class="archive paged tag tag-23 wp-custom-logo paged-2 tag-paged-2 group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Tag: গল্প

আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প : স্বপ্নভূমি

আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প : স্বপ্নভূমি

Stories
স্বপ্নভূমি আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প । ভোর-ভোর থাকতেই, হাঁড়ির কোণে থাকা একটু পান্তা কাঁচা লঙ্কা আর লবণ চটকে খেয়ে নেয় আকালু... ভোর-ভোর থাকতেই, হাঁড়ির কোণে থাকা একটু পান্তা কাঁচা লঙ্কা আর লবণ চটকে খেয়ে নেয় আকালু। তারপর সাইকেলে চেপে বাতাসের বেগে ছুটে যায় ইউনিয়ন পরিষদে। আগেভাগে ধরতে হবে, সময় বলে কথা, সময়ের কাজ সময়ে না করলে পস্তাতে হয়; কিন্তু আকালু তো জীবনভর পস্তেই যাচ্ছে, হয়তো ওর ভবিতব্য! ফজর নামাজ পড়েই মেম্বার পরিষদে আসে। প্রথম সাক্ষাতে মেম্বারকে জানাতে হবে। খাঁড়ির জমিটুকুর জন্য যে গত মাসের আগের মাসে খুনোখুনির মতো একটা কিছু ঘটে গেছে, তার মামলার দিন পড়েছে, তাকে সদরে যেতে হবে। মামলা-মোকদ্দমা বলে কথা! ওই জায়গায় কেউ কি নিজের ইচ্ছেয় যেতে চায়। তারপরও যেতে হয়, ঠেকায় পড়ে। আকালু শেখ সাধারণত কারও সাতপাঁচে থাকে না বটে; কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়ে না তার। সবকিছুতেই সে জ...
রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

Stories
ছয় জগতের ছয়জন মানুষ। আচমকা একদিন আটকা পড়েছেন একটি ঘরে। সেখানে বেজে চলেছে একটি রেকর্ডিং। বদ্ধ সেই ঘরে নেই কোনো খাবার। আছে শুধু ছয়টি পানির বোতল। ভেতরের ছয়জনকে খেলতে হবে একটি খেলা। যে খেলার ফল ঠিক করে দেবে ছয়জনের মধ্যে কারা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় গল্পকার ধ্রুব নীলএই লেখকের সমস্ত বই পাবেন এই লিংকে ধ্রুব নীলের রক্তখেলা ( রহস্য ও থ্রিলার গল্প ) পর্ব-১কাবাডি ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি। খেলার নাম কাবাডি। নিয়মটা হলো…।’‘কে!’যে চেঁচিয়ে উঠল তার ঘুম ভেঙেছিল সবার আগে। টিমটিমে একটা টিউবলাইটের আলোয় চোখ সয়ে আসার পর কোটের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে পুরোনো ঘরটার মলিন আসবাব ও ছুড়ে ফেলা জামাকাপড়ের মতো দলা পাকিয়ে থাকা বাকি দেহগুলোও তার নজরে আসে। শুনতে পায় রেডিওর অনুষ্ঠানে বিরতিতে বেজে ওঠা স্টিংগারের মতো মিউজিক। এরপর রেকর্ড করা কণ্ঠ- ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি…।’‘কে কথা বলে! বেরিয়ে আসেন।...
গল্প: গুম

