Saturday, December 14
Shadow

এমপক্স রোগ নিয়ে চাই জনসচেতনতা: আছে হোমিও চিকিৎসাও

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 

নতুন এক উদ্বেগের নাম এমপক্স। মাংকি পক্স (মাঙ্কিপক্স) নামে পরিচিত রোগটি এবার এমপক্স নামে ফিরে এসেছে। আফ্রিকায় এমপক্সের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতা। সরকারি হিসেবে ডিআর কঙ্গোতে এমপক্সে মারা গেছে অন্তত ৫৫০ জন, আক্রান্ত ৩ হাজার। আফ্রিকার ১২টি দেশের বাইরে সুইডেন ও পাকিস্তানের পর এবার ফিলিপাইনে শনাক্ত হয়েছে রোগী। তবে এ মাংকি পক্সের আছে হোমিও চিকিৎসা।

Mpox Virus home treatment

এদিকে, এমপক্সের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ক্লেড ওয়ানে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সুইডেনে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। নতুন মহামারি মোকাবিলায় বিভিন্ন বিমানবন্দর ও সীমান্তে শুরু হয়েছে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা।

করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার পরপরই বিশ্বে নতুন মহামারি হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে এমপক্স। আফ্রিকার ডিআর কঙ্গো ও আশপাশের এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রামক রোগ। আফ্রিকায় ভ্রমণ করা একজনের দেহে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে সুইডেনে। পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত এক ব্যক্তি। ফিলিপাইনে সোমবার একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

আফ্রিকায় এ বছর এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১৮,৭০০ মানুষ। রোগের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ক্লেড ওয়ান দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। কঙ্গো, বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া ও সুইডেনে শনাক্ত হয়েছে এই প্রাণঘাতি ভ্যারিয়েন্ট

মাংক পক্স বা এমপক্স কী

এমপক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ।১৯৫৮ সালে ডেনমার্ক এ বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় বলে একে মাঙ্কিপক্স বলা হয়। ১৯৭০ সালে আফ্রিকার একটি দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে এর সংক্রমণ ঘটতে দেখা যায়। তবে কেবল বানর নয়, ইঁদুরও এই ভাইরাসের বাহক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী (যেমন– গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, মহিষ) থেকে এ রোগ ছড়ায় না।আর বাংলাদেশে জলবসন্ত দেখা যায়, একসময় গুটিবসন্ত ছিল। এমপক্স আলাদা ধরনের একটি পক্স ভাইরাস। এমপক্সের প্রধান দুইটি ধরন আছে ক্লেড ১ এবং ক্লেড ২। দুইটি ধরনের মধ্যে আবার সাব ডিভিশন এ, বি রয়েছে।

কঙ্গোতে দীর্ঘদিন এমপক্স প্রাদুর্ভাবের কারণ ছিল ক্লেড ১ ভাইরাস আর ইউরোপে ছড়িয়েছে ক্লেড ২ ভাইরাস। ক্লেড ২ ভাইরাসে মৃত্যুহার কম। কিন্তু আফ্রিকায় যেটা ছড়িয়েছিল ক্লেড ১, সেটার মৃত্যুহার বেশি। ক্লেড ১ ধরনটি গুরুতর। এর মৃত্যুহার ১০০ জনের মধ্যে ৪ জন।

এই ভাইরাসগুলো আগে থেকেই ছিল, মাঝখানে কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি আবার বাড়তে শুরু করেছে এমপক্স ভাইরাস সংক্রমণ। আফ্রিকার কঙ্গোতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আশপাশের দেশে ছড়িয়েছে এবং ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের পর মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এমপক্স কীভাবে ছড়ায়

এমপক্স ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে বন্যপ্রাণী থেকে, এটি প্রাণীবাহিত রোগ। আগে যারা বন্যপ্রাণী শিকার করতে যেতেন তারা সংক্রমিত হতেন। কিন্তু বর্তমানে এমপক্স ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। এজন্য ঝুঁকি বেড়ে গেছে।

> যেভাবে ছড়ায়-

১. এমপক্স ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে। এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তিকে র্স্পশ করা, চুমু দেওয়া, যৌন সম্পর্ক থেকে এটি ছড়াতে পারে।

২. সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের খুব কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণ ঝুঁকি থাকে।

৩. এমপক্স আক্রান্ত বন্যপ্রাণী শিকার করা, চামড়া তোলা, মাংস কাটা এমনকি রান্নার সময়, কম তাপে রান্না করা খাবার খেলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। আমাদের দেশে বন্যপ্রাণী শিকার করা হয় না খুব একটা। কিন্তু এমপক্স আক্রান্ত প্রাণীর কাছাকাছি গেলেও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

৪. এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা পোশাক, তোয়ালে, বিছানার চাদর, যেকোনো ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।

৫. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা ইনজেকশনের সুঁই অন্য কারো শরীরে প্রবেশ করালেও এমপক্স হতে পারে।

৬. সন্তানসম্ভবা নারী এমপক্স আক্রান্ত হলে অনাগত সন্তানও এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

