ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃতিক গল্প : গোরখোদক
`শরিফুল আবার কবর খুড়বার লাগসেরে!’
চিৎকার করে পাড়ায় পাড়ায় কথাটা বলে বেড়ানোর জন্য একজনই যথেষ্ট। বরষার প্রবল বৃষ্টির ঝাপটা কাটিয়ে লোকটার চিৎকার যারা শুনতে পেল তাদের মনে তৈরি হলে দুই রকমের অনুভূতি।
এমনিতে মৃত্যুর খবর সবাইকে বিষণ্ন করে দেয়। কিন্তু জীবিত কেউ একজন যেকোনো সময় মারা যাবে, এ খবর চাঞ্চল্যকর। আজ কে কখন মারা যাবে সেটা কেউ জানে না। শুধু সবাই জেনে গেছে, আজ দিনের মধ্যে কেউ একজন মরবে। কারণ শরিফুল কবর খুঁড়ছে! মৃত্যুর খবর সে আগাম টের পায়।
মটুয়া গ্রামের গোরখোদক শরিফুল। তার বয়স তখন চৌদ্দ পনের। বাবা কবর খুড়ত। সে দাঁড়িয়ে দেখত। এরপর একদিন শরিফুলের শখ হলো কবর খোঁড়ার। সে যেদিন কবর খুঁড়ল সেদিনই পিছলে পড়ে যায় তার বাবা। গলা বরাবর ঢুকে যায় একটা সরু গাছের গোড়া। কারো মতে, ঘটনার শুরু নাকি এভাবেই।
গোরস্তানের পাশে চালাঘরে থাকে শরিফুল। গোরখোদক হিসেবে আশপাশে নামডাক তার। তবে পারতপক্ষে কেউ তার খোঁজ...