গল্প: গুম

Stories
আমি ভাবছিলাম রসুনরঙের দিনগুলোর কথা। যখন রোদের আলো তেরছাভাবে এসে পড়ত মানুষের গায়ে আর রসুনের ক্ষেতে। মানুষ নিজে এ রোদ থেকে বাঁচতে চাইলেও রসুনের ক্ষেতকে থাকতে দিতে চাইত এ রোদের তলেই। এরপর রসুনগুলো তাদের বার্ধক্যের কাছাকাছি এলেই এনে জড়ো করা হতো পুরাতন পৃথিবীতে বেড়ে ওঠা কোনো এক ঘরে। সেই ঘরের ওপরের দিকে ছনের চালার ঠিক নিচে, আগে থেকে বেঁধে রাখা বাঁশের কাঠামোর মধ্যে গিট্টু দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। আর একটা বালক পথ ভুলে সেই পুরাতন পৃথিবীর ঘরটাতে গিয়ে তাকাত ঝুলন্ত রসুনগুলোর দিকে। রসুনের ঝাঁজ নাকে প্রবেশ করতেই তার মনে হয়েছিল, একদিন সে এই গন্ধের কথা বলবে সবাইকে। ঠিক এ সময় আমার পাশের খালি সিটটিতে আমারই বয়সী একটা লোক এসে বসলে আমি তাকাই তার দিকে। তাকে আমার পরিচিত কেউ মনে হয় না। যদিও আমরা একই শহরে যাব, শুধু আমরা না, এ বাসের সব যাত্রীই। তবুও কাউকেই আমার পরিচিত মনে হয় না। আমি প্রতিবারই বাস...
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

Stories
আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি ধ্রুব নীল চুলায় ডাল ফুটে উঠতেই রাবেয়ার বুক কাঁপতে শুরু করে। বারবার মিলির দিকে তাকায়। মনের মধ্যে কু-প্রশ্ন ভর করে—এই ডাল যদি মিলির গায়ে ছিটকে পড়ে! মিলি রাবেয়ার একমাত্র মেয়ে। বয়স ছ-সাত হবে। মিলি চায় রাতের বেলায় মায়ের পাশে গুটিসুটি মেরে বসবে আর মাটির চুলায় লাকড়ি ঠেলবে। রাবেয়া সেটা হতে দেয় না। কড়া ইশারায় মিলিকে বুঝিয়ে দিল চুলার আসপাশ আসলে তার পিঠে লাকড়ি ভাঙা হবে। রাবেয়া নিজেও জানে তার এ ভয় অহেতুক। ফুটন্ত ডাল খামাকা মেয়ের গায়ে পড়বে কেন? ‘আম্মা, একটা হিয়াল।’ ‘কোনো দিক যাবি না কইলাম। চুপচাপ ঘরে বইসা থাক। কোন দিকে হিয়াল?’ ‘জানি না।’ ‘কই দেখছস? সামনে যাইস না কইলাম।’ ‘ঘরের পিছে। ডেউয়া গাছের তলায়।’ রাবেয়ার মনে হলো তার লাফিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু নড়তে পারল না। হাত-পা অবশ লাগছে। চোখ বন্ধ করে দোয়া-দুরুদ...
রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব

রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব

Stories
রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব। গল্পটি লিখেছেন এ কালের অন্যতম সেরা তরুণ লেখক  ধ্রুব নীল। লেখকের অনুমতিক্রমে রোমান্টিক বিরহের গল্প : চরণে ধরিয়া তব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। শুধু আমিই আমাকে বুঝতে পারি। আমার মা-ও আমাকে বুঝতে পারে না। সেখানে তমাল কোন ছার। তাকে বুঝতে দিলেও সে বুঝবে না। তমাল হলো খোলা বই। তরতর করে রিডিং পড়া যায়। সমস্যা হলো বইটায় তেমন থ্রিল নেই। ম্যাড়ম্যাড়ে কয়েকটা ছোটগল্প আছে বড়জোর। তমালের ফোনে ব্রাউজার হিস্ট্রি ডিলিট করার অ্যাপ দেখেছি। কথা বলার সময় মিনিটে চোখ কতবার কোন দিকে যায়, আর সেটার পেছনে যে মনস্তত্ত্ব লুকিয়ে থাকে, সেটা একটা সফটওয়্যারও ধরে ফেলবে। আমার চোখের কঠিন ফেস রিকগনিশন সে ফাঁকি দেবে কী করে! লুকিয়ে এটা সেটা দেখলে দেখুক। প্রেম করার জন্য লুতুপুতু মার্কা সেজে বসে থাকাটা যে কাজের জিনিস নয়, এই ভুল তার ভাঙতে হবে। বিশ্বাস করুন, ভালো মানুষিগিরির চেয়ে বিরক্তিকর আর ক...
৫০ বিরহের গল্প : পর্ব -৩ : আপনা ভুলিয়া

