এ প্রসঙ্গে সদ্য সানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমার জীবনের কিছু অন্ধকার অধ্যায় রয়েছে। সেগুলোতে ফিরে যাওয়া, অভিনয়েই হোক না কেন, আমার জন্য খুব সহজ কাজ নয়। আমি যেগুলো পেরিয়ে এসেছি, সে সব আমার কাছে এখন দুঃস্বপ্নের মতো। মা মারা গেলেন, বাবার ক্যানসার ছিল, কিছুদিনের মধ্যে বাবাও চলে গিয়েছিলেন। বিয়ে করলাম। টিভি শো শুরু করলাম। সে সব দিন খুব দ্রুত কেটে গিয়েছিল। এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে, সে সব আর ফিরে দেখতে চাই না।’’
সানি জানিয়েছেন, ওয়েব সিরিজে জীবনের সে সব পর্বের অভিনয়ের সময় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে সামলাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার। কিন্তু ড্যানির পক্ষে সানির সে সব দিনের স্মৃতি ঠিক করে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
বলি মহলের প্রায় সকলেই এখন সানিকে একডাকে চেনেন। অভিনয় করছেন। করছেন সঞ্চালনা। তিন সন্তানের মা হয়েছেন। এক সময় পর্ন তারকার পেশা ছেড়ে বলিউডে নিজের পায়ের তলায় জমি শক্ত করেছেন একটু একটু করে। সানির এই জার্নির গল্পই দেখানো হচ্ছে বায়োপিকে। একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ থেকে কেন তিনি পর্নোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন? কানাডাবাসী মধ্যবিত্ত এক শিখ পরিবারের মেয়ে কী ভাবে অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা তৈরি করেছিলেন? কী ভাবে তা থেকে বেরিয়ে বলিউড মেনস্ট্রিমে জায়গা করে নিলেন? এ সব নিয়ে ‘করণজিৎ কউর- দ্যআনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন’ ওয়েব সিরিজ সাধারণ দর্শকের কৌতূহল মেটাচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।