৭. এমপক্স শুকিয়ে যাওয়ার পর ফোসকার আবরণ যদি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, সেখান থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে।

সাধারণ উপসর্গ

১. জ্বর হওয়া। 

২. প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথা করা। 

৩. মাংসপেশিতে ব্যথা।

৪. অবসাদগ্রস্ততা ও ক্লান্তি লাগা। 

৫. শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ব্যথা।

৬. এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বরের পাশাপাশি শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায়। 

৭. ফুসকুড়িগুলো অত্যন্ত চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। পরবর্তীতে পুঁজ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়।

সাধারণত উপসর্গ শুরুর ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। উপসর্গ দেখা দিলে সবার আগে নিজেকে অন্যদের কাছ হতে আলাদা করুন। এরপর চিকিৎসক বা নিকটস্থ স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন–ত্বকে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, মানসিক বিভ্রান্তি, চোখে প্রদাহ, এমনকি দৃষ্টি শক্তি লোপ পেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অত্যধিক শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে (দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, কিডনি রোগী, ক্যানসারের রোগী, এইডস-এর রোগী, নবজাতক শিশু, গর্ভবতী নারী), এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। সুতরাং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা?

রোগের উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবারের সদস্যসহ তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সে সম্পর্কে আরো বুঝতে বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করছেন।

এদের মধ্যে অল্পবয়সী শিশুরা থাকতে পারে। কারণ একদিকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, অন্যদিকে অঞ্চলটির অনেকরই পুষ্টির অভাব রয়েছে। ফলে রোগের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করা বেশি কঠিন হয়ে যায়।

কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ছোট শিশুরা যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে খেলাধুলা করে এবং একে অপরের সাথে মেশে তার কারণে ঝুঁকিতে থাকতে পারে।

এমনকি চার দশকেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গুটিবসন্তের টিকাও তারা পাচ্ছে না। ফলে আগের টিকা পাওয়ার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরা হয়তো কিছুটা সুরক্ষিত।

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যে কারোই, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরো বেশি ঝুঁকি রয়েছে।

এর থেকে বাঁচতে এমপক্সে আক্রান্ত কারো সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে এবং ভাইরাসটি যদি আপনার আশেপাশের কারো থাকে, তবে সাবান ও পানি দিয়ে আপনার হাত পরিষ্কার করতে হবে।

সব ক্ষত সেরে না যাওয়া পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা উচিৎ।

ডব্লিএইচও বলছে, সুস্থ হওয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন সম্পর্কের সময় সতর্কতা হিসেবে কনডম ব্যবহার করা উচিৎ।

এমপক্স ও করোনা কতটা আলাদা

করোনাভাইরাস বেশ দ্রুত ছড়ায়। সেই তুলনায় এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার গতি মন্থর। চীনে শনাক্ত হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায়। এমনকি প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। করোনায় মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬০০। অথচ তত দিনে চীনে করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়ার মাত্র মাস তিনেক পেরিয়েছে।

এর বিপরীতে ২০২২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে লাখখানেক মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন শ দুয়েক মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 এমপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে যা করার দরকার, সে ব্যবস্থা আমাদের আছে। করোনা মহামারির সময় আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, এখনকার পরিস্থিতি তেমন নয়। তখন টিকা ছিল না। অ্যান্টিভাইরাল ছিল না।

মাংকি পক্সের হোমিও চিকিৎসা

রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে এমপক্স সহ নানাবিধ রোগ  সহ  যে কোন  জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে   আল্লাহর রহমতে সহজে  চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।  চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই । কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষা হলে রক্ষা নেই , বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষা ভাল হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল । নানাবিধ রোগ সমূহ  হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলি দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়। বিবিসি নিউজের ২০১৬ তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করে আরোগ্য লাভ করে। 

> হোমিও মেডিসিনঃ-লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রাথমিক ভাবে যেইসব মেডিসিন এমপক্স’র জন্য আসতে পারে রাসটক্স,সারসেনিয়া পুরপুরিয়া,বাইয়োনিয়া

ভ্যাকসিনাম,ম্যাল্যান্ডরিনাম,পালসেটিলা,এন্টিম ক্রুড,সালফার,থুজা,ভেরিওলিনাম,মারকুরিয়াস সল,সাইলিসিয়া সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে তাই নিজে নিজে ব্যবহার না করে সঠিক চিকিৎসা পাইতে হইলে অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ নিন।

পরিশেষে,এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে যেকোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মতই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায়।এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকাও নেই। তবে গুটিবসন্তের ভাইরাসের সঙ্গে এমপক্স  মাঙ্কিপক্সের জীবাণুর মিল রয়েছে। ফলে গুটিবসন্তের টিকা নেওয়া থাকলে তা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধেও ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।যেহেতু এ রোগ সাধারণভাবে প্রাণঘাতী নয়, তাই এটি নিয়ে উদ্বেগের তেমন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

লেখক,

কলাম লেখক ও গবেষক  

প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি 

ইমেইল,drmazed96@gmail.com

মোবা.০১৮২২৮৬৯৩৮৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!