৫০ বিরহের গল্প : পর্ব -৩ : আপনা ভুলিয়া

Stories
ধ্রুব নীল মকবুল সাহেব ভুলোমনা। তার কাছে সব সময়ই হলো প্রেজেন্ট পারফেক্ট টেন্স। এইমাত্র একটা কিছু করলে সেটা খানিকক্ষণ মনে থাকে। রাত সাড়ে এগারোটায় স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা ছেড়ে ব্যাগ হতে বের হয়ে গেছেন। কী নিয়ে ঝগড়া সেটা মনে পড়ছে না। রাস্তায় নামতেই পেয়ে গেলেন রিকশা। রিকশাওয়ালাই ডাক দিল। ‘যাবেন?’ রিকশাওয়ালার ডাক শুনে মনে হলো তার যাওয়া উচিত। যাওয়ার জন্যই তো বের হয়েছেন। মকবুল সাহেব ধরে নিয়েছেন তিনি জানেন কোথায় চলেছেন। পরে কোনো এক সময় মনে পড়লেই হলো। রিকশা থামলো একটা বস্তির মতোন জায়গায়। ‘নামেন।’ মকবুল সাহেব নামলেন। দুই যুবক পথ আটকালো। দেখতে ফিটফাট। কোম্পানির সেলসে চাকরি করলে যেমন সুটেড বুটেড থাকে। ‘আংকেল ব্যাগটা দিন, আর মানিব্যাগটা।’   ধ্রুব নীলের গল্প “তোমার অসীমে” মকবুল সাহেব ঘাবড়ালেন না। রিকশাভাড়া দিতে গেলেন। রিকশাওয়ালা বলল, লাগবে না স্যার। মকবুল সাহেব তার মানিব্য...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : ডালিম ভাইয়ের বাঁশি

সায়েন্স ফিকশন গল্প : ডালিম ভাইয়ের বাঁশি

Stories
সায়েন্স ফিকশন গল্প  : ডালিম ভাইয়ের বাঁশি Bangla science fiction story ‘জাদুটা আবার দেখবি?’ ‘কোনটা?’ ‘আরে ওইটা। তুই তখন ফাইভে। পেনসিলের মতো টিংটিঙা ছিলি। তোরে তো পেনসিলই ডাকতাম। ওই সময় যেটা দেখাইছিলাম।’ ‘আমার তো মনে নাই।’ ‘মনে থাকন লাগবো না। আমার আছে।’ দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে একটা বিষয় আছে। কেউ বলে লতায়-পাতায় আত্মীয়। কাগজে কলমে ডালিম ভাই দূরের হলেও খাতিরের দিক দিয়ে খুব কাছের ছিলেন। অবলীলায় তার কাঁধে মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়াতাম। এখন সম্পর্কে ঢিল পড়েছে। কাঁধে ওঠার বয়স নেই। ডালিম ভাইয়ের সঙ্গে কবে জাদু দেখতে গিয়েছিলাম, মনে পড়ে না। তবে কম অ্যাডভেঞ্চার তো করিনি। কোনো এক ফাঁকে জাদুর আসরে গিয়েছিলাম হয়তো। গ্রামে এখনও এসব আসর বসে নাকি? ডালিম ভাই আমাকে দেখে কতটা খুশি হলো সেটার প্রমাণ পেলাম নাশতা শেষ হওয়ার পর। আমাকে রীতিমতো বগলদাবা করে হাঁটা দিলো নো ম্যান্স ল্যান্ডের দিকে। ...
গল্প : আমি মানিক বলছি

