গল্প Archives - Page 2 of 9 - Mati News
Friday, December 5

Tag: গল্প

বর্ণচোরা আরিফ

বর্ণচোরা আরিফ

Stories
মো আবুল কালাম: ভবিষ্যতে মহান হওয়ার সম্ভাব্য, সম্ভাবনাময় বর্ণচোরা 'আরিফ' সম্পর্কে আমার শালা হয়। তার বয়স বাড়েনা, তার মুখ মন্ডলের পশম সমূহ বিসর্জন দিয়ে ১৫ বছরের বালক বলে দিব্যি চালিয়ে দেয়া সম্ভব, যদিও তার বয়স ২৫! সে অনাহারে না থাকলেও তাকে মঙ্গাপিড়িত এলাকার ক্ষুধার্ত বলে চালিয়ে নিতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আকৃতি বা প্রকৃতি যেকোনভাবেই সে বয়স, পেশা, জন্ম বা পড়াশোনা সবকিছু লুকানোর সকল বৈশিষ্ট্যই তাহার বাহ্যিক আবয়বে বিদ্যমান। বর্ণচোরা শব্দটা তার জন্য আবিষ্কার হয়েছিল বললে শব্দটাকে যথার্থ মূল্যায়ন করা হবে বলে অন্তত আমার মনে হয়। এই চোরা (চোরা শব্দটি সম্পর্কের খাতিরে আমার জন্য প্রযোজ্য , আপনারা পড়ুন বর্ণচোরা) তার পরিবারের বড় সন্তান, মাস্টার্স ফাইনাল শেষ হতে মাস কয়েক অবশিষ্ট আছে। সে এখনো নিজের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হতে পারেনি। তার পড়াশোনা ও আনুষাঙ্গিক খরচের জন্য মা-বাবা ...
বইমেলায় ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’ নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা!

বইমেলায় ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’ নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা!

Stories
সিফাত রাব্বানী: পুরনো একটা শ্যাওলা পড়া রেস্টহাউজে বেড়াতে গেছেন এক লেখক। রাত বিরাতে নুপুরের শব্দ। না হয় রিনরিনে হাসি। জানা গেল বহু আগে ওই বাড়িতে কেউ আত্মহত্যা করেছিল... যাকে মানুষ ভেবে এতক্ষণ কথা বলছিল আজমল সাহেব, তিনি আসলে মারা গেছেন বহুকাল আগে... এক মিনিট! এ গল্প চেনা চেনা লাগছে? কমবেশি সব হরর গল্পের প্লট এরকম? এসব টাইপড গল্প পড়ে এখন আর গা ছমছমে ভয়ের ফিলিংসটা আসছে না? তাহলে আপনার জন্যই ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’। বিষণ্ন একটা আলো-আঁধারি অথচ কল্পনাতীত আতঙ্কের জগতে প্রবেশ করে যাবেন একই পাতা ওল্টাতেই! গল্পগুলো মাথা থেকে সহজে যাবে না। অন্ধকার কোণে বসে থাকবে ঘাপটি মেরে। কালো প্রচ্ছদের বইটাকে মনে হবে অপয়া! কাছে রাখা যাবে না। দ্বিতীয়বার পড়তেও ভয়, যদি কিছু ঘটে! প্রতিটা গল্পই লেখক মারাত্মক পরিশ্রম করে লিখেছেন বোঝা যায়। ঝরঝরে লেখা। তবে গভীরে ডুব দিলেই ভয়ের সাগরে পড়ে যাবেন। খেই হা...

