China Archives - Page 4 of 20 - Mati News
Friday, December 5

China

চীনা ভাষা শেখা পর্ব ১ | কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ | বাংলা থেকে চীনা ভাষা

চীনা ভাষা শেখা পর্ব ১ | কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ | বাংলা থেকে চীনা ভাষা

Career, China, Education
চীনা ভাষা শিক্ষার নিয়মিত আয়োজনের স্বাগত। আজ রইল প্রতিদিন ব্যবহারের মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ চীনা শব্দ। পরবর্তীতে আরো শব্দ ও বাক্য চীনা ভাষায় শিখতে আমাদের সাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। 坏 (huài) — নষ্ট / খারাপ হয়ে যাওয়া破 (pò) — ভাঙা / ছেঁড়া / ফাটা坏掉 (huài diào) — পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়া损坏 (sǔn huài) — ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া / ক্ষতি হওয়া毁坏 (huǐ huài) — ধ্বংস করা / নষ্ট করা变质 (biàn zhì) — পচে যাওয়া / মান নষ্ট হওয়া (খাবার, পদার্থের ক্ষেত্রে)腐烂 (fǔ làn) — পচে যাওয়া / decomposed (খাবার বা মৃতদেহের ক্ষেত্রে)老化 (lǎo huà) — পুরনো হয়ে নষ্ট হওয়া / aging (যন্ত্রপাতি, তার, রাবার)损伤 (sǔn shāng) — ক্ষতি পাওয়া / ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া出故障 (chū gù zhàng) — যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়া / machine breakdown坏了 (huài le) — নষ্ট হয়ে গেছে裂开 (liè kāi) — ফেটে যাওয়া / crack হয়ে যাওয়া断裂 (duàn liè) — ভেঙে যাওয়া / snapped退色 (tuì sè) — রঙ...
চীনে স্বাস্থ্য বৈষম্য কমাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

চীনে স্বাস্থ্য বৈষম্য কমাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

China, Tech news
চীনে এখন চিকিৎসা পরামর্শ পাওয়া সহজ হয়েছে। স্মার্টফোনে একটি অ্যাপ খুলে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিলেই দেশের শীর্ষ চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রাথমিক রোগ নির্ণয় জানিয়ে দেয় এআই। সেবাটি দিচ্ছে ‘একিউ’ নামের একটি অ্যাপ। সম্প্রতি চেচিয়াং প্রদেশের উচেন শহরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইন্টারনেট কনফারেন্সে প্রদর্শিত হয় এর বিস্তারিত। চীনে নতুন নীতিমালা ও দ্রুত অগ্রসরমান এআই প্রযুক্তি এই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করছে চীনে দীর্ঘদিন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রীকরণ ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এ ব্যবধান কমাতে চীন সরকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন নীতিমালা ও দ্রুত অগ্রসরমান এআই প্রযুক্তি এই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করছে। গত জুনে চালু হওয়া একিউ অ্যাপটি শীর্ষ চিকিৎসকদের ক্লিনিক্যাল ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষিত। অ্যাপটি অনলাইনে এআই সহায়তাযুক্ত পরামর্শ দেয়, পরীক্ষার ...
হুনানে মরিচের নতুন জাত, মিলছে চারগুণ ফলন

হুনানে মরিচের নতুন জাত, মিলছে চারগুণ ফলন

Agriculture Tips, China
চীনের হুনান প্রদেশের শাওতোং এলাকায় মরিচের একটি নতুন জাত সফলভাবে উৎপাদন করা হয়েছে। বড় আকারের এই জাতের উদ্ভাবন মরিচ চাষে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এতে কৃষকের আয়ও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৫ বছর আগে হুনান কৃষি বিজ্ঞান একাডেমির সবজি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক লি পেই একটি দল নিয়ে এই বিশেষ জাতের উন্নয়ন শুরু করেন। দীর্ঘ গবেষণায় তারা এ মরিচের জাত উন্নয়ন করেছেন, যা শুধু হুনান নয়—বেইজিং, শাংহাই ও কুয়াংচৌতেও চাষের উপযোগী। লি পেই বলেন, ‘এক্ষেত্রে মূল উদ্ভাবনটি হলো উপরের দিকের জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার। মরিচকে বড় গাছে পরিণত করলে ঘনভাবে চাষ করা যায়, শ্রম কম লাগে এবং ফলনও বেশি হয়।’ লি পেইয়ের নির্দেশনায় শাওতোংয়ের ছিংশান গ্রামের একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রে ৫৫ বছর বয়সী স্থানীয় কৃষক চাং ফেইহুয়া এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন। দুই মাসের মধ্যে গাছের উচ্চতা ৮০ সেন্টিমিটার থে...
অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন তৈরি করলো চীন

অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন তৈরি করলো চীন

China
মধ্য চীনের হ্যনান প্রদেশের চেংচৌয়ের একটি কারখানায় তৈরি করা হলো অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন। এই মেশিনটি বেইজিংয়ে একটি আন্ডার ওয়াটার সাবওয়ে লাইন ১-এর নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হবে। চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইকুইপমেন্ট গ্রুপের তৈরি এ অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিনটিতে একটি অভিনব পাথর-পরিচালনা ব্যবস্থা রয়েছে। এটি বড় বড় পাথর বা শিলাখণ্ডকে টানেলিংয়ের সময় অবিরামভাবে খনন করতে পারে। পাথরগুলোকে খুব নিখুঁতভাবে ছেঁকে বা স্ক্রিন করে নিতে পারে এবং সেগুলোকে বাইরে পরিবহনে সক্ষম। ১৯৬৫ সালে যখন বেইজিং সাবওয়ের কাজ শুরু হয়েছিল, তখন চীনকে হাতে-খোঁড়া পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে লাগাতার উদ্ভাবনের ফলে দেশটি এখন এই শিল্পে বিশ্বের অগ্রগামী। চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইকুইপমেন্ট গ্রুপ গত আট বছর ধরে টানেল বোরিং মেশিন উৎপাদন ও বিক্রির দিক থেকে বিশ্বে প্রথম স্থান দখল করে রয়েছে। তাদ...
চীন বিষয়ক সংবাদের জন্য গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ডস-এর আবেদন ফরম ডাউনলোড

চীন বিষয়ক সংবাদের জন্য গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ডস-এর আবেদন ফরম ডাউনলোড

China
চীন বিষয়ক সংবাদের জন্য গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ডস-এর আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের চীন নিয়ে প্রতিবেদনকে স্বীকৃতি ও পুরস্কৃত করতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ডস। ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও কনটেন্ট এই প্রতিযোগিতায় জমা দেওয়া যাবে। আয়োজনে যৌথ আয়োজক হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ চায়না-আপন মিডিয়া ক্লাব, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ,  বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ-টিএমজিবি ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স। ঢাকাস্...
চীনের মহাকাশজয়ের গর্বের প্রতীক থিয়ানওয়েন-১

চীনের মহাকাশজয়ের গর্বের প্রতীক থিয়ানওয়েন-১

China
মানুষ যুগের পর যুগ আকাশে তাকিয়েছে প্রশ্ন নিয়ে। রাতের আঁধারে ছড়িয়ে থাকা অনুচ্চারিত নক্ষত্রলিপি যেন প্রশ্নের পর প্রশ্ন রেখে যায় মানুষের মনে। ‘কী আছে ওখানে?’ ‘পৃথিবীর বাইরে কি আছে আর কোনো জীবনের আলো?’ এই অনন্ত প্রশ্নকে চীনারা দিয়েছেন এক কাব্যিক নাম—থিয়ানওয়েন, যার অর্থ হলো মহাকাশকে প্রশ্ন। আর চীনা কবি ছু ইয়ুয়ানের প্রাচীন কবিতা থেকে নেওয়া নামটি এখন চীনের মহাকাশ অনুসন্ধান অগ্রযাত্রার আধুনিক প্রতীক। এই নামেই চীন পরিচালনা করছে মহাকাশ অনুসন্ধান কার্যক্রম। মঙ্গল গ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু, এমনকি বৃহস্পতি পর্যন্ত অভিযাত্রার স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছে চীনের মিশন থিয়ানওয়েন। চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন সিএনএসএ ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের গ্রহ অনুসন্ধান প্রকল্প হিসেবে থিয়ানওয়েন নামটি ঘোষণা করে।  এ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো সৌরজগতের গ্রহগুলোর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস অনুসন্ধান, পানি, খনিজ ও জৈ...
থিয়ানকংয়ে যত্নে আছে ইঁদুরগুলো, ‘ভর্তি পরীক্ষা’ হয়েছিল যেভাবে

