচের বালিশ জড়বস্তু। যতক্ষণ না ওই বস্তু আপনার ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়াচ্ছে ততক্ষণ আপনি...। ‘খুকক.. খুককক...।’ লাশটা কেশে উঠল। ভুল বললাম। লাশ হলে কাশবে কেন? লোকটা বেঁচে আছে? কাশি শুনে বুঝলাম বয়স পঞ্চাশের ঘরে। চিঁ চিঁ শব্দ আসছে কাফনের ভেতর থেকে। জোর করে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করলে যেমন শব্দ হয়। কিছু বলা দরকার? নাকি চুপচাপ শুয়ে থাকব? কবরের ভেতর ঢোকার গল্পটা সংক্ষেপে বলি। আমার বন্ধু তুষার। সে-ই সব ব্যবস্থা করেছে। এটা ওটা ম্যানে...

Please disable your adblocker or whitelist this site!