class="post-template-default single single-post postid-51787 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় HOW TO REDUCE HAIRFALL

চুল নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। এখন সবারই এক প্রশ্ন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কী ? স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল সবার চাই। তা নিয়েই আজকের আয়োজন–

আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সমান ভারী চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল বলা যায়। এ ছাড়া চকচকে কালো চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকতে হবে।চুল পড়া, চুল উঠে যাওয়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। ছেলেমেয়ে সবাই এর শিকার। চুল প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে বড় হয়। স্বাভাবিকভাবে একটি চুল দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে। এরপর বৃদ্ধি কমে যায় এবং কয়েক দিনের মধ্যে আপনা-আপনি পড়ে যায়। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কী তা জানার আগে চুল পড়ার কারণ জেনে নিই

কী করলে চুল পড়বে না
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

কীভাবে বুঝবেন চুল পড়ছে

প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। অন্তত পর পর তিন দিন। অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।

আমরা যে চুল সাধারণত মানুষের মাথায় দেখতে পাই তা হল কেরাটিনের মৃত কোষ। একজন মানুষের মাথায় গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ চুল থাকে। এর মধ্যে প্রায় প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ টি চুল ঝরে যায়। অর্থাৎ ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যখন ১০০ টির বেশি চুল পড়ে যায় তখনই মাথার তালু খালি হয়ে যেতে থাকে।

চুল গজানোর জীবনচক্র | চক্রের তিনটি পর্যায়

  • এনাজেন (Anagen)- চুলের বৃদ্ধির সময়কে বলে এনাজেন। এনাজেন ২ থেকে ৬ বছর স্থায়ী হয়। মাথায় অবস্থিত চুলের প্রায় ৯০ শতাংশ চুল সব সময় এনাজেন বা বৃদ্ধি হতে থাকে।
  • ক্যাটাজেন (Catagen)- এটি একটি অস্থায়ী প্রর্যায়। এটি কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
  • টেলোজেন (Telogen)- চুলের জীবনচক্রের সর্বশেষ পর্যায় টেলোজেন। এটি ২ থেকে ৪ মাস স্থায়ী হয়। একে রেস্টিং ফেজও বলে। এসময় কিছু চুল পড়ে যায় এবং এসব ফলিকল থেকে নতুন চুল গজায়। টেলোজেন পর্যায় দীর্ঘতর হলে চুল বেশি পড়ে যায়। এছাড়া চুলের ফলিকল শুকিয়ে গেলে চুল নাও গজাতে পারে।

যে সব কারণে চুল ঝরে

চুল পড়া একটি স্পর্শকাতর সমস্যা। চুল পড়ার কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয়, চুলপড়ার কারণ ডাইহাইড্রক্সি টেস্টোস্টেরন বা ডিএইটি (DHT), ডিএইচটি (DHT) একটি পুরুষ হরমোন। পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন থেকে আলফারিডাকটেজ এনজাইমের সাহায্যে তৈরি হয় ডিএইচটি (DHT)। ডিএইচটি (DHT) চুলের ফলিকলের গোড়ায় গিয়ে তাদের বৃদ্ধি রোধ করে এবং রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। এভাবেই চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং DHT বেড়ে গেলে চুল পড়তে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে টাকের সৃষ্টি হয়।

চুল পড়ে যাওয়াকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়—

অ্যানাজেন ইফ্লুভিয়ামঃ নানারকম ওষুধ ও কেমোথেরাপির জন্য যখন চুল পড়ে যায় তখন তাকে বলে অ্যানাজেন ইফফ্লুভিয়াম।

টেলোজেন ইফ্লুভিয়ামঃ চুলের ফলিকল যখন রেস্টিং স্টেজে যায় তখন তাকে টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম বলে। চুলের ফলিকল রেস্টিং স্টেজ যাওয়া মানে চুল আর বড় না হওয়া এবং এক সময় চুল ঝরে যাওয়া।

