class="post-template-default single single-post postid-1568 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

টিনএজ স্বাস্থ্য : ছেলেরা চুল পড়া ঠেকাতে যা করবে

টিনএজ

কী খাচ্ছো?
সুস্থ এবং ঘন চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধির জন্য আমিষ খুবই প্রয়োজনীয়। তবে চুলের পাশাপাশি শরীরের খেয়াল রাখতে হলে অবশ্যই চর্বিহীন আমিষ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। মাছে প্রচুর পরিমাণ চর্বিহীন আমিষ থাকে। তাছাড়া চর্বিহীন মাংস মানবদেহের আমিষের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বাদাম পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য বীজে প্রচুর ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ থাকে যা চুলে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ও পুষ্টি যোগায়। এমনকি কিছু মশলা চুলের পক্ষে খুবই উপকারী, যেমন: দারুচিনি। বিভিন্ন খাবারে দারুচিনি ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

পর্যাপ্ত পানি
চুলের ২৫ শতাংশ গ্রন্থি পানি দ্বারা গঠিত। দেহে পানির অভাব দেখা দিলে চুলের গ্রন্থিগুলো দুর্বল হয়ে যায় ফলে চুলের ঘনত্ব কমে যায় এবং চুল পড়া শুরু হয়। তাছাড়া দেহে পানির অভাব দেখা দিলে নতুন চুলগ্রন্থি তৈরি হয়না ফলে মাথায় চুলের পরিমাণ বাড়ে না।

ভিটামিনও লাগবে
মানসিক চাপ, জিনগত সমস্যা এবং বিভিন্ন রোগ ছাড়াও পুরুষদেহে ভিটামিনের অভাব চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। মাথায় টাক পড়া প্রতিরোধ করতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন নিয়মিত গ্রহণ করো। ভিটামিন এ চুলের গ্রন্থিতে রেটিনয়িক এসিডের সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ঘটাতে সাহায্য করে, ভিটামিন বি মানসিক চাপের মাত্রা কমিয়ে দেয়, ভিটামিন সি, ডি এবং ই দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আগে বেশি দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নাও। এ বিষয়ে ত্বক বিশেষজ্ঞ সিমর ওয়েভার বলেন, আপনার প্রথম কাজ হবে বিশেষজ্ঞ মতামতের মাধ্যমে চুল পড়ার কারণ এবং তা প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করা। কোন কোন ওষুধ সেবন করেন, চুলের জন্য কোন প্রসাধনী ব্যবহার করেন এবং চুল বিষয়ে আপনার পারিবারিক ইতিহাস এক্ষেত্রে জরুরি। অনেক সময় দেখা যায় যে, আপনি যেসকল ওষুধ সেবন করছেন তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সকল বিষয়াদি পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞ যে পরামর্শ প্রদান করেন তা পালন করুন।

আঁটসাঁট স্টাইল বাদ
চুলের আঁটসাঁট স্টাইল পছন্দ করে থাকলে এখনই সাবধান হয়ে যাও। বিশেষজ্ঞ টিফানি ম্যাসিলো হেল্ট বলেন, ‘চুলে আঁটসাঁট স্টাইল করলে শক্ত টানের ফলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়া শুরু হয়। তাছাড়া চুলের গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে সেখানে আর চুল গজায় না। আপনি যদি চুলের আঁটসাঁট স্টাইল ধরেই রাখেন তাহলে আপনার মাথায় টাক পড়া ঠেকানো মুশকিল হয়ে পড়বে।’ যৌবনে হয়তো আপনার কাছে এটা কোনো সমস্যা বলে মনে হবে না, কিন্তু আপনার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার হার বাড়তে থাকবে এবং পরিণামস্বরূপ মাথায় টাক পড়বে।

ওষুধ
চুল পড়া প্রতিরোধের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। মিনোক্সিডিল বা রোগেইন এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। চুল পড়া প্রতিরোধ এবং পুনরায় চুল গজানোর জন্য রোগেইন বেশ কার্যকরী ওষুধ। রোগেইন হচ্ছে ফেনা তৈরিকারী এক প্রকারের ওষুধ যা দিনে দুই বার সরাসরি মাথার ত্বকে লাগাতে পারো। মাথার পেছন এবং সামনের অংশে চুল গজানোর জন্য এটি বেশ কার্যকরী। আরেকটি কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে, ফিনাস্টেরাইড বা প্রপেশিয়া যা মুখে খাওয়ার উপযোগী। তবে সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
অনেকেই আছে যারা চুল পড়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন ফলাফল হিসেবে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে চুলপড়াজনীত নানারকম সমস্যা বেড়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম (যার ফলে মাথা থেকে আপনাআপনি চুল ঝরে যায়), ট্রিকোটেলোমেনিয়া (যার ফলে বারবার চুল টানার ইচ্ছা জাগে ফলে মাথা থেকে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে যায়) এবং অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা (যার ফলে চুলের গ্রন্থিগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার আক্রমণের শিকার হয়)। সুতরাং মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা এড়াতে নিয়মিত বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম করো।

সূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!