পাখির গানে বাংলা সুর

Stories
মো. আশতাব হোসেন  কনকনে পৌষ ও মাঘ মাসের শীতের পাতা আসন ভেঙ্গে দিয়েছে ফাল্গুনের দক্ষিণা বাতাস।  শীত ভয়ে পালিয়ে গেছে। পাখিরা মত্ত হয়ে উঠেছে রঙ্গের খেলা করতে।  কোকিল-কোকিলা, দোয়েল, ময়না বাংলার সকল পাখি  নেচে নেচে ঘোষণা করছে, বাংলার আনাচে কানাচে রাজ এসেছে রাজ এসেছে ।  সোনার বাংলার অঙ্গজুড়ে প্রকৃতি যেনো কোমল বসনে জড়িয়ে নিয়েছে তারই বুকে। বসন্তের ফুলের সৌরভ আকাশ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে । সবুজ পাতার শাড়ি পরে গাছে গাছে ফুলকলিরা উকি দিচ্ছে। কিছু  গাছে কলি থেকে ফুল বেরিয়ে হেসে হেসে শোভা বিলাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে আশে পাশের এলাকাজুড়ে । আমের বাগিচায় মৌমাছির প্রেমের প্রেমের গান গেয়ে গেয়ে ফুলের মধু সংগ্রহ করে চলছে প্রতিযোগিতা করে এই বাংলার বসন্ত পাড়ায়। সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের চত্বর পেরিয়ে আশেপাশের এলাকাতে গুঞ্জন,  কী করে রাষ্ট্রভাষা বাংল...
ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’র অতল আঁধারে স্বাগত

ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’র অতল আঁধারে স্বাগত

Stories
জীবনের অজানা পরতে লুকিয়ে আছে কতশত অন্ধকার গলি। ভয়ে অলৌকিক সেই আখ্যানগুলোকে অতৃপ্তির সুতোয় গেঁথেছেন ধ্রুব নীল। অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রচ্ছদটাই যেন বলছে, শুরু থেকেই আঁধারের জগতে প্রবেশ করতে চলেছেন সাহসী পাঠক। ‘অতৃপ্ত’র গল্পগুলো শুধু অতৃপ্তির নয়, মানবআত্মার অমোচনীয় যন্ত্রণারও দলিল। একটি গল্পের চরিত্র জানে না ভয় কী জিনিস। সেই শূন্যতার মুখোমুখি হতেই নেমে আসে একরাশ অন্ধকার। এক সিরিয়াল কিলার জানে না ব্যথার অনুভূতি কেমন, শীতল সেই নিস্তরঙ্গতার ভেতরই জ্বলে ওঠে এক অন্যরকম হাহাকার। কোথাও আবার বন্ধুর মৃত্যুর বেদনায় কাঁপে আরেকটি হৃদয়, যার অতৃপ্তি রয়ে যায় নীরব দীর্ঘশ্বাসে, ধরা দেয় জাদু বাস্তবতায় মোড়ানো এক পূর্ণিমার রাতে।ধ্রুব নীলের সহজ ভাষা পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে অস্তিত্বের এক অনির্বচনীয় অন্ধকারে। ‘অতৃপ্ত’ কেবল ভয় কিংবা আধিভৌতিক গল্প নয়, পাঠকের হৃদয়ের গলি-ঘুপচিতে থেকে যাবে অমোচনীয় কালির মতো।অমর একুশে বইমেলায়...
রূপ কমে যায় শব্দবোমায়

রূপ কমে যায় শব্দবোমায়

Stories
লেখক: আজাদ            নারী কণ্ঠের শব্দ বোমা জানালার কাঁচ অতিক্রম করে কর্ণকুহরে প্রবেশ করছিল। ভর দুপুরে নারী কণ্ঠের আওয়াজে মনঃযোগ দেয়া অর্থহীন, এতে নতুনত্ব কিছুই নাই।শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে মাত্রই রুমে আসলাম, জুমার নামাজ পড়ে আসার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার গ্রহণ, এটা বাধ্যতামূলক, জুমার নামাজ পড়ে এসে খাবারের যে স্বাদ তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা। এখন কে কি নিয়ে কার সাথে ঝগড়া করছে তা পর্যবেক্ষণ করার কাজটি কম গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কে কার সাথে ঝগড়া করছে তা জেনে আমার কি! এখানেতো আর আমার পরিবার পরিজন বা আত্মীয় স্বজনরা কেহ থাকেনা। ঝগড়া করুক! আরো বেশি করে করুক!! ঝগড়া হাতাহাতি বা মারামারিতে রুপান্তরিত হোক!!!শব্দ বোমা অনবরত বিসর্জিত হচ্ছিল, আগে খেয়ে নেই পরে প্রয়োজনে দেখবো এই ভেবে খাওয়া আরম্ভ করলাম।জানালারতো পর্দা নাই স্বচ্চ গ্লাসের...
শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু

শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু

Stories
এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়। একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। বাড়ির জানালা দিয়ে সে দেখছিলো ব্যাবসায়ীর শান-শওকত। খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে সে চিন্তা করতে লাগলো, 'আহা আমি যদি বণিকের মতো হতে পারতাম!' কি আশ্চর্যের ব্যাপার, লোকটা হঠাৎ বিরাট বণিক হয়ে উঠলো। তার কল্পনার চেয়ে বেশি বিলাসিতা এবং ক্ষমতা উপভোগ করতে লাগলো। একদিন সে দেখলো রাজ্যের প্রধান বিচারক রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। সে দেখলো, বিচারক একটা চেয়ারে বসে আছেন এবং তাকে একদল সৈন্য বয়ে নিয়ে চলছে। রাস্তার পাশের দোকানিদের সৈন্যরা দেদারসে পেটাচ্ছে। জনতা বিচারকের সামনে মাথা নত করছে। বণিকের মনে মনে ভাবতে লাগলো, আহা বিচারক কত শক্তিশালী! আমি যদি একজন বিচারক হতে পারতাম!" তারপরে সে এক বিচারক হয়ে উঠলো, তার সৈন্যরা তাকে সেডান চেয়ারে সর্বত্র বহন করে...
হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প রেনু খুন হওয়ার দেড় মাসের মাথায় খুনিকে ধরেছে রশিদ। খুনি এখন তার সামনে ভারী কাঠের চেয়ারে হাত-পা বাঁধা বন্দি। ‘তুমি আমার একচল্লিশ নম্বর সাবজেক্টের... স্বামী। চিনতে পেরেছি আগেই।’ খুনি বলল। রশিদের স্ত্রী রেনুকে ভয়াবহ যন্ত্রণা দিয়ে সে-ই মেরেছে। ফ্ল্যাট বাসার ভেতরের একটা রুম। ভেতরে ঝলমলে আলো। দুই লেয়ারের ভারী পর্দায় ঢাকা চারপাশ। রুমটা সাউন্ডপ্রুফ করতেই লাখ তিনেক খরচ করেছে রশিদ। অ্যাকুস্টিক প্লাস্টারবোর্ডের সঙ্গে ফোমও বসিয়েছে। তবে খুনি লোকটা একবারও চেঁচামেচি করেনি। খুনির নাম জানা নেই। নাম নিয়ে রশিদের আগ্রহ নেই। পত্রিকার দেওয়া নামটা হলো ‘সলটেড কিলার’। ভিকটিমকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো। তারপর লবণ বা এ জাতীয় কিছু মেখে দিত। মরার আগ পর্যন্ত চলতো অমানুষিক নির্যাতন। দুয়েকটা ডেডবডিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ভিনেগারের ট্রেস পাওয়া গিয়েছিল। যন্ত্রণা দেওয়...
হরর গল্প : নিস্তার

হরর গল্প : নিস্তার

Stories
লেখক: ধ্রুব নীল ।। ধরন : হরর গল্প । বাংলা আধিভৌতিক হরর গল্পটি চাইলে অডিও বই আকারে শুনতে পারবেন নিচের ভিডিওতে ক্লিক করে। https://youtu.be/M2Z9TIitXb0 অডিও গল্প: হরর : নিস্তার ঝড়ের ঝাপটায় তোশক চুপসে গেছে। রাজ্জাক জানালা বন্ধ করছে না। তার মনেও ঝড়। বাইরের ঝড়ের সঙ্গে মনের ঝড়ের কাটাকুটি খেলা হচ্ছে।দুই বছর নীলিমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে রাজ্জাক। এখনো চিঠিটা দেওয়া হয়নি। দিলেই তুলকালাম বেঁধে যাবে। কলেজের বণিক স্যারের মেয়ের সঙ্গে প্রেম বাড়িতে মেনে নেবে না। রাজ্জাকের বাবা রাধানগর মসজিদ কমিটিতে আছেন। ঘটনা ঘটলে ইজ্জতের বেড়াছেড়া লেগে যাবে। [হরর গল্প : নিস্তার] নীলিমা বললে রাজ্জাক এক শার্টে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়বে। সমস্যা হলো নীলিমা সেটা বলবে না। সে রাজ্জাককে বিশেষ পাত্তা দেয় না। রাজ্জাক প্রতিদিনই হ্যাংলার মতো গার্লস কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে কাল থেকে দাঁড়াদাড়...
৫টি গল্প ও শিক্ষণীয় বিষয়