  • শারীরিক অসুস্থতা : যেকোন অপারেশনের পর, রক্ত স্বল্পতা, ওজন কমে যাওয়া, হজমে সমস্যা, পুষ্টিহিনতা, দেরিতে ধুমাতে যাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমনো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকা ও ধূমপানের কারণেও চুল পড়ে যায়।
  • মানসিক চাপ : অতি কর্মব্যস্ততা, পরিবারের কারো মৃত্যু, সম্পর্কের টানাপোড়ন, পারিবারিক অশান্তি
  • থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা।
  • ডায়াবেটিস পলিসিসটিক ওভারি ।
  • মূত্রনালীর প্রদাহ
  • গর্ভাবস্থা, পরিবার পরিকল্পনার জন্য পিল খাওয়া
  •  মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • অতি মাত্রায় ভিটামিন এ গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ গ্রহণ
  • ওজন কমাতে অতিরিক্ত ডায়েটিং
  • ওষুধ–কিছু কিছু ওষুধ যেমন ক্যান্সারের ঔষধ, যে চুলগুলো মাত্র গজাচ্ছে সেগুলোও ঝরিয়ে দেয়। এছাড়া অর্থ্রাইটিস, গাউট, এন্টিবায়োটিক, মানসিক অবসাদের ওষুধ দীর্ধদিন সেবন করলে চুল পড়ে যায়।
  • জ্বরের পর : কঠিন কোন জ্বর, যেমন টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও নিউমোনিয়া হলে চুল ঝরে যায়।
  • প্রসব পরবর্তী : সন্তান প্রসবের ২ থেকে ৫ মাস পর হঠাৎ চুল পড়ে যেতে থাকে।
  • নবজাতক অবস্থায় : নবজাতকের মাথার চুল জন্মের পর থেকে চার মাসের ভিতরে অনেকটা ঝরে যায়। তবে পরে ঠিক হয়ে যায়।
  • ছত্রাক: ছত্রাকের সংক্রমণ বড় ছোট সবারই হতে পারে। এর জন্য মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। একে টিনিয়া ক্যালিটিস বলে।
  • কেরিয়াল : মাথার ত্বক ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এতে ত্বকের উপরের অংশ মোটা হয়ে যায় এবং আক্রান্ত অংশের চুল ঝরে যায়।
  • ফেবাস : এতেও ত্বকের উপরিভাগ পুরু হয়ে যায়। ত্বকের রং হলুদ হয়ে যায় এবং আক্রান্ত অংশের চুল পড়ে যায়। এক্ষেত্রে সময়মত চিকিৎসা না করালে আর চুল গজায় না।
  • গ্রে প্যাচ : মাথার পিছনের অংশের চুল পড়ে যায়। একটি জায়গায় গোল হয়ে ভাঙ্গুর চুলে জায়গাটি ছেয়ে থেকে।
  • ব্ল্যাকডট টিনিয়া : এ ধরনের সংক্রমণেও চুল পড়ে যায়। ভঙ্গু্র চুলের গোড়া কালো রং ধারন করে বলে একে ব্ল্যাকডট টিনিয়া বলে। মাথার বিভিন্ন জায়গায় একই সাথে সংক্রমণ হতে পারে। ব্ল্যাকডট টিনিয়া হলে সংক্রমিত অংশ খুব চুলকায়।
  • অ্যামিনেট ফলিকুলাইটিস : একে সাধারণ ভাষায় গোটা বলা হয়। বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট অংশ দানার আকারে লাল হয়ে অল্প ফুলে উঠে। ফলিকুলের গোড়া ফুলে উঠে বা সংক্রমিত হয়ে এমনটা হয়। চুলের গোড়ায় ছোট পুঁজ ভর্তি ফোসকা থাকে। এতেও মাথা চুলকাতে পারে।
  • পায়োডার্মা : শিশুদের মাথার ত্বকে এমনটি হয়ে থাকে। আক্রান্ত অংশ লাল হয়ে ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। এছাড়া মাথা বা গলার পেছনের গ্ল্যান্ডও সংক্রমিত হয়ে ফুলতে পারে।
  • সিফিলিস : সিফিলিসের দ্বিতীয় পর্যায়ে চুলের সংক্রামণ হতে পারে। মাথায় নানা জায়গায় চুল পরে যেতে পারে। তবে পিছনের দিকে বেশি দেখা যায়।
  • উকুন : উকুন বা পেডিকুলোসিস ক্যাপিটিস হলে মাথার ত্বক খুব চুলকায় এবং চুল পড়ে যায়।
  • খুশকি : মাথার ত্বকে মরা কোষ জমে অনেক সময় খুশকি হয়ে থাকে। খুশকির কারণে মাথা খুব চুলকায় এবং চুল ঝরে যায়। অপরিষ্কার থাকলে অর্থাৎ ঠিকমত মাথা পরিষ্কার না করলেও চুল পড়ে যায়।
  • এছাড়া আরো কিছু কারণ আছে, যেগুলো চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ীঃ-
  • আজকাল অনেকেই চুলের বিভিন্ন স্টাইল করতে যেয়ে চুলের সে স্থায়ী ক্ষতি করে ফেলেছেন সে বিষয়ে কোন খেয়ালেই রাখেন না। হেয়ার ড্রায়ার, হিট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার, জেল ইত্যাদি ব্যবহার চুলের জন্য ক্ষতিকর।
  • স্ট্রেইনিং, রিবন্ডিং, আয়রণ, কালার এরকম নানা পদ্ধতিতে এখন চুল সুন্দর ও পছন্দসই করা যায়। কিন্তু তার কিছু পরেই শুরে হয় সমস্যা। চুলের কিউটিকল বা বাইরের আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুল ভঙ্গু্ল হয়ে যায়। অতিরিক্ত তাপের কারণে চুল পড়তে শুরু করে। এছাড়া কেমিক্যালের কারণে চুল রুক্ষ হয়ে ওঠে, আগা দ্বিখণ্ডিত হয় এবং চুল ঝরে পড়ে।
  • দূষণের কারণেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত ধুলা-ময়লার কারণে চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে পারে। এ কারণেও চুল ঝরে পড়ে।