গল্প : আমি মানিক বলছি

Stories
আমি মানিক। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। আমি যখন প্রথম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার বাবা-মা দুজনেই মারা যায় সড়ক দুর্ঘটনায়। আমি কীভাবে যে বেঁচে যাই সেটা কল্পনা করতে পারে না কেউ। সবাই বলে আমি নাকি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি। অলৌকিক মানে কি বুঝতে আমার কষ্ট হয়। তবুও অল্প অল্প বুঝি। আমাকে আল্লাহ বাঁচাইছেন। আল্লাহতো সব পারে। কিন্তু এখন আমাকে বাঁচায় না কেন আর? আমার বাবা-মা মারা যাওয়ার পরে আমাকে একটা পরিবারে দত্তক নেয়। আমি তাদের বাবা-মা বলেই ডাকি। তাদের কোনো সন্তান নাই বলে তারা আমাকেও সন্তানের মতো আদর করে। প্রথম প্রথম আমার বাবা-মা ডাকতে কষ্ট হতো। কিন্তু বাবা-মা না ডাকলে তারা আমাকে খেতে দিতো না। তাই একদিন ডেকেই ফেললাম। আর তারা তো আমাকে আদরই করে। আমি তখন খুব সুখে ছিলাম। আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ঘুরতে যেতো। আমি যা চাইতাম বাবা তা-ই দিতো। আমি যখন ক্লাস টু’তে উঠি তখনই আমার জীবনের কঠিন সময় শুরু হতে লাগল...
শিশুদের গল্প : মেঘে ঢাকা চাঁদ

শিশুদের গল্প : মেঘে ঢাকা চাঁদ

Kidz, Stories for Kids
শিশুদের গল্প : মেঘে ঢাকা চাঁদ । লিখেছেন : জসীম আল ফাহিম দূর আকাশে ঝলমল করছিল পূর্ণিমা চাঁদ। আপনমনে আলো বিলাচ্ছিল উজ্জ্বল চাঁদ। চাঁদের হিমেল শান্ত আলোয় আলোকময় পৃথিবী। চাঁদের আলোয় রাতের আকাশ যেন উপছে পড়ছিল! সে সময় আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল অনেক সাদা মেঘ। মেঘগুলো ভেসে ভেসে একসময় জড়ো হলো। জড়ো হওয়া সাদা মেঘ ভাসতে ভাসতে কালো হয়ে গেল। ঘন কালো মেঘ একসময পূর্ণিমা চাঁদকে এসে ঢেকে দিলো। দেখে মনে হলো যেন চাঁদের মুখে মেঘের কালো নেকাব! পরে চাঁদকে উদ্দেশ্য করে গর্ব ভরে মেঘ বললো, দেখলে তো কেমন তোমাকে ঢেকে দিলাম। মেঘের আড়াল থেকে তুমি কোনোদিন আর বেরোতে পারবে না। কোনোদিন আর আলো বিলাতে পারবে না। মেঘের আড়ালে থেকে থেকে একদিন তুমি এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। মেঘের এরূপ কথা শুনে পূর্ণিমা চাঁদ কিছুটা ভাবনায় পড়ে গেল। পরে বললো, আমার তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা নয়। ফুরিয়ে যাওয়ার জন্যও আমি আসিনি। পনেরো দিন ধরে একটু একটু ক...
জাদুর কাগজের গল্প : ছোটদের গল্প

জাদুর কাগজের গল্প : ছোটদের গল্প

Kidz, Stories for Kids
আজ তোমাদের শোনাবো এক জাদুর কাগজের গল্প। এ কাগজে যেটার ছবি আঁকা হয়, সেটাই চলে আসে। আর সেই জাদুর কাগজ পেয়ে গেলো মিতু। তারপর কী হলো? চলো তো আমরা গল্পটা শুনি।   একদিন মিতু যাচ্ছিল স্কুলে। । আজ সে দেরি করে ফেলেছে। সবাই আগে আগে হাঁটছে সে পেছনে পড়ে গেছে। কেন পেছনে পড়ে গেলো? কারণ মিতুর একটা পা নেই। সে ক্রাচে ভর করে হাঁটে। এ জন্যই তার স্কুলে যেতে একটু দেরি হয়। মিতুর কাঁধে একটা স্কুল ব্যাগ আছে। ব্যাগের গায়ে কী দারুণ একটা পাখির ছবি! ছবিটা মিতু নিজেই এঁকেছে। সে অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে জানে। কিছুদূর যেতেই একটা ছায়া ঘেরা রাস্তা। আশপাশে আর কেউ নেই। মিতু গুন গুন করে ছড়া বলতে বলতে হেঁটে যায়। মিতু: টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর। এটা কী? ওমা কত্ত বড় একটা পাখি! মিতু খুব অবাক হয়। মিতু: আরে! এটা তো আমার আঁকা পাখি! ব্যাগের গায়ে মিতু এই পাখিটাকেই এঁকেছিল। কিন্তু এত বড় লা...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার গল্প : দ্বিত