থিয়ানকংয়ে যত্নে আছে ইঁদুরগুলো, ‘ভর্তি পরীক্ষা’ হয়েছিল যেভাবে

China
চীনা মহাকাশ স্টেশন থিয়ানকংয়ে নিয়ে যাওয়া চারটি ইঁদুর সুস্থ আছে। নভোচারীদের নিবিড় যত্নে তারা ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে কক্ষপথের পরিবেশে। তবে এরইমধ্যে তাদের ফেরার সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। ইঁদুরগুলোর একটি ভিডিওচিত্র পাঠানো হয়েছে পৃথিবীতে। তাতে দেখা গেছে, চীনা মহাকাশচারীরা একটি বিশেষ পরিবহন ব্যাগ থেকে ইঁদুরগুলোকে বের করছেন। এরপর তারা ইঁদুরগুলোকে রাখার জন্য কিছু জিনিসপত্র ও যন্ত্র স্থাপন করেছেন এবং সেগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। সক্রিয় হওয়ার পর ওই ডিভাইসটি ইঁদুরগুলোর নির্ধারিত বাক্সে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় রেখেছে। আরামদায়ক এ পরিবেশে ইঁদুরগুলো খাবার খেয়েছে। তাদের আচরণও স্বাভাবিক। ইঁদুরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাটি যখন খোলা হয়, তখন দেখা যায় ওটার ভেতর শূন্য মাধ্যাকর্ষণের কারণে ইঁদুরের মল ও খাবারের কণা ভাসছে। পরে বাতাস প্রবাহিত করে সেই কণাগুল...
চীনা তরুণদের আবিষ্কার: পরিবেশবান্ধব শৌচাগার ও স্কোলিওডিটেক্ট

চীনা তরুণদের আবিষ্কার: পরিবেশবান্ধব শৌচাগার ও স্কোলিওডিটেক্ট

China
চীনের তরুণ উদ্ভাবকেরা শুধু প্রযুক্তি নয়—হৃদয় আর মানবিকতার মিশেলে গড়ে তুলছেন আনকোরা এক ভবিষ্যৎ। প্রথমেই আসা যাক চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণের তৈরি ‍উদ্ভাবনী এক শৌচাগারের প্রসঙ্গে। যার নাম পিউরেকো। সাশ্রয়ী  এই টয়লেটটি অতিশীতল ও খরাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা—এমনকি যেখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থারও দরকার নেই, সেখানেও ব্যবহার করা যাবে পিউরেকো। এর বড় বৈশিষ্ট্যটি হলো এতে ফ্ল্যাশ করতে কোনো পানি লাগবে না, সৌরশক্তি ও বাতাসের শক্তি ব্যবহার করে এটি বর্জ্য আলাদা করে, সেইসঙ্গে এর ভেতর আলো আর তাপ আসবে উপরে লাগানো সোলার প্যানেল থেকে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি এতে দূর করবে দুর্গন্ধ। আবার মানব বর্জ্য থেকে সারও বানাবে এই টয়লেট। অর্থাৎ, পানি বা বিদ্যুৎ ছাড়াই একটি স্যানিটেশন ব্যবস্থা এই পিউরেকো। কেন এ ধরনের শৌচাগার তৈরির চিন্তা এলো পিউরেকো দলের সদস্য লিয়াং চি ও তার ...
এপেক নেতাদের ৩২তম অনানুষ্ঠানিক সভার দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি’র বক্তৃতা

এপেক নেতাদের ৩২তম অনানুষ্ঠানিক সভার দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি’র বক্তৃতা

China
সম্মানীয় প্রেসিডেন্ট লি জাই-মিং, সহকর্মীরা, বর্তমানে, নতুন দফা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিল্প-বিপ্লব গভীরভাবে বিকশিত হচ্ছে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অগ্রগামী প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি মানবজাতির জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। একই সময়ে, বিশ্ব-অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি অপর্যাপ্ত, বৈশ্বিক উন্নয়ন ঘাটতি প্রসারিত হচ্ছে, এবং জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার মতো চ্যালেঞ্জগুলো তীব্রতর হচ্ছে। এপেক অর্থনীতিগুলোর পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতা জোরদার, নতুন সুযোগ কাজে লাগানো এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা উচিত, যাতে আমরা সম্মিলিতভাবে একটি টেকসই ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি। এ জন্য, আমি তিনটি প্রস্তাব দিতে চাই: প্রথমত, ডিজিটাল ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতায়ন শক্তিশালী করে এপেকের উদ্ভাবনী উন্নয়নে নতুন সুবিধা তৈরি করতে হবে। আমাদের নতুন প্রযুক্তির চালিকা ও ক্ষমতায়নমূলক...
একটি চীনা গ্রামের পুনরুজ্জীবনের গল্প