  • অল্প বয়সীদের অনেকেরই চুলের গোড়া তেলতেলে হয়ে যায়। এটি অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণের কারণে হয়। অতিরিক্ত রোদে বের হওয়া এবং চুল ভেজা থাকা, দীর্ঘ সময় ধরে হেলমেট, টুপি ইত্যাদি পরে থাকার ফলে মাথা ঘেমে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল পড়ে যায়।
  • অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন নারীর চুল পড়া ও পুরুষের টাকের সবচেয়ে বড় কারণ। এই হরমোন সাধারণত পুরুষের শরীরে বেশি পরিমাণে থাকে। যাদের শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি, তাদেরই বেশি করে চুল পড়ে
  •  নারীর মেনোপজের সময় ও পরে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন আনুপাতিক হারে বেড়ে যায়। তখন হঠাৎ চুল বেশি করে পড়তে শুরু করে।
  •  ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকি হলো চুল পড়ার অন্যতম কারণ। সে ক্ষেত্রে ছত্রাকরোধী শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করতে হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হতে পারে। সংক্রমণ ভালো হয়ে গেলে চুল আবার গজায়।
  • শরীরের পুষ্টির ওপর চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। দৈনিক খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, খনিজ ও ভিটামিন পরিমিত পরিমাণে না থাকলে চুল পড়ে যায়। এ ছাড়া শরীরে দীর্ঘদিন কোনো একটি উপাদানের অভাবে চুল পড়ে যায়।
  • দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। তবে দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে।
  • হরমোনের কমবেশি হওয়ার কারণে চুল উঠে যেতে পারে। যেমন: থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম বা বেশি হলে, গর্ভবতী অবস্থায় এবং বাচ্চার জন্মের পর হরমোনাল ভারসাম্য পরিবর্তিত হয় বলে তখন চুল বেশি পড়ে। হরমোনের এ পরিবর্তন আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেলে পুনরায় চুল গজায়। তবে তা আগের অবস্থায় যেতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
  • ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার পর চুল উঠে যায়। কেমোথেরাপির প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই-তিন সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু হয় এবং কেমোর সর্বশেষ ডোজের তিন-চার মাস পর পুনরায় চুল গজানো শুরু হয়।
  • চুলের বিশেষ কোনো স্টাইলের জন্য যদি দীর্ঘদিন খুব টেনে চুল বাঁধা হয় বা টাইট করে খোঁপা বা ব্যান্ড করা হয়, তবে এ ধরনের চুল পড়া শুরু হয়। দীর্ঘদিন এক রকম চুল বাঁধার কারণে চুল পড়া পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে যায় না। ফলে টেনে বাঁধার কারণে এ চুল পড়া স্থায়ীভাবে চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খুব বেশি পরিমাণে চুল রঙিন করার প্রসাধন, চুল সোজা করা বা ক্রমাগত রিবন্ডিং করলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে আবার চুল ওঠে, কিন্তু অনেক সময় হেয়ার ফলিকলের (যে গ্রন্থি থেকে চুল হয়) স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেলে চুল আবার নাও গজাতে পারে।
  • কিছু অসুখে যেমন: অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদিতে চুল পড়ে যেতে পারে। অনেক সময় অসুখ ভালো হওয়ার পরও চুল আর আগের অবস্থায় ফিরে যায় না।
  • শরীরে বড় কোনো অস্ত্রোপচার বা অপারেশনের পর বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ, শারীরিক পরিবর্তন অথবা মানসিক উদ্বেগের কারণে অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে। তবে সুস্থ হওয়ার পর চার থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে চুল আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
  • কোনো কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়তে পারে, যেমন: জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, প্রেসারের ওষুধ, রক্ত তরলীকরণের ওষুধ, হরমোন, মানসিক অসুস্থতার ওষুধ ইত্যাদি।
  • ওপরের সমস্যাগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই প্রতিরোধযোগ্য। প্রতিরোধের সঠিক উপায়গুলো জানা থাকলে আমরা সহজেই চুল পড়া রোধ করতে পারি। এতে কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও চুল পড়া নিয়ে ভুল ধারণা