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার গল্প : দ্বিত

Stories
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার গল্প : দ্বিত : লেখক: ধ্রুব নীল আমি আবদুস সামাদের কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম, মেটামরফসিস। আবদুস সামাদ প্রথমবার বুঝতে পারেনি। আমি আবার বললাম। আবদুস সামাদ বিব্রত হল। দ্বিতীয়বার শব্দটা ভেঙে ভেঙে বললাম। আবদুস সামাদ চোখ বুঁজে ফেলল। এক দুই তিন। দশ হাত পেছনে বিপরীত দিকে মুখ করে থাকা নুরুল আলম চিৎকার করে বলে উঠলো, মেটাফসফরাস! আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। ঝট করে পেছনে দুই পা পেছালে বোধহয় সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সহসা পা চলতে চাইল না। বিস্ময়ে এদিক ওদিক তাকালাম। দর্শকরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমার বিস্ময়ে মজা পেয়েছে খুব। কয়েক সেকেন্ড কিংবা বড়জোর এক মিনিট, কথা বললাম না। বিস্ময়টাকে পরাজয়ের মতো লাগলো। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। জাদু এমন হতে পারে না! লোকটা প্রতারণা করছে না তো? সে তো খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছে! কানের আশপাশে কোনো গোপন মাইক্রোফোনও লুকানো নেই। কাঠি দিয়ে নিজের হ...
বাল্যবিয়ে ও এর কুফল নিয়ে নাটিকা

বাল্যবিয়ে ও এর কুফল নিয়ে নাটিকা

Stories
নাটক: বাল্যবিয়ে ও এর কুফল চরিত্র: ‍সুলতানা (২২), রিনির মা, রিনি ও তার স্কুলের ম্যাডাম   দৃশ্য-১ স্কুলের শব্দ। ছেলেমেয়েদের কথাবার্তা। খেলা। সুলতানা: এই রিনি। কীরে মনমরা ক্যান। ক্লাস করবি না? রিনি: না সুলতানাবু। আজকে থেইকা খেলাধুলা বন্ধ। সুলতানা: ক্যান, তোর অসুখ হইসে? পায়ে ফোসকা পড়সে? রিনি: বাড়ি থেকে নিষেধ আছে। সুলতানা: ঘটনাটা কী? রিনি: ঘটনা কওয়া যাইব না। লজ্জার বিষয়। সুলতানা: কী ঘটনা আমারে বল। কোনও পোলা তরে ডিসটার্ব করে? ইভ-টিজিং করে? সোজা পুলিশে ধরায়া দিবো। রিনি: না। কেউ ডিসটাব করে না। আমি যাই। আমার কিছু ভালা লাগতেসে না। সুলতানা: আজব মাইয়া। এই বয়সে এত টেনশন কীয়ের। তোর বয়সে তো আমি বান্দরের মতো লটকন গাছে     দৃশ্য-২ রিনির বাড়ি। রান্নাঘর। রান্নার শব্দ।   রিনির মা: মুখ এমন বান্দরের মতো করে রাখবি না। রিনি: মুখ কীসের মতো কই...
রোমান্টিক থ্রিলার : ছায়া এসে পড়ে পর্ব ১১-১২