৫টি গল্প ও শিক্ষণীয় বিষয়

Default
গল্প-১ বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে। ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’ বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা। শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’ ‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে। ‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’ শিক্ষণীয়বিষয় আপনার ধারদেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন। গল্প-২ সেলসম্যান, অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁরা একটি পুরোনো প...
হরর গল্প: ডার্ক ম্যাটার

হরর গল্প: ডার্ক ম্যাটার

Stories
মাচায় শুয়ে আকাশ দেখতে গিয়ে নুরুল আফসারের মনে হয় তার মাথার ওপর যে বিস্তৃর্ণ আকাশ, তেমনি ওই আকাশের সাপেক্ষে সে-ও আছে অনেক উপরে। সে চাইলেই দূরের নক্ষত্রে যেতে পারছে না, নক্ষত্ররাও তার কাছে আসতে পারছে না। আকাশে মেঘ। মেঘ যখন ছিল না তখন লালচে কূপির মতো বহুকাল আগের কোনো এক তারায় আটকে ছিল নুরুলের দৃষ্টি। মেঘ জমতেই একটা অদৃশ্য চাদর প্রবল বেগে মোচড় খেয়ে ঘিরে ধরে নুরুলকে। অর্থাৎ নুরুল তার কল্পনার আলো-আঁধারি জগতে ঢুকে পড়তে চলেছে। কল্পনার বিষয়টা তার কাছে গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যকার টানাটানির মতো। গভীরে কী ঘটে জানে না। তবে অস্বীকার করার জো নেই। নুরুল আফসার আপাত-অদৃশ্য সেই চাদরে ডুব দিয়ে নিজের বলয়ে ঢুকে পড়ে। নিজের এই জগতে নুরুল অন্য মানব। ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে না। বৃষ্টি হয় তাল-লয় মেনে। ঘড়ির কাঁটা ঘোরে কল্পনাকারীর মর্জিমাফিক। বাইরে ঝড়ের বাতিক। শীতে কেঁপে ওঠে নুরুল। আজ মগজের কুঠ...
ধ্রুব নীলের ‘ভয়াল’ আসছে

ধ্রুব নীলের ‘ভয়াল’ আসছে

Stories
রক্তবন্দির দারুণ জনপ্রিয়তার পর হালের জনপ্রিয় ভিন্নধারার লেখক ধ্রুব নীলের ‘ভয়াল’ আসছে। জানা গেছে, এই হরর গল্প সংকলনটি হতে চলেছে আগের চেয়ে বেশি গা ছমছমে, আগের চেয়েও বেশি ভয়ের, আরও বেশি অন্ধকারে ঢাকা। বরাবরের মতো এ বইটিও প্রকাশ করতে চলেছে প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স। ভয়াল সম্পর্কে লেখকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন পাঠককে বহুকাল আগের অশরীরি ভয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি গল্পগুলো লিখেছেন। এর কোনোটিতে আছে গা ছমছম করা পুরনো দিনের ভূতের ভয়, কোনোটিতে আছে অন্য জগতের অন্য এক নাম না জানা ভয়ের আখ্যান। মানুষের কল্পনা, বাস্তবতা; জীবন ও মৃত্যু এবং এ দুই জগতের মাঝামাঝি আরেক জগতে আটকেপড়ার কাহিনি আছে এতে, কিছু গল্প পড়ার পর সেই ভয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটতে পারে পাঠকের মনে।...
একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

Jokes, Stories
এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত। সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত। ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে। কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত। কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে স...
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