  • বেশি শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে।
  • টুপি পরলে বা মাথায় কাপর দিলে চুল পড়ে।
  • প্রতিদিন ১০০ বার চুলে চিরুনি চালানো প্রয়োজন।
  • মাথা ন্যাড়া বারবার করলে ঘন চুল ওঠে।
  • খুশকি চুলের স্থায়ী ক্ষতি করে।
  • তেল না ব্যবহার করলে চুল পড়ে।
  • মানসিক চাপ চুলের স্থায়ী ক্ষতি করে।
  • অল্প বয়সে চুল পড়ে না।
  • জ্ঞানীদের চুল পড়ে যায়।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

  • কিছু উপায় ফলো করলে আপনার চুল পরা বন্ধ করতে পারবেন সহজেই। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো,
  • হালকা ধরনের শ্যম্পুর ব্যবহার : অনেক পরিমাণে চুল ঝরে পরা রোধ করার জন্য সব সময় চুল এবং মাথার ত্বক পরিস্কার রাখার জন্য সুপারিশ করা হয় যার জন্য দৈনিক চুল ধোয়া প্রয়োজন। রোজ চুল ধোয়া মাথার ত্বকে খুশকি বা সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এই খুশকি বা সংক্রমণই হল চুল ঝরে পরার আসল কারণ। এছাড়াও এই পরিষ্কারকটি চুলের পরিমাণকে অনেক বেশী করে দৃশ্যমান করে।
  • মেনুতে ক্যালরিযুক্ত খাবার : যদি আপনার মেনুতে ক্যালরিযুক্ত খাবার একেবারেই না থাকে তাহলেও আপনার চুল পড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে ডায়েট মেনুতে একটু পরিবর্তন আনতে পারেন। ওজন কমাতে গিয়ে চুল কমিয়ে ফেলাটা কোন কাজের কথা না।
  • ভিটামিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন : ভিটামিনকে শুধুমাত্র সমস্ত দেহের জন্যই কার্যকর মনে করা হয় না বরং চুলের জন্যও তা প্রযোজ্য। বিশেষত মাথার ত্বকে থাকা sebum এর উৎপাদনে সহায়তার জন্য ভিটামিন A কে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়। আরেকটি ভিটামিন হল E যা মাথার ত্বকে রক্ত ভাল ভাবে সংবহনে সহায়তা করে যার ফলে চুলের কোষ বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও বেশী চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুলের রঙ বজায় রাখার জন্য ভিটামিন B এর গ্রহণ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।
  • খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যোগ করুন : চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয় যা মাছ, চর্বি বিহীন মাংস, সয়া এবং আরও নানা ভাবে পাওয়া যায় যা চুল ঝরে পরাকেও প্রতিরোধ করে।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমান: অতিরিক্ত মানসিক চাপেও চুল পড়তে পারে। এক্ষেত্রে সাজগোজের একটি সেকশনে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের যেসব টিপস দেয়া থাকে সেগুলো ফলো করুন। আপাতদৃষ্টিতে এই টিপস আপনার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে না হলেও নিয়মিত পালন করতে পারলে এগুলো আপনার মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। যেমন – ধ্যান করা, নিয়মিত প্রার্থণা, যোগ ব্যায়াম, হাঁটা এসব ব্যাপারগুলো আপনার প্রতিদিনকার রুটিনে রাখতে পারেন।
  • হট অয়েল ট্রিটমেন্ট : মাথার চুল এবং তালুতে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলেও চলবে, এছাড়াও তিলের তেলও বেশ কার্যকরী। তেল ম্যাসাজ করার আগে তেল একটু গরম করে নিলে খুব ভালো হয়। আপনার তেল দেয়ার সময় না থাকলে এমনিতে হাত দিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন।
