class="post-template-default single single-post postid-21672 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

জ্বর হলে গায়ে কাঁথা জড়ানো কি ঠিক?

জ্বর একটি সাধারণ উপসর্গ । বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে এটি হয়ে থাকে। তখন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে 98.6 ডিগ্রী ফারেনহাইট।  এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলেই জ্বরে আক্রান্ত হয় রোগী।

করণীয় কি? এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে এ সময় কিছু বুঝে না বুঝে রোগীর গায়ে কাঁথা চাপিয়ে দেন। তাদের ধারণা এতে করে রোগীর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়বে। জ্বর হলে ঠান্ডা হাওয়া আসার ভয়ে ঘরের দরজা-জানালা অনেকে বন্ধ করে রাখেন। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর কোনটাই জ্বর কমানোর পদ্ধতি নয়।

জ্বর হলে করণীয় কী?

জ্বরের সময় এমনিতেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন যদি আবার শরীরে মোটা কাপড় কম্বল জড়ানো হয় তবে শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। এতে করে শরীরের লোমকূপগুলো ময়লায় বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীরের বাড়তি তা বের হতে পারে না। এসময় শরীরে কাপড় জড়ানো উচিত নয়। শরীরের কাপড় চোপড় যতটুকু সম্ভব খোলা রাখতে হবে। খুলে দিতে হবে ঘরের দরজা-জানালা। মোটকথা উন্মুক্ত আলো-বাতাসের আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্যান থাকলে সেটিও মধ্য গতিতে চালিয়ে দিতে হবে। তারপর একটি তোয়ালে বা গামছা পরিষ্কার বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে হবে। যতক্ষন তাপমাত্রা 100 ডিগ্রি ফারেনহাইট এর নিচে নামবে ততক্ষণ এভাবে চালিয়ে যেতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় শরীরের তাপমাত্রা কমে আসবে। কাজেই লেপ-কাঁথা জড়ালে তাপমাত্রা কমে যাবে এই ধারণা ঠিক নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!