Kidz, Stories, Stories for Kids
(মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্পটি লিখেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা গল্পকার ধ্রুব নীল। এ গল্পে এক দারুণ মেধাবী কিশোরের গাণিতিক দক্ষতার কারণে কী করে একটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বেঁচে গেল, সেটাই দেখানো হয়েছে। শিশু কিশোরদেরকে অঙ্কের একটা মজার খেলাও শেখা হবে এই গল্পে। এই গল্পে দূরত্ব মাপার কৌশলটি পুরোপুরি সঠিক ও প্রমাণিত।) ‘গেলরে! বলটা একেবারে মরণ কুয়োয়। তুলবো কী করে! খেলা ডিসমিস। ওই সবুজ, তুই ফেলেছিস, তুই তুলবি।’ শরিফুলের কথায় উসখুস করছে সবুজ। তার কিকেই ফুটবলটা সোজা গিয়ে পড়েছে গভীর এক পরিত্যক্ত কুয়ায়। নিচে পানি থাকলেও কেউ জানে কত গভীর ওই কুয়া। মায়াপুর হাইস্কুলে পড়া ওরা সবাই। কেউ এইটে তো কেউ টেনে। রতনও আছে দলে। সে হলো ‘দুধভাত পেলেয়ার’। টিংটিঙে সরু। জোরে বাতাস এলেও নাকি তার হাঁটতে কষ্ট হয়। পাওয়ারওয়ালা চশমা পরে। অবশ্য কেউ তার মাথায় গাট্টা মারে...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

Kidz, Stories, Stories for Kids
লেখক : ধ্রুব নীল সময়পুর। এ নামে বাংলাদেশে কোনো গ্রাম নেই। মানে এখন আমাদের যে মানচিত্র তাতে এর অস্তিত্ব নেই। গ্রামের নামটা আমারই দেওয়া। কারণ, আমার মতে নামটা সময়পুরই হওয়া উচিত। যদিও ওই গ্রামের লোকজন নাম-ধাম নিয়ে ভাবে না। তাদের কাছে গ্রাম মানে গ্রাম। সময়পুর গ্রামে সময় যেতে চায় না। সবার হাতেই অফুরন্ত সময়। কাজ করতে করতে কোনো কৃষকের মনে হলো আজ নিড়ানি বাদ দিয়ে বসে থেকে শরতের ঘ্রাণওয়ালা বাতাস খাবে। তো সে সেটাই করে যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক সময় রাত হবে। শেয়াল ডাকবে। শেয়ালের ডাক শুনে শুনে কোনো শিশুকে তার মা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে। সেটাও অনেক সময় নিয়ে। তারপর নিশাচর পাখির গাছের গর্তে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে গভীর রাত। যে রাতটাও কাটতে চাইবে না অনেকক্ষণ। এখানে আসার পরই আমি গ্রাম কাকে বলে শিখেছি। গ্রাম হওয়ার মতো সবই আছে সময়পুরে। চিকন লতার মতো সজনে, খালের পাড়ে বেড়ে ওঠা কল...
Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Stories
ধ্রুব নীলের লেখা ভয়ানক এ আধিভৌতিক এ Bangla Horror Story হরর গল্প দুর্বলচিত্তের পাঠকদের জন্য নয়। গল্পটি লেখকের প্রকাশিতব্য ভয়াল সিরিজের পাণ্ডুলিপি থেকে নেওয়া। ভোরের আগে ব্রিটিশ আমলের গোডাউন। ঝাড়পোঁচ করার পরও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা কাটেনি। শূন্য ঘরের মাঝে চার ফুট উঁচু বেঞ্চি। তাতে নিথর দেহটি রাখা। ঘরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরানো হয়েছে। হারিকেন আর মোমবাতির ব্যবস্থা করা ছিল আগেই। ওগুলো জ¦লছে স্থির শিখায়। পুরো প্রক্রিয়াটার তারাও সাক্ষী হতে এসেছে যেন। বেঞ্চির একপাশে মনোয়ারা। অন্যপাশে বৃদ্ধ জিঁয়ৎ কুন্ডু। অশীতিপর বৃদ্ধ তার ধাতব বাক্সটা গোছালেন ধীরেসুস্থে। মেঝেতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কোনো একটা তরল। যে কারণে জমাট রক্ত ও অন্যান্য জৈবিক অংশগুলো থেকে বোঁটকা গন্ধ নাকে বাড়ি খেল না। মনোয়ারা তার হাতব্যাগ থেকে টাকাটা এগিয়ে দিল। বৃদ্ধ ইশারায় অপেক্ষা করতে বলল তাকে। ধাতব বাক্সটায় ছুরি, কা...