ঈদ- উল – আযহার আনন্দ এবং আয়োজনে কমবেশি মেতে উঠেছে সবাই।ঈদুল ফিতরের মত উপচে পড়া ভিড় না হলেও ঈদুল আযহাকে ঘিরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি প্রায় সকল শপিং মলগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের সমাগম। এছাড়াও অনলাইনে কেনাকাটা তো রয়েছেই। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদকে ঘিরে ফ্যাশন লাভারদের জন্য এসেছে বেশ কিছু ট্রেন্ড। তা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। লিখেছেন নিলুফার দিশা
উৎসবের সাথে এ সময়ের তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে ” অরিত্রি” এনেছে দেশিও হ্যান্ডলুম খাদি কাপড়ের বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের আনারকলি ও শাড়ি। যার উপর হ্যান্ড বাটিক প্রিন্টের কাজ করা হয়েছে। কথা হয় অরিত্রির প্রতিষ্ঠাতা শর্মিষ্ঠা দেবনাথ এর সাথে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারুশিল্প উদযাপনই তার ব্র্যান্ডের লক্ষ্য। এ থেকেই অরিত্রির শুরু।
এবার ঈদ উপলক্ষে ফ্যাশন সচেতন বিশ্ববিদ্যালয় – কলেজ পড়ুয়া কিংবা অফিসে কর্মরত কিংবা হোমমেডকারী নারীদের জন্য অরিত্রির ঈদ কালেকশন। দেশিয় ডিজাইনার শাড়ি ও জামা সুলভ মুল্য করতেই অরিত্রির এ চেষ্টা। দেশি তাঁত আর কাঠের খণ্ড, দেশি করিগর দিয়ে জারদৌসি, দোপকা, সুতা, পুতির কাজের মাধ্যমে দেশিয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা। তাদের প্রাইস রেঞ্জ ১৮০০-৮,০০০ হয়ে থাকে।
এছাড়াও তিনি জানান, ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে ভিন্নতা আনতে অরিত্রি এনেছে অনেক নতুন ধরনের ডিজাইনার পোশাক।
তাদের পাওয়া যাবে ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম এ। কথা বলে যেনে নেয়া যায় জামার সকল ডিটেইলস। শর্মিষ্ঠা দেবনাথ এর এই কঠোর পরিশ্রমে আজ তার প্রতিষ্ঠান অরিত্রি।
সচরাচর ফ্যাশন ডিজাইনে কিছুটা ভিন্নতা আনতে এবার ঈদ উপলক্ষে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন শাড়ি, দুপাট্টা আনারকলি, কাফতান, টপস ও শারারা। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, মা ও বেবির একই রকম হতে- পুরো ফ্যামিলির ম্যাচিং ডিজাইনার সেট। আবার কেও কেও করে থাকেন নিজেদের আলাদা ডিজাইন, অরিত্রির পেইজের সাথে কথা বলে। করা হয় কাস্টম ডিজাইন এর সুন্দর সুন্দর পোশাক।