  • বাটা মেহেদি : মাথায় বাটা মেহেদি লাগান, সেটা না পেলে দোকানে মেহেদি গুঁড়ো পাওয়া যায় সেটাকে পেস্ট করে লাগাতে পারেন।
  • গ্রিন টি ব্যবহার করুন: দুই ব্যাগ গ্রিন টি এক কাপ গরম পানিতে ফেলে দিন। তারপর অপেক্ষা করুন। পানি ঠান্ডা হলে মাথায় এবং চুলে ম্যাসাজ করুন। তারপর এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ভেজা চুলে চিরুনি ব্যবহার করবেন না : যখন চুল পানিতে ভেজা থাকে তা সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকে এজন্য ভেজা চুলে চিরুনি চালালে চুলের ঝরে পরার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ভেজা চুলে চিরুনি না ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়। যদি কখনো ভেজা চুলে চিরুনি করার প্রয়োজন হয় তবে চওড়া দাঁত বিশিষ্ট চিরুনি ব্যবহার করুন। যেহেতু অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো চুলের ক্ষতির কারণ এবং চুল ঝরে পরার কারণ বলে মনে করা হয় তাই এতে কোন জট পরলে চুলের ভেতর আঙ্গুল চালিয়ে তা ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে বলা হয়।
  • পানি গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিন : প্রতি গোছা চুলে বেশ পরিমাণে পানি থাকে এজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এতে করে চুলে পানির সঠিক পরিমাণ বজায় থাকে এবং চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়।
  • ম্যসাজের জন্য এসেন্সিয়াল অয়েল : যারা পূর্ব থেকেই চুল ঝরে পরা সমস্যায় ভুগছেন তারা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার ত্বক কয়েক মিনিট ধরে ম্যাসেজ করে দেখতে পারেন। সরিষার তেল বা কাঠবাদামের তেলের মত এসেন্সিয়াল তেলের সাথে ল্যাভেন্ডার মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে চুলের গোঁড়ার কোষ সমূহ দীর্ঘ সময়ের জন্য সক্রিয় থাকবে।
  • পেঁয়াজ, আদা বা রসুনের রস : এগুলোর যে কোনটির রস করে মাথার চামড়াতে ভাল করে ঘষে মেখে সমস্ত রাত রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। এটি যদি অন্তত এক সপ্তাহ দৈনিক ব্যবহার করা হয় তবে চুল ঝরে না পরার ব্যপারে ভাল কিছু ফলাফল পাওয়া যায়।
  • চুলের জন্য যা ক্ষতিকর তা চিহ্নিত করুন : আপনার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রথমেই কিভাবে ভাল ভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে তা শেখার জন্য সুপারিশ করা হয়। টাওয়েল দিয়ে না ঘষে স্বাভাবিক ভাবে চুল শুকিয়ে যেতে দেয়া অনেক ভাল।
  • অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন : যারা চুল ঝরে পরা সমস্যার শিকার তাদের অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া উচিত। এটা জানা গেছে যে অ্যালকোহল পান চুলের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে।
  • ধূমপান নয় : সিগারেট পানে মাথার চামড়াতে রক্ত সংবহনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এটি সরাসরি চুলের বৃদ্ধিকে কমিয়ে দিয়ে প্রভাবিত করে। এবং এর কারণে দ্রুত চুল পরে।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা : দৈনিক কিছু সময় নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করলে, যা হতে পারে অন্তত আধ ঘণ্টার জন্য হাঁটাহাঁটি বা সাঁতার কাটা, শরীরের হরমোনের ভারসাম্য সঠিক থাকে এবং একই সাথে মানসিক চাপ এবং চুল ঝরে পরা কমায়। তাই নিয়মিত ভাবে এ ধরণের কাজ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
