শিশুদের কৃমি হলে তারা তা প্রকাশ করতে পারে না। খাদ্যে অরুচি, পাতলা পায়খানা, বমি ভাব ও পায়খানার রাস্তায় চুলকানি হলে বুঝতে হবে তার কৃমি হয়েছে। তাই সময়মতো শিশুর কৃমির চিকিৎসা করাতে হবে।
গোলকৃমি, ফিতা কৃমি ও গুঁড়া কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায় শিশুর মধ্যে। কখনও সেটা শিশুর নাক-মুখ দিয়েও বেরিয়ে আসে। এমনকি শিশুর শ্বাসনালীতেও ঢুকে পড়তে পারে। আবার কৃমি শিশুর অন্ত্র বা পিত্তনালীতে বাধা তৈরি করতে পারে। ফিতা কৃমি শিশুর অন্ত্রে লেগে থেকে রক্তপাতও ঘটায়। এতে শিশু ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদি কৃমির সংক্রমণে শিশুর খাদ্যে অরুচি হয়। সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সময়মতো শিশুর কৃমির চিকিৎসা খুবই জরুরি।
শিশুর কৃমির চিকিৎসা : শিশুর কৃমি কেন হয়
অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবস্থা, অপরিষ্কার ঘরবাড়ি, দূষিত পানি, টয়লেট শেষে সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া, খাওয়ার আগে হাত না ধোয়া, নখ বড় রাখা, নোংরা হাত মুখে দেওয়া—এসবের মাধ্যমে কৃমি শরীরে প্রবেশ করে।
শিশুর কৃমির চিকিৎসা
কৃমির চিকিৎসায় সাধারণত Albendayole বা Mebendayole অথবা Pyrental pamoate দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বছরে দু’বার জাতীয় টিকা দিবস পোলিও টিকার পাশাপাশি এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধও (Albendyaole) খাওয়ানো হয়।
শিশুর কৃমি প্রতিরোধে যা করবেন
ঘরের যাবতীয় কাজে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে। ঘর মোছার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ডেটল বা স্যাভলন ব্যবহার করতে হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করতে হবে। হাই কমোড হলে টয়লেটের সিট অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে নিন।
খাবারের আগে বা বাথরুম থেকে আসার পর শিশুকে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান।
শিশুর হাতের নখ বড় রাখা যাবে না। শিশু যেন ঘন ঘন হাত মুখে না দেয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
শিশুর কৃমির চিকিৎসা নিশ্চিতে সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করাতে হবে। শিশুর সঙ্গে পরিবারের সবাইকেও তা নিতে হবে।
-
শিশুর কৃমি হলে করণীয়
-
শিশুর পেট ব্যথা হলে কী করবেন | শিশুর পেট ব্যথা কেন হয়?
-
জেনে নিন কৃমির সমস্যায় কিছু ঘরোয়া সমাধান
-
শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয়
-
নবজাতকের পরিচর্যা | নবজাতকের গোসল | নবজাতকের যত্ন
-
শিশু খাচ্ছে কিন্তু বাড়ছে না