Thursday, December 26
Shadow

Film Review Fetih 1453 : তুর্কি ছবি ফাতিহ ১৪৫৩

Fatih is a Turkish word. It means Winning the War. And 1453 is the name of the year, the war happened. The film has been making a lot of noise in the list of historical films. There has never been a film about the conquest of Istanbul (the Byzantine capital of Constantinople at the time) by the Turkish Sultan Mahmud II. And it is well known that a big-budget film with a heroic narrative will respond to the whole world. However, for the sake of ‘cinematic’, the original history has not been criticized. But the situation has been confused elsewhere.

 

It is heard that Turkey is feeling Ottoman imperialism again after this film was made. This film also shown in Turkish schools. However, the reasoning is slightly different. This age also has much to learn from the bravery and skill shown by the Sultan’s party in driving out the Romans in the conquest of Constantinople. And so, according to many, it will not be wrong to think that the main purpose of this film is to acquaint everyone with a glorious chapter of Muslims five hundred years ago.

However, among those ‘many’, the group of Turks is heavy. Of course, no matter how the western media raves about this film by director Farooq Akshay, Hollywood has not made such films. Meanwhile, the wide range of Muslim rule over different periods has not had a good picture so far.

The history of the huge canvas will be known just by looking at the picture. Of course, when it comes to the stage, what next? Then the curtain will come down. And so leaving a history, Fateh 1453 can be placed in the framework of cinematic choice for now. War in the olden days meant the war of a kingdom, a game of swords. The glory can be shared with the CG department and computer graphics. In contrast, was an emphasis on the costumes of the Sultan and his generals. Costumes will certainly score a hundred in this movie. The screenplay was also praised. Of course, if you ask the descendants of those who were oppressed by the Ottomans, they will frown. Anyway, the history will leak a bit in the story gap. And who actually writes the screenplay of history is also a great question.

On the whole, like Sultan Mahmud II, director Farooq Akshay can add the title Fateh to the end of his name if he wants. It was a hit in its own country, but after it was banned in Lebanon, the name of the film spread everywhere. And in this age of automation, the more promotion, the more income. Fatih 1453 has raised three-four times the cost so far.

ফাতিহ তুর্কি শব্দ। বাংলা করলে দাঁড়াবে যুদ্ধজয়। আর ১৪৫৩টা যে একটা সালের নাম, সেটা দেখেই আঁচ করা যায়। হালের ইতিহাসনির্ভর ছবির তালিকায় কদিন ধরে বেশ হাঁকডাক দিয়ে যাচ্ছে ছবিটা। তুর্কির সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের ইস্তানবুল (সেই সময়কার বাইজেনটাইন রাজধানী কনস্টানটিপোল) জয়ের কাহিনী নিয়ে এর আগে আর কোনো ছবিই হয়নি। আর বীরোচিত সেই আখ্যান নিয়ে ইয়া বড় বাজেটের ছবি যে গোটা দুনিয়ায় সাড়া ফেলবে, সেটা অনেকটা জানা কথা। তবে এ ছবি ‘সিনেমাটিক’-এর স্বার্থে মূল ইতিহাসেও খুব একটা নড়চড় হয়েছে বলে সমালোচনার রব ওঠেনি। তবে ঘটনা ঘোলাটে হয়েছে অন্য জায়গায়। পর্দার বাইরে।
শোনা যাচ্ছে এ ছবিটা তৈরি হবার পর তুরস্ক নাকি আবার অটোমান সাম্রাজ্যবাদের অনুভূতি টের পাচ্ছে। স্কুলগুলোতেও নাকি এ ছবি ঘটা করে দেখানো হবে। অবশ্য কারণ দেখানো হচ্ছে একটু আলাদা। কনস্টানটিপোল বিজয়ে রোমানদের তাড়ানোর ক্ষেত্রে সুলতানের দল যে বীরত্ব আর মেধার প্রয়োগ দেখিয়েছে, তাতে এ যুগেরও শেখার আছে ঢের। আর তাই অনেকের মতে পাঁচশ বছর আগেকার মুসলমানদের এক গৌরবময় অধ্যায়ের সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করাটাকে এ ছবির মূল উপজীব্য ভাবলেও ভুল হবে না। তবে সেই ‘অনেকের’ মধ্যে আবার তুর্কিদের দলটাই ভারি। অবশ্য পরিচালক ফারুক আকশয়ের এ ছবি নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার মাতামাতি যেমনই হোক, হলিউড তো আর এমন ছবি কম বানায়নি। এদিকে, মুসলমানদের বিভিন্ন সময়ের বিস্তৃত শাসনামল নিয়ে এতদিন ভাল ছবি হয়নি বললেই চলে। কিন্তু সুলতানের এ বিজয়গাঁথার কে কোন তরজমা দাঁড় করালো, সেটার চেয়েও বড় কথা হলো, ছবিটা একবার দেখা চাই।
ছবি দেখতে দেখতেই জানা হয়ে যাবে অতিকায় ক্যানভাসের এক ইতিহাস। অবশ্য ঠিক যেই পর্যায়ে এসে মনে হবে, এর পর কী? তখনই নামবে পর্দা। আর তাই ইতিহাস ছেড়ে আপাতত সিনেমাটিক বাছবিচারের কাঠগড়াতেই দাঁড় করানো যায় ফাতিহ ১৪৫৩ কে। পুরনো আমলের যুদ্ধ মানেই এক রাজ্যের সৈন্যসামন্ত, তরোবারির খেল। ধরনা দিতেই হলো সিজি তথা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের দরবারে। সেদিক দিয়ে হলিউডকে খুব একটা ছুঁতে পারেনি ছবিটা। বিপরীতে ছিল সুলতান আর তার সেনাপতিদের কসটিউমের জোর। সেদিক দিয়ে একশ তে একশ। চিত্রনাট্যের প্রশংসাও শোনা গেল। অবশ্য অটোমানদের হাতে যারা নির্যাতিত, তাদের বংশধরদের জিজ্ঞেস করলে মুখ কুঁচকে নাক বাঁকাবেই। তাদের মুখের ওপর দেয়ার মতো জবাবও তৈরি আছে, এখন যেটা আমেরিকা, তখন মশাই সেটাই ছিল অটোমান। যাই হোক, গল্পের ফাঁকে ইতিহাস কিছুটা লিক করবেই। আর ইতিহাসের চিত্রনাট্য যে আসলে কারা লিখে, সেটাও তো এক মহাপ্রশ্ন।
মোটের ওপর, সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের মতো পরিচালক প্রথম ফারুক আকশয়ও কিন্তু নামের শেষে চাইলে ফাতিহ উপাধি জুড়ে দিতে পারেন। নিজের দেশে তো হিট হয়েছেই, লেবাননে নিষিদ্ধ হবার পর ছবিটার নাম ছড়িয়ে পড়েছে সবখানেই। আর অটোম্যাটিকের এ যুগে যত বেশি প্রচার, তত বেশি আয়। এ পর্যন্ত খরচের তিন-চার গুণ তুলে এনেছে ফাতিহ ১৪৫৩।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!