class="post-template-default single single-post postid-22107 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

অণুজীববিজ্ঞানীদের পদ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট

স্বাস্থ্যখাতে এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অণুজীববিজ্ঞানীদের পদ সৃষ্টি ও নিয়োগদানের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট ( বিএসএম)। সম্প্রতি কোভিড-১৯ সুষ্ঠূভাবে সফলতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২,০০০ চিকিৎসক এবং ৫,০০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় গত ১৮.৫.২০২০ সংবাদ প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস সরকারের এই সময়োচিত সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে । তবে, কোভিড-১৯ সহ অন্য সকল সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পাশাপাশি অণুজীববিজ্ঞানীদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মাইক্রোবায়োলোজিস্ট) হিসাবে নিয়োগদানের জন্য বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস দাবী জানিয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.আর.. এম. সোলাইমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, বর্তমানে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে একমাত্র নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো RT-PCR। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীববিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা এই আধুনিক পদ্ধতিটি সম্পর্কে বিশদভাবে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। তারই ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে RT-PCR মেশিন দ্বারা কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ, গবেষণাগার স্থাপনা, RT-PCR পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণের কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্নাতক অণুজীব বিজ্ঞানীরা দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। উল্লেখ্য যে, কোন প্রকার স্বাস্থ্যবীমা কিংবা আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শুধুমাত্র দেশপ্রেম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাঁরা এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অবদান রেখে চলেছেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট এর বক্তব্যনুযায়ী, সংগঠনটি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাগার থেকে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে ভুল ফলাফল পাওয়ার সংবাদ আসছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অত্যন্ত ব্যয়বহূল এই পরীক্ষার ফল ভুল আসার বিষয়টি নিঃসন্দেহে কাম্য নয়। উপরন্তু, পরীক্ষার সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষাবিধি (safety guideline) অনুসরণ না করতে পারলে পরীক্ষাগার থেকেই ভাইরাস সংক্রমণের মতো ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হতে পারে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস বিশ্বাস করে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রয়োজন বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তিবিদদের সমণ্বয়ে পরিচালিত একটি মানসম্পন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ও গবেষণাগার, যেখানে অণুজীববিজ্ঞানীদের ভূমিকা অপরিহার্য। কারণ, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী অণুজীববিজ্ঞানী মাত্রই রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া নিয়ে সঠিক ভাবে সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করে কাজ করার জন্য তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে। শুধু RT-PCRই নয়, অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন পদ্ধতি, যেমন Sero-diagnostics, Molecular diagnostics, জিনোম তথ্য উদ্ঘাটন ও ডাটা বিশ্লেষণ, ভেকসিন ডিজাইন ও উৎপাদন, Kit উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়েও তারা সম্যক জ্ঞান অর্জন করে থাকে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার আন্তরিক ও সংকল্পকে প্রশংসা করে বিএসএম জানায়, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস আশা করে যোগ্য ও সঠিক জনবল নিয়োগের মধ্য দিয়ে সরকার কোভিড-১৯ সহ অন্য সকল সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় সফলতা অর্জন করবে। এ প্রসঙ্গে সমিতি অণুজীববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীদের জাতীয় বেতন স্কেলে নবম গ্রেডে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মাইক্রোবায়োলোজিস্ট) হিসাবে পদ সৃষ্টিকরণ ও নিয়োগদানের মাধ্যমে দেশের এই দক্ষ জনবলকে জনস্বার্থে ব্যবহারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তারা সরকারের নিকট দাবী জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!