class="post-template-default single single-post postid-52253 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ঘাড়ব্যথা হলে কী করবেন | ঘাড়ব্যথা কমানোর উপায়

ঘাড়ব্যথায় ভোগেনি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। এ ব্যথার নানা কারণগুলোর মধ্যে স্পন্ডাইলোসিস বা হাড় ক্ষয় অন্যতম। নারী-পুরুষ যে কারও এ সমস্যা হতে পারে।

তবে যারা বেশি ডেস্কে বসে কাজ করেন, যেমন—ব্যাংকার, কম্পিউটার ব্যবহারকারী এমন ব্যক্তির এ সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

তা ছাড়া যারা ঘরের কাজ যেমন—কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা বা রান্না করেন তারাও ঘাড়ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এ ব্যথায় আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার কোমর, হাঁটুব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের চেয়ে বেশি।

ঘাড়ব্যথা

ঘাড়ব্যথার লক্ষণ ও প্রকার

ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়। অনেকের হাতে ঝিঁঝি ধরে।

পিঠে ও বুকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শোল্ডার ব্লেডের দিকেও ব্যথা হয়।

ঘাড় ডানে-বামে বা সামনে পেছনে ঝোঁকাতে কষ্ট হয়।

অনেকে উপরের দিকে তাকাতে পারেন না (নেক স্টিফনেস)।

অনেক রোগীই বলে থাকেন তাদের কোনো কোনো আঙুল অবশ লাগছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অনুভব করেন তার একটি হাত অবশ হয়ে আছে এ কারণে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেছে।

এসব কমন উপসর্গ ছাড়াও অনেক রোগী মাথা ঘোরা, মাথার পেছনের দিকে ব্যথা বা বুকে ব্যথার অভিযোগ করে থাকেন।

এমনও রোগী আছেন যারা ঘাড়ের ব্যথার কারণ বের করতে না পেরে নিজেকে হৃদরোগী ভেবে বসেন। অথচ এমন অনেক ক্ষেত্রে এক্স-রে পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি ঘাড়ের হাড় ক্ষয় রোগে ভুগছেন।

একইভাবে মাসের পর মাস মাথা ঘোরা রোগের ওষুধ খেয়ে উপকার না পেয়ে পরে স্পন্ডাইলোসিস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও কম নয়। তাই এ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি।

ঘাড়ব্যথার চিকিৎসা

স্পন্ডাইলোসিসের সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা হলো ইন্টিগ্রেটিভ পেইন ম্যানেজমেন্ট বা আইপিএম। কারণ নির্ণয় হওয়া মাত্রই চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আইপিএম চালিয়ে যেতে হবে। নিয়ম মেনে চলাও চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

সামনে ঝুঁকে কাজ না করা, পাতলা বালিশে ঘুমানো, সমান বিছানা ব্যবহার করা স্পনডাইলোসিস রোগীর কষ্ট দ্রুত দূর করবে।

ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং কিডনি রোগে আক্রান্তরা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন। সম্ভাব্য জটিলতা ফ্রোজেন শোল্ডার স্পন্ডাইলোসিসের অন্যতম প্রধান জটিলতা।

তা ছাড়া রোগ জটিল আকার ধারণ করলে হাত শুকিয়ে যাওয়া বা আঙুল অবশ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসা নিন।

লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাব বিভাগ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাসনাহেনা পেইন রিসার্চ সেন্টার, উত্তরা

সূত্র: কালবেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!