রোমান্টিক থ্রিলার : ছায়া এসে পড়ে পর্ব ১১-১২

Stories
রোমান্টিক উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব- ১১-১২ রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার বইটি মধ্যবয়সী পুরুষ তৈয়ব আখন্দকে ঘিরে। জীবন সংসারের প্রতি খানিকটা উন্নাসিক কিন্তু বুদ্ধিমান এ মানুষটা পালিয়ে বেড়াতে চায়। কিন্তু আচমকা টাঙন নদী ঘেঁষা গ্রাম পদ্মলতায় এসে সে আটকা পড়ে চাঁদের আলোয় ঝুলতে থাকা একটা লাশ আর লাবনীর জালে। তৈয়ব নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। চলতে থাকে জড়িয়ে পড়া ও ছাড়িয়ে আনার মাঝে এক সমঝোতা। রোমান্টিক প্রেমের গল্প ও একই সঙ্গে থ্রিলার স্বাদের উপন্যাস ছায়া এসে পড়ে । লেখক ধ্রুব নীল কুরিয়ারে হার্ড কপি পেতে এই পেইজে অর্ডার করুন ছায়া এসে পড়ে পর্ব -১  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -২  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৩  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৪  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৫  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৬  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৭  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -৮ ও ৯  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে ...
ভালোবাসার গল্প : ভালবাসায় ভাল না বাসায়

ভালোবাসার গল্প : ভালবাসায় ভাল না বাসায়

Stories
নেহা অনেকদিন পর যেন একটু শ্বাস ফেলে বাঁচলো।বিয়ের ছয়মাস পেরিয়ে গেছে ওদের।অনিকের সাথে এখনো সহজ সম্পর্ক শুরু করতে পারেনি ও।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তো নয়ই। এজন্য নেহা কৃতজ্ঞ অনিকের কাছে।আসলে বাবার কথাতেই নেহা বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছে। গল্প : ভালবাসায় ভাল না বাসায়, লিখেছেন: মিমোসা মওলা নুপুর অনিক;নেহার বাবার বন্ধুর ছেলে।নেহার বাবা নাকি অনেক আগেই বিদেশে থাকা অনিকের সাথে নেহার বিয়ের পাকা কথা বলে রেখেছিল।অনিকের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেশ তড়িঘড়ি করেই ওদের বিয়েটা হয়ে যায়।আর বিদেশে ফিরে যায় নি অনিক।বাবার এতদিনের ইচ্ছে টা পূরণ করেছে সে। ওর বাবার ইচ্ছে ছিল,তাদের একমাত্র ছেলে যেন তাদের পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেয়।তাই দিয়েছে অনিক।কিন্তু ভেতরে ভেতরে একটা চাপা অসন্তোষ রয়ে গেছে ওর।ডেনমার্ক এ খুব ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে ফেলেছিল ও।এখন এভাবে সব ছেড়েছুড়ে ওর কাছে কেমন যেন অসহায় লাগছে।তার উপর বিয়ের রা...
স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক কষ্টের গল্প : বিচিত্র জীবন

স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক কষ্টের গল্প : বিচিত্র জীবন

Stories
স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক কষ্টের গল্প : বিচিত্র জীবন লেখক: রাজু আহাম্মেদ জুলাই মাসের তের তারিখ। মিনু'র জীবনে বিশেষ দিন আজ। সেজেগুজে অপেক্ষা করছে প্রিয়তম স্বামীর জন্য। রাত ন'টা নাগাদ ঘরে ফিরলো জামাল রহমান। স্ত্রীর সাজসজ্জ্বায় বিন্দুমাত্রও বিস্মিত হলো না সে। ড্রয়ার থেকে একটা ফাইল বের করেই বেরিয়ে যাচ্ছিলো। মিনু পথ আগলে বললো, কই যাচ্ছো? আজ না গেলে হয় না? স্বাভাবিক বিনয়ের অনুরোধ তবু জামাল রাগের স্বরে বললো, না। হয় না। আর এই রাত্রিবেলা এত সেজেছো কেন? -কেন, সেজেছি? তুমি জানোনা? -না। পথ ছাড়ো। অফিসে যেতে হবে, অনেক কাজ আছে। মিনু সরে দাঁড়ালো। কর্মব্যস্ত মানুষটাকে বলাই হলো না, আজ তাদের বিবাহ-বার্ষিকী। আর বলেই বা লাভ কি! মানুষটা কাজ ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। বিয়ের পরপর'ই একটু একটু করে কতটা বদলে গেছে সে। মিনু সাজ নষ্ট করে দরজা আটকিয়ে শুয়ে পড়লো। শখের রান্না রান্নাঘরেই রয়ে গেলো। রাত সাড়ে দশ'...

Please disable your adblocker or whitelist this site!