  • মাথা ঘামতে দিবেন না : যাদের মাথার চামড়া তেলতেলে হয় তাদের খুসকি সমস্যা হতে দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রীষ্ম কালে। এ কারণে মাথা ঘামার কারণে চুলের ঝরে পরার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। খুসকিতে চুল আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরা এবং নিম সমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হয়। যারা নিয়মিত হেলমেট পরেন তাদেরকে চুল ঝরে পরা সমস্যায় ভুগতে বেশী দেখা যায়। এর কারণ বদ্ধ অবস্থায় মাথার চামড়া ভেজা থাকলে চুলের কোষগুলি বন্ধ হয়ে যায় ফলে চুল ঝরে পরে। হেলমেট পরার কোন বিকল্প না থাকলে মাথায় স্কার্ফ বেধে তারপর হেলমেট পরে চুল ঝরে পরার সমস্যা কমানো যায়।
  • ঘন ঘন  heating and drying থেকে বিরত থাকুন : চুলকে ঘন ঘন heating and drying প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে দিবেন না, কারণ এর ফলে চুলের প্রোটিন কমে যায়। এতে করে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং একে ভঙ্গুর করে ফেলে।
  • চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুন : Braids এবং ponytails এর মত চুলের স্টাইলে চুল টেনে বাধা হয় ফলে চুলের গোঁড়ার কোষে ক্রমাগত টান পরার ফলে চুল উঠে টাক পরার সম্ভাবনা দেখা দেয়, এ জন্য আপনাকে চুলের স্টাইলের পরিবর্তন করতে হতে পারে।
  • সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন : চুলের সমস্যা সুস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। স্বাস্থ্যবান চুল পাওয়ার জন্য সংক্রমণ, জ্বর বা অন্য কোন অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
  • কেমিকেল পরিহার করুন : কিছু কেমিকেলের কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি চুল রং করার রাসায়নিক পন্যের কারণেও অনেক সময় চুল ঝরে পরে যেতে দেখা যায়।
  • নিয়মিত বিরতিতে ডাক্তার দেখান : চুল ঝরে পরার একটা কারণ হতে পারে হরমোনের পরিবর্তন যা একটি সুস্থ্যতা সংক্রান্ত বিষয় এবং এর সাথে ত্বকের বিষয়টিও জড়িত। তাই নিয়মিত ডাক্তারের সাথে সকল বিষয় নিয়ে পরামর্শ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
  • উপযুক্ত ওষুধের খোঁজ করুন : কিছু ঔষধ আছে যা শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে চুল ঝরে পরে যেতে পারে। এজন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সঠিক ঔষধ বেছে নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।
  • ওষুধের মাধ্যমে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। বাজারে চুল পড়া রোধের জন্য মিনোক্সিডিল নামের ওষুধ পাওয়া যায়। এটি যেখান থেকে চুল পড়ছে সেখানে লাগাতে হবে। এটি নারী ও পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাজ না হলে অন্য চিকিৎসা নিতে হবে।
  • লেজার থেরাপি-এলএইচটি : লেজার থেরাপি হেয়ার ফলিকলগুলোকে আবার সজীব করে। এমনিতে প্রতিদিনই চুল পড়ে ও নতুন চুল গজায়। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বা অন্য কোনো অসুস্থতার ফলে যে পরিমাণ চুল পড়ে যায়, সেই পরিমাণ গজায় না। লেজার থেরাপি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় ও ফলিকলগুলোকে পুনর্জীবিত করে। চুলের গোড়া ও কাণ্ডের গঠন দৃঢ় করে। চুলের অকাল পতন রোধ করে। এটি আধঘণ্টা পরে প্রতি সপ্তাহে এক দিন হিসেবে, সাধারণত ছয় মাস পর্যন্ত নিতে হয়। লেজার থেরাপির পাশাপাশি মিনোক্সিডিলও ব্যবহার করতে হয়।
