মাধবপুর লেক বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখাল এলাকায় অবস্থিত। এটি মৌলভীবাজার শহরের ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য এটি।
মাধবপুর হ্রদ প্রায় ৫০ একর এলাকা জুড়ে। ৩ কিলোমিটার চওড়া এটি। হ্রদের গভীরতা ৫০ থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে। হ্রদের দক্ষিণের পাহাড়গুলো ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি। এখান থেকে ভারতীয় অঞ্চলের উঁচু-নিচু পাহাড় দেখা যায়।
মাধবপুর লেকে নীল পদ্ম ও বেগুনি পদ্ম উপভোগ করা যায়। গোলপাতা ও তরমুজের ঝোপ সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। ছোট ছোট পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে অনেক ধরনের বনফুল রয়েছে। আছে উঁচুনিচু টিলা।
মাধবপুর লেকের পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস, সরালি, পানকৌড়ি দেখা যায়। তদুপরি, হ্রদের আসল সৌন্দর্য দেখা যায় যখনই প্রবল বাতাস জলের দিকে প্রবাহিত হয় এবং এটি একটি নদী বা শান্ত সমুদ্রের পানির মতো মনে হয়। বিকালে, সোনালি সূর্যের রশ্মি সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং একটি দুর্দান্ত পরিবেশ তৈরি করে, শাপলাগুলো তখন সূর্যের আলোতে জ্বলজ্বল করে। ঠিক যেন আঁকা ছবি।
জায়গাটি সেইসব লোকদের জন্য উপযুক্ত যারা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালোবাসেন এবং সেই সাথে যারা শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পছন্দ করেন তাদের জন্য।
মাধবপুর লেক কিভাবে যাবেন
মাধবপুর লেক ঢাকা থেকে প্রায় ২০৭ কিলোমিটার এবং মৌলভীবাজার, সিলেট থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে। ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যাতায়াতের জন্য বেশ কিছু বিলাসবহুল বাস সার্ভিস রয়েছে। রেলওয়েও পাওয়া যায়। শ্রীমঙ্গল পৌঁছানোর পর বাস বা অটোরিকশা ভাড়া করে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে যাওয়া যায়। সিলেটের মূল শহর থেকে চা বাগানটি প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে। সিলেটে আসার পর যাত্রীরা সিলেট-মৌলভীবাজার মহাসড়কে বাসে উঠতে পারেন।
থাকা ও খাওয়ার সুবিধা
শ্রীমঙ্গলে থাকার চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে একাধিক পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। আশেপাশের রেস্তোরাঁয় স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া যায়। তবে এই এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত পানীয় হলো সাত লেয়ারের চা । কালীঘাট রোডে অবস্থিত নীলকণ্ঠ টি কেবিনে এ চা পাওয়া যাবে।