গোলাপি পুকুর
৬০০ মিটার লম্বা ও ২৫০ মিটার চওড়া লেকটির নাম ‘হিলিয়ার’। আছে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের মিডল আইল্যান্ডে। যে কারও নজর কাড়বে আগাগোড়া উজ্জ্বল গোলাপি এ লেক। বিজ্ঞানীদের মতে, দুনালিয়েলা নামের একটি ক্ষুদ্র অণুজীবের কারণেই এমন বাহারি রং পেয়েছে লেকটি। এ অণুজীব ক্যারোটেনয়েড নামে একটি পিগমেন্ট তৈরি করে, যা কিনা আমাদের চেনা গাজরেও রয়েছে। আবার, লেকের লবণাক্ত পানির সঙ্গে সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের রাসায়নিক বিক্রিয়াও এমন রঙের জন্য দায়ী। হিলিয়ার লেকে চাইলে সাঁতার কাটা যাবে অনায়াসে। কারণ, দুনালিয়েলা মানুষের শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। তবে দুর্গম হওয়ার কারণ এ লেকে পর্যটকের আনাগোনা বেশ কম।
ছোপ দাগের লেক
দেখলেই মনে হবে নির্ঘাত কেউ পানির ওপর ছোপ ছোপ রং ঢেলে দিয়েছে। আদতে কাজটা করেছে প্রকৃতি। কানাডার ওকানাগান উপত্যকায় গেলে দেখা মিলবে আজব এ লেকের।লেকের ওপর এমন ফুটকিওয়ালা নকশা করতে প্রকৃতি ব্যবহার করেছে বেশ কিছু খনিজ উপাদান। উল্লেখযোগ্য হলো—ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম সালফেট ও ম্যাগনেশিয়াম সালফেট। অতি সামান্য পরিমাণে আছে টাইটানিয়াম ও রুপা। এদের মধ্যে গ্রীষ্মে যখন ম্যাগনেশিয়াম সালফেটটা স্ফটিকে পরিণত হয় তখনই ফুটে ওঠে বিচিত্র সব রং, ছোপ দাগগুলোও হয়ে যায় গোলগাল চাকতির মতো। এ লেকের আদি নাম ক্লিলুক। অনেক আগে এখানে যে আদিবাসীরা থাকত, তারা বিশ্বাস করত এ লেকের পানির বিশেষ রোগ সারানোর ক্ষমতা আছে। আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এ লেকের খনিজ ব্যবহার করে গোলাবারুদ তৈরি করা হয়েছিল বলেও জনশ্রুতি আছে।