  • হেয়ার ফলিকল রিপ্লেসমেন্টঃ এটি একধরনের মাইক্রোসার্জারি বা সূক্ষ্ম অপারেশন। এতে চুল পড়ে যাওয়া অংশে হেয়ার ফলিকল ইমপ্লান্ট করা হয়। অপারেশনটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। অপারেশনের পরদিনই রোগী বাসায় চলে যেতে পারেন। সাধারণত মোট দুই-তিনটি সিটিং লাগে।
  • হেয়ার স্কাল্প রিপ্লেসমেন্টঃ এ ক্ষেত্রে অক্সিপুট বা মাথার পেছনের অংশ যেখানে চুলের ঘনত্ব বেশি থাকে তা ফ্ল্যাপ করে কেটে এনে টাক হওয়া অংশে রিপ্লেস করা হয় বা বসানো হয়।কখনো কখনো নিজের স্কাল্প হেয়ারের পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল হেয়ার পিস আক্রান্ত স্থানে ইমপ্লান্ট করা হয়।
  • অতিরিক্ত চা বা কফি না: অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।
  • লবণ কম : খাবারে লবণ কম খাবেন। লবণ মাথার ত্বকের কোষে পানি জমে থাকতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের কোষে পানি জমে থাকলে চুলের গোড়া নরম হয়ে অধিক চুল পড়তে সাহায্য করে।
  • হঠাৎ খাওয়া কমানো : ওজন বা মেদ কমানোর জন্য অনেকে হঠাৎ খাওয়া-দাওয়া, একেবারেই ছেড়ে দেয়। এই হঠাৎ খাওয়া কমানোতেও চুল পড়ে। এ ক্ষেত্রে নিউট্রশনিষ্ট কিংবা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারঃ অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- আইসক্রিম, পেস্ট্রি কেক, ফাস্টফুড, জাংক ফুড, চিনি, পশুর চর্বি, বাটার, ক্রিম, অধিক চর্বিযুক্ত চিজ, হুয়াইট ব্রেড ও ময়দা, ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট এবং হোল মিল্ক, কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস ইত্যাদি পরিহার করুন। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী।
  • চুলের সঠিক যত্ন সম্পর্কে না জানাঃ চুলের সঠিক যত্ন সম্পর্কে না জানার কারণেও অনেকের চুল পড়ে। প্রচলিত একটি ধারণা আছে, রাতে শোয়ার আগে টান টান করে বেণী বেঁধে ঘুমালে চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এতে চুল ঝরে পড়ে দ্রুত। ভেজা চুল কখনো আঁচড়াবেন না। তোয়ালে দিয়েও খুব ঘষে চুল মুছলে চুলের ক্ষতি হয়। ভিজা চুল কখনো বাঁধবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
  • চ্যাম্পু : হিন্দি শব্দ চ্যাম্পু থেকে শ্যাম্পু এসেছে। এর অর্থ মালিশ বা ম্যাসাজ। এর মানে বোঝা যায় শ্যাম্পু করার সময় আপনার মাথা ম্যাসাজ বা ঘষতে হবে। খুশকির জন্য এ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। তবে দীর্ঘদিন এ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়।
  • রাতে চুল আলতো করে বেঁধে ঘুমুতে যাবেন: চুল অনেক টাইট করে বেঁধে শোয়া এবং একেবারে খুলে শোয়া দুটোই চুলের জন্য ক্ষতিকর। অনেক শক্ত করে চুল বেঁধে ঘুমালে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়। আবার চুল খুলে ঘুমালেও বিছানার ও বালিশের কভারের ঘষায় চুলের ক্ষতি হয় যার ফলে চুল পড়া শুরু হয়।
  • মোটা দাঁতের চিরুনী : চুল আঁচড়াবার জন্য কখনোই ব্রাশ কিংবা চিকন দাঁতের চিরুনী ব্যবহার করবেন না। মোটা দাঁতের, মাঝে ফাঁক ফাঁক সাধারণ প্লাস্টিকের চিরুনী ব্যবহার করুন। এটাই আপনার চুলকে ভালো রাখবে।