একটি চীনা গ্রামের পুনরুজ্জীবনের গল্প

China
শানতোং প্রদেশের পাহাড়ঘেরা ইইয়ুয়ান জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম হৌচিয়াকুয়ানচুয়াং। দুপুরে এ গ্রামের এক ছোট্ট কমিউনিটি ক্যান্টিনে ভিড় জমে বয়স্ক মানুষদের। মেনুতে থাকে মাংস দিয়ে বাঁধাকপি ও সেমাই, আলুভাজা, বাজরার খিচুড়ি আর নরম পাউরুটি। পরিবেশন করেন লাল জ্যাকেট পরা স্বেচ্ছাসেবীরা। জনপ্রতি খরচ মাত্র ১ ইউয়ান। বাংলাদেশি টাকায় ২০ টাকারও কম। চীনের অনেক বয়স্কই এখন একা থাকেন। রান্না, দৈনন্দিন যত্ন আর চিকিৎসা—সবই কষ্টকর তাদের কাছে। তবে এ ধরনের ক্যান্টিন এখন তাদের জন্য শুধু খাবারের জায়গা নয়, হয়ে উঠেছে হাসি-আনন্দ আর প্রাণবন্ত এক আড্ডাখানা। সেইসঙ্গে গ্রামের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন ও মানুষের উন্নয়নকে ঘিরে যে চীনের যে শাসনব্যবস্থা, সেটার এক অনুকরণীয় উদাহরণও তৈরি করেছে। জেলাটির জনসংখ্যা ৫ লাখ ১৫ হাজারের মতো। এর মধ্যে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের হার ২৬ শতাংশ—জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। গ্র...
চীনের তাকলামাকানে সবুজের জয়

চীনের তাকলামাকানে সবুজের জয়

China
একসময় যাকে বলা হতো ‘মৃত্যুর সাগর’, চীনের সেই সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সুবিশাল তাকলামাকান মরুভূমি আজ জেগে উঠেছে নতুন প্রাণে। বহু বছরের নিরলস পরিশ্রমের পর, হাজার হাজার কিলোমিটারজুড়ে বালু রোধের এক দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে—যা মরুভূমিকে ঘিরে তৈরি করেছে এক সবুজ প্রাচীর। তারিম অববাহিকার কেন্দ্রে থাকা তাকলামাকান চীনের সবচেয়ে বড় মরুভূমি। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলমান বালুর মরুভূমি। প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই মরুভূমি সিনচিয়াংয়ের মোট ভূমির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে আছে। আশপাশের এলাকার উন্নয়নে এ মরু ছিল বড় বাধা। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সিনচিয়াং প্রশাসন একযোগে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে যুক্ত করে শুরু করে মরুভূমি রোধ ও সবুজায়নের অভিযান। তাকলামাকানের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ছিয়েমো কাউন্টি এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা র...
শিনচিয়াংয়ের ‘চাঁদের ফুল’ ড. আন ইয়োংশিয়া

শিনচিয়াংয়ের ‘চাঁদের ফুল’ ড. আন ইয়োংশিয়া

China
উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বোরতালা মঙ্গোলিয়ান স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারের বায়ারবুলাগ গ্রামে আছেন ডাক্তার আন ইয়োংশিয়া। গত তিন দশক ধরে হাসিমুখে সেবা দিয়ে আসছেন গ্রামের মানুষদের। স্থানীয়রা ভালোবেসে তাকে ডাকে ‘চাঁদের ফুল’। ১৯৯৫ সালের গোড়ার দিকে যখন ডা. আন এই গ্রামে আসেন, তখন এলাকাটিতে ছিল একটি জরাজীর্ণ ক্লিনিক আর উইগুর ভাষার মানুষজন, যে ভাষার কিছুই বুঝতেন ডা. আন। শুরুতে তাই বেশ হতাশায় কাটতো তার দিন। তবে তিন দশকে যেমন বদলে গেছে তার ক্লিনিক, তেমনি ডা. আনও এখন অনর্গল বলতে পারেন উইগুর ভাষা। ডা. আন ইয়োংসিয়ার ভাষ্যে, ‘যখন প্রথম আসি, তখন বয়স ছিল মাত্র ২১। ১৯৯৫ সালে গ্রামের ক্লিনিকটি ছিল গ্রামকমিটির মালিকানাধীন এক জীর্ণ কাদামাটির ঘরে। ভেতরে ছিল একটি ভাঙা কাঠের ওষুধের আলমারি, চার পায়ার একটি কাঠের খাট আর ছোট চেয়ার-টেবিল। শুরুতে যাতায়াতের অসুবিধা দেখ...
নিউট্রিনো শনাক্ত করবে চীনের বিস্ময় চুনো নিউট্রিনো ডিটেক্টর

