এতদিন সবাই জানত ‘আ অ্যাপেল কিপস ডক্টর অ্যাওয়ে’৷ তবে এবার সেই ধারণাও পাল্টাতে বসেছে৷ এবার আপেলের জায়গা কেড়ে নিতে চলেছে সর্ব ঋতুর ফল কলা৷ এক্কেবারে ঠিকই পড়ছেন৷ আর এই কারণে পাল্টে যেতে পারে এবার চিরাচরিত সেই প্রবাদও৷ হতেই পারে লোক মুখে শুনতে পেলেন ‘আ বানানা কিপস ডক্টর অ্যাওয়ে’৷
এই তথ্যই এবার জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞের দল৷ সকলেই আমরা জানি কলা একটি উপকারি ফল৷ আট থেকে আশিদের শরীর-স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে কলা প্রতিদিন খাওয়ানো হয়৷ তবে কলা উপকারি জানলেও কি উপকার করে সেটা কি সকলের জানা? এবার তাহলে আসা যাক সেই আলোচনায়৷ প্রথমত কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে৷ শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই এই কলা প্রয়োজন নয়, শরীরের গঠনগত দিকও ঠিক রাখে কলা৷ এছাড়াও কলা মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কলা বেশ উপকারি৷
এই গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল আসলে ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ৷ যা পরে সেরোটোনিন রূপান্তরিত হয়। এটি সাধারণত মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের ঘাটতিকে পূরণ করে৷ আসলে, সেরোটোনিনের অভাব বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ সহ বিভিন্ন মানসিক রোগের লক্ষণ৷ সেগুলো পূরণ করতেই কলা এক অভিনব ফল৷
এবার আসা যাক ওজনের কথায়৷ ধরুন আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত৷ তাহলে নির্দ্বিধায় খান কলা৷ কেননা এই কলাই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে৷ কলা নিয়মিত খেলে তার থেকে মানব শরীর ১২ শতাংশ পর্যন্ত ফাইবার পায়৷ কলায় ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় ব্রেনের জন্যও তা বেশ উপকারি৷
তবে একটি দিনের জন্য একটি কলাই একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য ঠিক৷ এর বেশি খেলে তা উপকারের বদলে অপকারই করবে৷ সকালে ব্রেকফাস্টের পর বা দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর কলা খাওয়া যায়৷ তবে কখনওই খালি পেটে বা রাতে এই ফলটি খাওয়া উচিৎ নয়৷