বেশি আঁচড়ালে চুল ভালো থাকবে?

ভাবছেন বেশী আঁচড়ালে চুল ভালো থাকবে? এই ভুলটিও করতে যাবেন না। বেশী আঁচড়ালে বরং চুলের ক্ষতি বাড়ে, দুর্বল চুল হলে পড়ার হারও। দিনে ২/৩ থেকে তিনবার চুল আঁচড়ালেই যথেষ্ট। আবার একেবারে চুল না আঁচড়েও থাকবেন না। চুল আঁচড়ালে মাথার তোকে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে চুলের গোঁড়া মজবুত হয়। তবে হ্যাঁ, আঁচড়াবেন পরিমিত পরিমাণে ও তাড়াহুড়ো না করে হাতে সময় নিয়ে।

কখন চুল আঁচড়াবেন?

কখন চুল আঁচড়াবেন? রাতে ঘুমাবার আগে চুল আঁচড়ে বেঁধে ফেলুন। সকালে বের হবার আগেও আঁচড়ে নিন। এছাড়া শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়াবেন। এতে চুলে জট হবে না এবং প্রচুর চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

তো এই হলো চুল পড়া বন্ধ করার উপায় । আশা করি ধাপগুলো মনে রাখবেন ও অকালে টাক হওয়ার হাত থেকে সময় থাকতে নিজেকে রক্ষা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!