class="post-template-default single single-post postid-45717 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বাংলাদেশের পর্যটক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের আল্পনা গ্রাম

আল্পনা গ্রাম

চাপাইনবাবগঞ্জের নাচলু উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রাম টিকোইল। টিকোইল গ্রামের প্রতিটি দেয়াল একেকটি ক্যানভাস এবং এ গ্রামের মানুষজন শিল্পী। তাই সারাদেশে গ্রামটি আল্পনা গ্রাম নামে পরিচিত। মাটির ঘরের বাসিন্দারা গড়ে তুলেছেন নিজেদের শিল্পের রাজ্য।

টিকোয়েলের মাটির ঘরগুলি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং মাটির ঘরগুলি ফুল ও লোকজ মোটিফে তাদের নিজস্ব শৈল্পিকতার কারণ। তারা তাদের হাতে তৈরি রং দিয়ে এই ‘আল্পনা’ আঁকেন। রঙটি মাটি এবং কিছু প্রাকৃতিক রঞ্জক দিয়েও তৈরি।

গ্রামবাসীদের মতে, গৃহিণীরা চক, টারপেনটাইন তেল এবং গিরিমাটি নামের এক বিশেষ ধরনের মাটি দিয়ে মোটিফ আঁকতেন। কিন্তু এই সব উপকরণ দিয়ে আঁকা মোটিফ বেশিদিন টিকবে না। তাই শুকনো আঠার গুঁড়া, গিরিমাটি, পুরানো আমের খোসার গুঁড়া এবং কলার ডালপালা দিয়ে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রেখে সেই মোটিফ এবং প্যাটার্নগুলি আঁকা হয়।

গ্রামবাসীরা এই মোটিফ দিয়ে তাদের ঘর সাজায়। দীর্ঘদিনের এই সংস্কৃতির পেছনে মূল কারণ গ্রামবাসীদের বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করে যে এই নকশাটি তাদের জন্য সৌভাগ্য এবং পবিত্রতা নিয়ে আসবে, এটি আনন্দের একটি ভিন্ন জোয়ারও নিয়ে আসে।

এমনকি টিকোইল গ্রামের প্রবীণরাও জানেন না কীভাবে এই ঐতিহ্য প্রথম এসেছে, তবে তারাও তাদের পূর্বপুরুষদের হাতে এই শিল্পকে দীর্ঘকাল ধরে ধরে রেখেছেন। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে তারা এসব মোটিফ করে থাকেন।

যারা শিল্প এবং প্রদর্শনী পছন্দ করেন তাদের জীবনে একবার আল্পনা গ্রামে যেতে হবে কারণ পুরো গ্রামটি নিজেই শিল্পের রাজ্য এবং প্রতিটি বাড়িই ক্যানভাস।

 

আল্পনা গ্রামে কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দূরত্ব আনুমানিক ৩১৬ কিলোমিটার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আল্পনা গ্রামের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। যাত্রীরা ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে যেতে পারেন। ট্রেন বা বিমানে যেতে হলে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে হবে। কল্যাণপুর ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন বাস নিয়মিত চলাচল করে।

 

আল্পনা গ্রামে কোথায় থাকবেন আর কী খাবেন

নাচোলে কোন উপযুক্ত বাসস্থান নেই, তাই যাত্রীদের অপেক্ষাকৃত ভালো হোটেলে থাকার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যেতে হবে। স্থানীয় খাবারগুলি সুস্বাদু এবং আপনি যদি গ্রীষ্মে সেখানে যান তবে মিষ্টি আম অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে।

এসবের পাশাপাশি ‘শিবগঞ্জের আদি চমচম’ বেশ বিখ্যাত। তাছাড়া, কালাই রুটি এবং প্রাণহারা (একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি) চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুপরিচিত এবং মুখের জল খাওয়ার খাবার।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!