
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। একই মামলায় পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এদিন মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। অসুস্থতার কারণে পরীমণি আদালতে হাজির হতে পারেননি। অপর আসামি জিমির পক্ষ থেকেও সময় আবেদন করা হয়। তবে আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।’
২০২২ সালের ৬ জুলাই এই মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মারধর এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। ১৮ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন হাজির হতে সমন জারি করেন। সেদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে অর্থ পরিশোধ না করে চলে যান। পরীমণি পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোট ক্লাবে বাদী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় পরীমণি তাকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি, গালিগালাজ এবং আক্রমণ করেন।
পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর এবং হত্যার হুমকি দেন। পরবর্তীতে পরীমণি সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।