নিউট্রিনো শনাক্ত করবে চীনের বিস্ময় চুনো নিউট্রিনো ডিটেক্টর

China
নাম তার চুনো। পুরো নাম চিয়াংমেন আন্ডারগ্রাউন্ড নিউট্রিনো অবজারভেটরি। সম্প্রতি চালু হওয়া চীনের অতিকায় এ গবেষণাগারটি মূলত একটি ডিটেক্টর। যার কাজ হলো সূক্ষ্মতম কণা নিউট্রিনো শনাক্ত করা। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী এ নিউট্রিনো ডিটেক্টরটি পুরোপুরি মেড ইন চায়না। আমরা শক্তিশালী টেলিস্কোপে যে মহাবিশ্ব দেখতে পাই, তা মূলত আসল মহাবিশ্বের একটি ক্ষুদ্র অংশ। এর বাইরেও আছে অসংখ্য অদৃশ্য কণা, শক্তি আর গোপন সব প্রক্রিয়া, যেগুলো বোঝা ছাড়া মহাবিশ্বকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আর এসব রহস্যময় কণার মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত কণাটির নাম নিউট্রিনো। বিজ্ঞানীমহলে এ কণাকে বলা হয় ভুতুড়ে কণা। কারণ, এই নিউট্রিনো প্রায় সব কিছুর ভেতর দিয়ে অনায়াসে চলে যেতে পারে। এমনভাবে এ কণা ছুটে বেড়ায়, যেন তাদের কোনো অস্তিত্বই নেই। চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের কাইপিং এলাকায় নির্মিত হয়েছে চুনো। ভূ-পৃষ্ঠের ৭০...
চীনে ফিরে এলো হারানো প্রস্রবণ

চীনে ফিরে এলো হারানো প্রস্রবণ

China
গত কয়েক দশকের ধারাবাহিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় চীনজুড়ে মোট ১০২টি প্রস্রবণে এখন প্রবাহিত হচ্ছে টলটলে পানি। শুধু প্রকৃতি নয়, স্থানীয় সংস্কৃতি, সৃজনশীল শিল্প ও পর্যটন খাতেও লেগেছে নতুন জোয়ার। শানতোং প্রদেশের রাজধানী চিনান শহরকে বলা হয় প্রস্রবণের শহর। এখানে রয়েছে বারোশ’রও বেশি প্রাকৃতিক প্রস্রবণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বাওতু স্প্রিং, যা এ শহরের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ১৯৬৬ সালের পর এবার এই প্রস্রবণে পানির স্তর রেকর্ড ৩০.২৯ মিটারে পৌঁছেছে। আগে এমন সময়ও গেছে, যখন টানা ৯২৬ দিন শুকনো থাকতো এই স্প্রিং। তাই স্থানীয় সরকার গত কয়েক বছর ধরে পানি পুনঃসরবরাহ, খালবিল পরিষ্কার ও আশপাশের পরিবেশ পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়। এখন বাওতুর তিনটি জলধারা একটানা ফোয়ারার মতো ছুটে চলছে। স্থানীয় ডিজাইনার লিউ সিনইয়া জানালেন, ‘আগে শুনতাম এই স্প্রিংটি দীর্ঘদিন শুকিয়ে ছিল। এখন এটি শুধু শহরের রূপ...
রেকর্ড গড়তে চলেছেন শেনচৌ-২০ নভোচারীরা

রেকর্ড গড়তে চলেছেন শেনচৌ-২০ নভোচারীরা

China
শেনচৌ-২০ মিশনের মহাকাশচারীরা ১৮৮ দিন ধরে কক্ষপথে অবস্থান করছেন। তারা চীনা মহাকাশচারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় কক্ষপথে থাকার রেকর্ড গড়তে চলেছেন বলে জানিয়েছে চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির মুখপাত্র চাং চিংবো। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সংবাদ অনুষ্ঠিত হয় উত্তর-পশ্চিম চীনের চিউছুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টারে। মিশনের কমান্ডার ছেন তোং চীনের প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে ৪০০ দিনেরও বেশি সময় মহাকাশে আছেন। তিনি মোট ছয়টি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেছেন, যা কোনো চীনা মহাকাশচারীর মধ্যে সর্বোচ্চ। ছেন চোংরুই ও ওয়াং চিয়ে প্রথমবার মহাকাশে গিয়ে তাদের যাবতীয় কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। মিশনের সময় দলটি চারটি স্পেসওয়াক এবং সাতটি কার্গো স্থানান্তর অপারেশন সম্পন্ন করেছে। কক্ষপথে ভাসতে থাকা নানা জিনিসপত্র থেকে স্টেশনকে সুরক্ষা দেওয়ার যন্ত্র বসানো, বাহ্যিক সহায়ক যন্ত্র সেট করা এবং এক্সট্রাভেহিকুলার সুবিধা ও...